ভোগ্যপণ্য মজুতকারীদের গণধোলাই দেয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৩:০০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পণ্য মজুত করে দাম বাড়ায় তাদের গণধোলাই দেয়া উচিত
ভোগ্যপণ্য মজুতকারীদের গণধোলাই দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে সংবাদ সম্মেলন আয়াজন করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পণ্য মজুত করে দাম বৃদ্ধি করে তাদের গণধোলাই দেয়া উচিত।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ডিম লুকিয়ে রেখে দাম বাড়ানো হয়। যারা সরকার উৎখাতে আন্দোলন করে তাদের হাত রয়েছে এগুলোর পেছনে। এর আগে পেঁয়াজের খুব অভাব। পরে দেখা গেলো বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এদেরকে ধরে গণধোলাই দেয়া উচিত।
সরকার কিছু বললে মানুষ বলবে সরকার করেছে। তাই জনগণ যদি এগুলোর প্রতিকার করে তাহলে কেউ কিছু বলতে পারবে না। নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে একটি শ্রেণি চক্রান্ত করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেনো ক্ষমতায় আসতে না পারে এমন ষড়যন্ত্র আগেও ছিল, এখনও আছে।
ব্যক্তির ওপর কৃষকদের নির্ভরশীল যাতে না হয়, তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার সরকারে আসার পর কৃষি গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেয়ায় বর্তমানে প্রায় সবক্ষেত্রে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রত্যেকটা সবজি এখন বারো মাস পাওয়া যায়।
প্রত্যেকের জমিতে চাষ করার জন্য উৎসাহিত করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কৃষিতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, রমজানে কোনো জিনিসের অভাব হবে না। ইতিমধ্যে সব ব্যবস্থা করা আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধের ক্ষতিকর দিক একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকছে না। তার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমরা সবচেয়ে বেশি ভালো আছি। আমি আমার ক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট জানি।
মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কোনো প্লাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা নেই। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। এগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার জন্য হচ্ছে। যুদ্ধ কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই প্রশ্ন করেছি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা হলেও একি কথা জানতে চাইবো।
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে বড় শক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং আঞ্চলিক সংঘাত, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, নিউক্লিয়ার নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু নিরাপত্তা, তথ্য নিরাপত্তা, পানি নিরাপত্তা, অভিবাসন, সাপ্লাই চেইন, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মহামারি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে মূলত রাষ্ট্র/সরকার প্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিও নেতারা, মিডিয়া, সুশীলসমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ করেন। এটি সমকালীন ও ভবিষ্যত নিরাপত্তার স্বার্থে উচ্চ-পর্যায়ের নিয়মিত আলোচনার একটি শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসেবে বিবেচিত। এ বছরের ফোরামে ৩৫-জনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করেছেন।