ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও স্ত্রী ফৌজিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বান্দরবান প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে তিনটি পাড়াতে অবৈধভাবে ভূমি দখল ও বিভিন্ন ধরণের মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পাড়াবাসীরা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবে সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলাম কর্তৃক জায়গা দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীরা।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে গণেশ ত্রিপুরা বলেন, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের টংগা ঝিরি, পুইট্টা ঝিরি ও দেরাজ মিয়া পাড়া এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙালি মিলে প্রায় শতাধিক পরিবার বসবাস করে।

কিন্তু ২০১৯ সালের পরে মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী আমাদের বসবাসের জমির উপর ভূয়া জমির কাগজ জালজালিয়াতির মাধ্যমে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। হুমকি দিয়ে ঘরবাড়ি এবং ভিটেমাটি ছাড়া করে। মামলার ভয়ে সবাই এলাকা ছাড়া।

এই সুযোগে ৩০০ একরেরও বেশি জায়গা তারা দখলে নেয়। তবে ৫ আগস্টের পরে মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী স্থান ত্যাগ করলে আবারও নিজেদের জায়গা দখলে নিই। কিন্তু তাদের মনোনীত লোকজন এখনও হুমকি দিচ্ছে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে তারা ৮টি দাবী তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল- ফোজিয়া ইসলামের নামে বায়নাকৃত সকল দলিল ও লিজ বাতিল করতে হবে। সশন্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।

আমাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রীর চাচাত ভাই মকবুলকে গ্রেফতার করতে হবে। আমাদের নামে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, সৃজনকৃত বাগান থেকে কর্তনকৃত গাছের জরিমানা প্রদান করতে হবে। ইসমাইল হোসেনকে মুক্তি দিতে হবে এবং মন্ত্রীর কেয়ারটেকার সাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও স্ত্রী ফৌজিয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় :

 

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে তিনটি পাড়াতে অবৈধভাবে ভূমি দখল ও বিভিন্ন ধরণের মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পাড়াবাসীরা।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবে সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলাম কর্তৃক জায়গা দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীরা।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে গণেশ ত্রিপুরা বলেন, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের টংগা ঝিরি, পুইট্টা ঝিরি ও দেরাজ মিয়া পাড়া এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙালি মিলে প্রায় শতাধিক পরিবার বসবাস করে।

কিন্তু ২০১৯ সালের পরে মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী আমাদের বসবাসের জমির উপর ভূয়া জমির কাগজ জালজালিয়াতির মাধ্যমে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়। হুমকি দিয়ে ঘরবাড়ি এবং ভিটেমাটি ছাড়া করে। মামলার ভয়ে সবাই এলাকা ছাড়া।

এই সুযোগে ৩০০ একরেরও বেশি জায়গা তারা দখলে নেয়। তবে ৫ আগস্টের পরে মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী স্থান ত্যাগ করলে আবারও নিজেদের জায়গা দখলে নিই। কিন্তু তাদের মনোনীত লোকজন এখনও হুমকি দিচ্ছে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে তারা ৮টি দাবী তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল- ফোজিয়া ইসলামের নামে বায়নাকৃত সকল দলিল ও লিজ বাতিল করতে হবে। সশন্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে।

আমাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মন্ত্রীর চাচাত ভাই মকবুলকে গ্রেফতার করতে হবে। আমাদের নামে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, সৃজনকৃত বাগান থেকে কর্তনকৃত গাছের জরিমানা প্রদান করতে হবে। ইসমাইল হোসেনকে মুক্তি দিতে হবে এবং মন্ত্রীর কেয়ারটেকার সাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করতে হবে।