ময়মনসিংহে অবৈধ ব্লাড ব্যাংক!
- আপডেট সময় : ০৪:০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে
স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ময়মনসিংহে চলছে একাধিক প্রতিষ্ঠান ব্লাড ব্যাংক। যদিও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়মবিধি সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেটে পরিস্কার ভাবে বলা হয়েছে (ধারাঃ প) রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ এমবিবিএস বা সমমানের ডিগ্রীধারী এবং রক্তপরিসঞ্চালন মেডিসিন বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিবিএসএন্ডটি এমটিএম এমডি পিএইচডি ডাক্তারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
অবৈধ ব্লাড ব্যাংক পরিচালনার বিষয়টি ময়মনসিংহের একাধিক সংবাদপত্র এবং প্রচারমাধ্যমে জানার পর ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন নোটিশের মাধ্যমে সতর্ক সংকেত দেন। সিভিল সার্জনের কড়া ভাষায় নোটিশ জারীর পর অবৈধ ব্লাড ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধের পরিবর্তে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশত অবৈধ ব্লাড ব্যাংক ব্যবসা চালু রেখেছে।
অভিযোগ রয়েছে, এসব ব্লাড ব্যাংক পরিচালনার দজ্ঞতা অনেকেরই নেই। কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক দৃষ্টি ভঙ্গি থেকেই এসব অবৈধ ব্লাড ট্রান্সফিউশন ব্লাড সংগ্রহ এবং সংরক্ষনে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা ব্লাডের ইত্যাদি না বুঝেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া সরকারী অনুমোদন প্রাপ্ত ব্লাড ব্যাংক হচ্ছে কমিউনিটি বেইজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক এন্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, বাঘমারার নিরাপদ ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিস সেন্টার এন্ড ব্লাড ব্যাংক এবং ময়মনসিংহ ব্লাড ব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার।
জানা গেছে, ময়মনসিংহে অবৈধ ব্লাড ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে, রোগী কল্যান ব্লাড ব্যাংক, নিউ নিরাপদ সেফ ব্লাড ট্রান্সফিউশন, সেইফ ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, সেইফ ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিস সেন্টার, নির্ণয় ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিস সেন্টার ইত্যাদি প্রায় অর্ধশতাধিক সার্ভিস সেন্টারের নামে ভুঁয়া প্যাড বিল ভাউচারসহ নানাবিধ কাগজ পত্র।
ডা: বাবলা বলেন, নিবন্ধিত ছাড়া কেউ যদি ব্লাড ব্যাংক পরিচালনা করেন তাহলে সেটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ঘরে ঘরে ব্লাড ব্যাংক। কিছু ক্লিনিক মালিকদের যোগসাজসে ক্রস মেচিং ছাড়াই রোগীদের ব্লাড দেওয়া হচ্ছে। যেটি বিপজ্জ্নক। কোন অফিস বা প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট ছাড়াই নামে-বেনামে সাইন বোর্ড ধারীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে কাজ করে থাকেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই চিকিৎসক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ক্লিনিক মালিক বলেন, এসব নামধারীদের কাছ থেকে ব্লাড নিয়ে ইতিপূর্বে অনেক রোগীও দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তারা এক গ্রুপের ব্লাডধারীকে অন্য গ্রুপের ব্লাড দিতেও দেখা যায় এবং বিভিন্ন সময় টাকার বিনিময়ে ব্লাড বিক্রিও করে থাকে এসব চক্র।