ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হরেকৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, ঝাড়ু মিছিল Logo ডিমলায় চারা গাছ ও সবজি বীজ উপকরণ বিতরণের শুভ উদ্বোধন Logo আলেমগণ নিজেরাই বিভেদ তৈরী করলে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের সম্ভাবনা পিছিয়ে যাবে Logo ‘কারো মুখে হাসি ফুটানোর সুযোগ পাওয়া মানেই ভালো কিছু করার তৃপ্তি’ Logo কুড়িগ্রামে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর পিএস রাশেদ গ্রেপ্তার Logo শেরপুরে নানা আয়োজনে গ্লোবাল টেলিভিশনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি পালিত Logo তারাকান্দায় অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার Logo মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি Logo মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা Logo ফুলপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে শিশুর মৃত্যু 

ভারতে জাহাজ ডুবি, কলকাতায় রাহুলের পরিবারে মাতম

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে

রাহুল রায়, এখন কেবলই স্মৃতি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বিয়ের আর মাত্র ৫ মাস বাকি তার আগেই সলিল সমাধি সব স্বপ্নের। উদ্বেগ আর শূন্যতায় প্রহর কাটছে বারাসাতে হৃদয়পুরের শান্তিনগর এলাকার রায় পরিবারের। কলকাতা খিদিরপুর ডক থেকে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে পণ্যবাহী জাহাজ ডুবি হয়।

সেই খবর ছাব্বিশ আগস্ট সন্ধ্যায় এসে পৌঁছায় ওই জাহাজে কেবিন ক্রু মেম্বার রাহুল রায়ের বাবা সুবোধ কুমার রায়ের কাছে। সুবোধবাবু পেশায় ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উচ্চপদে কর্মরত আধিকারিক। রাহুল রায়ের পরিবার থেকে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।

কলকাতার একটি বেসরকারি জাহাজ কোম্পানি আইটিটির জাহাজটি ১৫ বছরের পুরনো। সুবোধবাবু দাবি জাহাজের ১১ জন কর্মীকে উদ্ধার করলেও এখনো রাহুল রায় ও ক্যাপ্টেনসহ নিখোঁজ তিনজন। তাদের উদ্ধারকার্য করবার জন্য কোস্টগার্ড ও ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স এর হেলিকপ্টার তল্লাশি চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালেই পুনে থেকে দাদার নিখোঁজের খবর শুনে বারাসাতে হৃদয়পুরের বাড়িতে পৌঁছান রাহুলের ছোট ভাই এমবিএ পড়ুয়া রোহণ রায়। এদিন ছেলের নিখোঁজের শোক ও উদ্বেগের হাতিয়ে সুবোধ বাবু অভিযোগ করেন সরকার ও প্রশাসনের দেখা উচিত যে জাহাজ গুলি গভীর সমুদ্রে যাচ্ছে সেগুলির ফিটনেটস সার্টিফিকেট সঠিক কিনা।

অনেক বেসরকারি কোম্পানি পুরনো জাহাজ চালায়। তাতে যেমন জাহাজ কর্মীদের মৃত্যু হয়, তেমন লোকসানে পড়ে অন্য সরবরাহকারী কোম্পানিগুলি। রাহুলের কোম্পানি তরফ থেকে পরিবারকে জানানো হয়, ২৫ আগস্ট জাহাজটি রওনা দেয় খিদিরপুর ডক থেকে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার ব্লেয়ারের উদ্দেশ্যে।

২৬ তারিখ বিকেল চারটে নাগাদ জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা থেকে ৯০ নটিকাল মাইল দূরে। জাহাজের ১১ জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি তিনজন এখনো নিখোঁজ। এই সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়েন গোটা রায় পরিবার। বৃহস্পতিবারও সর্বশেষ খোঁজ নিতে পাড়া-প্রতিবেশীরা হাজির হন রাহুলের বাড়িতে। উদ্বেগে আছে তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা।

৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেল এখনো কেন উদ্ধার হলো না সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুলের বাবা সুবোধবাবু। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে তার বিবাহ ঠিক হয়েছিল। বড় ছেলের রাহুলের সেই বিবাহ অনুষ্ঠান এখন অনিশ্চিত। তবে তার বেঁচে থাকার আসা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রতিবেশীরা। তবে কোস্টগার্ড এবং ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের তরফে যদি আরও খোঁজখবর তল্লাশি চালানো হয় তাহলে উদ্ধার হতে পারে রাহুলসহ বাকি তিনজন। ছেলে ঘরে ফিরবে সেই আশায় প্রহর গুনছে রায় পরিবার ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতে জাহাজ ডুবি, কলকাতায় রাহুলের পরিবারে মাতম

আপডেট সময় : ০২:২৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বিয়ের আর মাত্র ৫ মাস বাকি তার আগেই সলিল সমাধি সব স্বপ্নের। উদ্বেগ আর শূন্যতায় প্রহর কাটছে বারাসাতে হৃদয়পুরের শান্তিনগর এলাকার রায় পরিবারের। কলকাতা খিদিরপুর ডক থেকে আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে পণ্যবাহী জাহাজ ডুবি হয়।

সেই খবর ছাব্বিশ আগস্ট সন্ধ্যায় এসে পৌঁছায় ওই জাহাজে কেবিন ক্রু মেম্বার রাহুল রায়ের বাবা সুবোধ কুমার রায়ের কাছে। সুবোধবাবু পেশায় ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উচ্চপদে কর্মরত আধিকারিক। রাহুল রায়ের পরিবার থেকে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।

কলকাতার একটি বেসরকারি জাহাজ কোম্পানি আইটিটির জাহাজটি ১৫ বছরের পুরনো। সুবোধবাবু দাবি জাহাজের ১১ জন কর্মীকে উদ্ধার করলেও এখনো রাহুল রায় ও ক্যাপ্টেনসহ নিখোঁজ তিনজন। তাদের উদ্ধারকার্য করবার জন্য কোস্টগার্ড ও ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স এর হেলিকপ্টার তল্লাশি চালাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালেই পুনে থেকে দাদার নিখোঁজের খবর শুনে বারাসাতে হৃদয়পুরের বাড়িতে পৌঁছান রাহুলের ছোট ভাই এমবিএ পড়ুয়া রোহণ রায়। এদিন ছেলের নিখোঁজের শোক ও উদ্বেগের হাতিয়ে সুবোধ বাবু অভিযোগ করেন সরকার ও প্রশাসনের দেখা উচিত যে জাহাজ গুলি গভীর সমুদ্রে যাচ্ছে সেগুলির ফিটনেটস সার্টিফিকেট সঠিক কিনা।

অনেক বেসরকারি কোম্পানি পুরনো জাহাজ চালায়। তাতে যেমন জাহাজ কর্মীদের মৃত্যু হয়, তেমন লোকসানে পড়ে অন্য সরবরাহকারী কোম্পানিগুলি। রাহুলের কোম্পানি তরফ থেকে পরিবারকে জানানো হয়, ২৫ আগস্ট জাহাজটি রওনা দেয় খিদিরপুর ডক থেকে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার ব্লেয়ারের উদ্দেশ্যে।

২৬ তারিখ বিকেল চারটে নাগাদ জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা থেকে ৯০ নটিকাল মাইল দূরে। জাহাজের ১১ জনকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি তিনজন এখনো নিখোঁজ। এই সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়েন গোটা রায় পরিবার। বৃহস্পতিবারও সর্বশেষ খোঁজ নিতে পাড়া-প্রতিবেশীরা হাজির হন রাহুলের বাড়িতে। উদ্বেগে আছে তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরা।

৭২ ঘন্টা পার হয়ে গেল এখনো কেন উদ্ধার হলো না সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুলের বাবা সুবোধবাবু। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে তার বিবাহ ঠিক হয়েছিল। বড় ছেলের রাহুলের সেই বিবাহ অনুষ্ঠান এখন অনিশ্চিত। তবে তার বেঁচে থাকার আসা উড়িয়ে দিচ্ছে না প্রতিবেশীরা। তবে কোস্টগার্ড এবং ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের তরফে যদি আরও খোঁজখবর তল্লাশি চালানো হয় তাহলে উদ্ধার হতে পারে রাহুলসহ বাকি তিনজন। ছেলে ঘরে ফিরবে সেই আশায় প্রহর গুনছে রায় পরিবার ।