ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে অবাক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৪:০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয় সম্প্রতি এক বক্তব্যে ইউক্রেন, হামাস ও বাংলাদেশ পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত করে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার মন্তব্যে অবাক হয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, উনি (রাজনাথ) যেভাবে বলেছেন, সেটি অনেকটা বিটিং অ্যারাউন্ড দ্য বুশ। ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ভারতে যুদ্ধের প্রস্তুতির কোনও কারণ আমি দেখি না। বা হামাসের সঙ্গে যে সমস্যা হচ্ছে, তাতে ভারতের কী সম্পর্ক! ইউক্রেন এবং হামাসের সঙ্গে বাংলাদেশ কী করে তুলনীয় হয়, সেটিও আমার বোধগম্যতার বাইরে। আমরা নি-জার্ক প্রতিক্রিয়া (চিন্তা না করেই খুব অনুমানযোগ্য উপায়ে প্রতিক্রিয়া) দেখাতে চাই না। আমরা অবশ্য দেখবো যে, কেন রাজনাথ সিং এ ধরনের কথা বলেছেন।
এটি আমাদের জন্য ঝুঁকি কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি এখনও মনে করি এটি ওনার নিজস্ব অভ্যন্তরীণ কনজাম্পশনের জন্য বলেছেন। কাজেই আমি কোনও অনুমাননির্ভর মন্তব্য করতে চাই না।
ভারতে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে যেকোনও দেশ যে কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে পারে। দেওয়া উচিত কিনা এক্ষেত্রে সেটি দেখার বিষয় এবং আমরা সেটি দেখবো।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি যতটা উদ্বিগ্ন, তার থেকে বেশি অবাক যে রাজনাথ সিং এ ধরনের কথা কেন বললেন। আমি এটির কোনও কারণ খুঁজে পাই না। আমি কোনও অবস্থায় মনে করি না যে, ভারতের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ-বিগ্রহ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা আছে। উনি এটি নিজের দেশের জন্য বলেছেন কিনা সেটি আমাদের বুঝতে হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যু
মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে আমাদের অবস্থান হচ্ছে, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে একজন রোহিঙ্গাকেও আমরা আশ্রয় দিতে রাজি না। কিন্তু কিছু ঢুকে যাচ্ছে, সেটি আমরা জানি। সেটি আমরা যতদূর পারা যায় আটকানোর চেষ্টা করছি। বিজিবি প্রতিদিন পুশব্যাক করছে, যাদের আমরা ধরতে পারছি। কিন্তু একটি বড় এলাকা নিয়ে, বিভিন্ন জায়গা দিয়ে তারা ঢুকছে। সবক্ষেত্রে ধরতে পারছি না। সামর্থ্যের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা চায় তাদের আমরা আশ্রয় দেই। কিন্তু তাদের কাছে আমরা স্পষ্ট করেছি যে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। আমরা আমাদের ভূমিকা যতটুকু হওয়ার দরকার তার থেকে বেশি করেছি। আমাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়। যারা আমাদের উপদেশ দিতে আসে, তারা বরং তাদের নিয়ে যাক বলেও তিনি জানান।