ভারতে পালানোকালে আটক ফজলে করিম চৌধুরী, গ্রামে গ্রামে মিষ্টি বিতরণ
- আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪৯ বার পড়া হয়েছে
ফজলে করিম চৌধুরীকে নব্য ফেরাউন ও খুনি আখ্যা দিয়ে তার ফাঁসি দাবী করা হয়েছে
আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আটকের খবরে তার নির্বাচনী এলাকা রাউজানের গ্রামে গ্রামে মিষ্টি বিতরণ ও বিজয় মিছিল করেছে নির্যাতিত নিপীড়িত সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এই খবর রাউজানে ছড়িয়ে পড়ার পর উপজেলায় পাহাড়তলি, বাগোয়ান, কদলপুর, জলিল নগর, গহিরা, হলদিয়া ইউনিয়নসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে মিষ্টি, বিজয় মিছিল ও উল্লাসে ফেটে পড়েন নির্যাতিত, নিপীড়িত জনতা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।
এদিন বিকাল তিনটায় পাহাড়তলি চৌহমুনিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোজাহের আলমের নেতৃত্বে বিশাল আনন্দ মিছিল পাহাড়তলি চৌমুহনী বাজার হতে বের হয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চুয়েট গেইট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুনরায় চৌমুহনী হয়ে উত্তরে গশ্চি বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
একই সময় বাগোয়ান ইউনিয়নে গশ্চি অতিথি কমিউনিটি সেন্টার হতে একটি বিশাল মিছিল উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ তালুকদারের নেতৃত্ব বের হয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের গশ্চি বাজার প্রদক্ষিণ করেন। এসময় বক্তারা ফজলে করিম চৌধুরীকে নব্য ফেরাউন ও খুনি আখ্যা দিয়ে তার ফাঁসি দাবী করেন।
উল্লেখ্য চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসন থেকে টানা পঞ্চমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলে করিম চৌধুরী। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর আত্মগোপনে থাকেন।
তার বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, এবাদতখানা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, নগদ অর্থ, প্রয়োজনীয় দলিলপত্র ও সম্পদ লুট, অগ্নিসংযোগ, হত্যার চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে রাউজান থানায় দুটি মামলাসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে।