ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

‘ভাসানী গণমানুষের রাজনীতির আলোকবর্তিকা’ : বাংলাদেশ ন্যাপ

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ২৪৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

‘ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক বাংলায় গ্রামভিত্তিক রাজনীতির প্রবর্তক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভারতীয় উপমহাদেশের সনামধন্য ধর্মগুরু এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মওলানা ভাসানী গণমানুষের রাজনীতির আলোকবর্তিকা হাতে গ্রাম থেকে গস্খামান্তরে এর আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃদ্বয়।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেছেন।

তারা বলেন, ‘রাষ্ট্র-সমাজ ও গণতন্ত্রের যেকোনো সঙ্কট থেকে উত্তরণে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। তার দর্শনের ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আজকে আমারা যে গভীর গভীর সংকটে আছি, তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের অবশ্যই মাওলানা ভাসানীকে অনুসরণ করতে হবে। তার দর্শন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মওলানা ভাসানী বাঙালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। বাঙালি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দুটি স্রোতধারার মিলিত একটি মোহনা।’

নেতৃদ্বয় ১৭ নভেম্বর মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ভাসানী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জ্বলন্ত প্রতীক। সমগ্র জাতিকে ‘খামোশ’ বলে ধমক দিতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন এমন একজন মানুষ। তখন যিনি জাতির নেতা ছিলেন, তাকেও শাসন করতে পারতেন। জুলুম আর জালেমের বিরুদ্ধে মজলুম গণমানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা ভাসানী। তিনি চিরজীবন শোষিত শ্রেণীর মুক্তির পক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন।’

মওলানা ভাসানীই প্রথম পাকিস্তানকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতা বীজ বপিত করেছিলেন বলে দাবি করে তারা আরও বলেন, ‘আজীবন মজলুম মানুষের মুক্তির জন্য যিনি লড়াই করেছেন তিনিই হলেন মওলানা ভাসানী। তার কাছে জালিমের যেমন কোনো জাত-ধর্ম থাকত না, তেমনি মজলুম মানুষ কোনো ধর্মের, দেশের, বর্ণের, পেশার সেটা তিনি বিন্দুমাত্র ভাবতেন না। তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে অনেক বড় হয়েছেন, ব্যতিক্রম হয়েছেন এইজন্যই যে, তিনি থাকতেন সর্বহারাদের মাঝে, স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির কাছে। তিনি চিরকাল শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘ভাসানী গণমানুষের রাজনীতির আলোকবর্তিকা’ : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় :

 

‘ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক বাংলায় গ্রামভিত্তিক রাজনীতির প্রবর্তক মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভারতীয় উপমহাদেশের সনামধন্য ধর্মগুরু এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মওলানা ভাসানী গণমানুষের রাজনীতির আলোকবর্তিকা হাতে গ্রাম থেকে গস্খামান্তরে এর আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র শীর্ষ নেতৃদ্বয়।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেছেন।

তারা বলেন, ‘রাষ্ট্র-সমাজ ও গণতন্ত্রের যেকোনো সঙ্কট থেকে উত্তরণে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। তার দর্শনের ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আজকে আমারা যে গভীর গভীর সংকটে আছি, তা কাটিয়ে উঠতে আমাদের অবশ্যই মাওলানা ভাসানীকে অনুসরণ করতে হবে। তার দর্শন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মওলানা ভাসানী বাঙালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। বাঙালি ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দুটি স্রোতধারার মিলিত একটি মোহনা।’

নেতৃদ্বয় ১৭ নভেম্বর মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ভাসানী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির জ্বলন্ত প্রতীক। সমগ্র জাতিকে ‘খামোশ’ বলে ধমক দিতে পারতেন, শাসন করতে পারতেন এমন একজন মানুষ। তখন যিনি জাতির নেতা ছিলেন, তাকেও শাসন করতে পারতেন। জুলুম আর জালেমের বিরুদ্ধে মজলুম গণমানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা ভাসানী। তিনি চিরজীবন শোষিত শ্রেণীর মুক্তির পক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন।’

মওলানা ভাসানীই প্রথম পাকিস্তানকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতা বীজ বপিত করেছিলেন বলে দাবি করে তারা আরও বলেন, ‘আজীবন মজলুম মানুষের মুক্তির জন্য যিনি লড়াই করেছেন তিনিই হলেন মওলানা ভাসানী। তার কাছে জালিমের যেমন কোনো জাত-ধর্ম থাকত না, তেমনি মজলুম মানুষ কোনো ধর্মের, দেশের, বর্ণের, পেশার সেটা তিনি বিন্দুমাত্র ভাবতেন না। তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে অনেক বড় হয়েছেন, ব্যতিক্রম হয়েছেন এইজন্যই যে, তিনি থাকতেন সর্বহারাদের মাঝে, স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির কাছে। তিনি চিরকাল শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।’