ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

অবৈধ মাটি ব্যবসা ও রাতের মাটি পরিবহনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান

মহাদেবপুরে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

কামরুল হাসান জীবন, নওগাঁ
  • আপডেট সময় : ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার রাইগা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি অনুসন্ধানে নামেন সাংবাদিক কামরুল হাসান জীবন, জাতীয় দৈনিক গণমুক্তি, এই বাংলা ও দেশকাল টিভি-এর প্রতিনিধি হিসেবে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বদলগাছি উপজেলার রুবেল নামের এক মাটি ব্যবসায়ী এবং তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে ভেকু মেশিন ব্যবহার করে মাটি কেটে বিক্রি করছিল। তারা রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করত এবং এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্ভয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তারা তিরস্কার, অপমান ও চ্যালেঞ্জ করে বলে— “তুমি কিছুই করতে পারবে না! মাটি কাটা বা ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে পারবে না!” এমনকি রাতের বেলা আমার সামনে এসে আরও বলে— “এত রাতে আপনার এখানে কাজ কী?” কিন্তু একজন দায়িত্বশীল অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে আমি ভয় পাইনি, বরং নির্ভয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করে ঘটনাটি জানাই মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে। পরবর্তীতে আমি লিখিতভাবে পুরো বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে নওগাঁ জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আব্দুল আউয়াল-এর নিকট দাখিল করি।
প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় এবং তদন্তের ভিত্তিতে পুকুরের মালিক সাজ্জাদ হোসেন সাগরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি যারা অবৈধভাবে মাটি কাটছিল, ভেকু মেশিন ব্যবহার করছিল এবং রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন ও বিক্রয় করছিল, তাদেরকে আরও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সর্বমোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এই অভিযানের মাধ্যমে প্রশাসন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, অবৈধ মাটি খনন, বিক্রি বা পরিবহন কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। আমি এখান থেকে একটিই বলতে চাই— সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ করবেন না, কারণ সত্যের পথে কাজ করলে প্রশাসনও পাশে থাকে। যারা অবৈধভাবে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, তাদের স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দিচ্ছি— পুনরায় এমন অন্যায় করলে প্রমাণসহ সংবাদ প্রকাশিত হবে এবং প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সত্যকে কখনো দমন করা যায় না; সাহসী সাংবাদিকতা শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়। আমি, কামরুল হাসান জীবন, সত্য, ন্যায় ও জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি— যেন শেষ পর্যন্ত সত্যের পথে অটল থাকতে পারি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবৈধ মাটি ব্যবসা ও রাতের মাটি পরিবহনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান

মহাদেবপুরে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেট সময় :

নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার রাইগা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি অনুসন্ধানে নামেন সাংবাদিক কামরুল হাসান জীবন, জাতীয় দৈনিক গণমুক্তি, এই বাংলা ও দেশকাল টিভি-এর প্রতিনিধি হিসেবে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বদলগাছি উপজেলার রুবেল নামের এক মাটি ব্যবসায়ী এবং তার সহযোগীরা প্রকাশ্যে ভেকু মেশিন ব্যবহার করে মাটি কেটে বিক্রি করছিল। তারা রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করত এবং এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্ভয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তারা তিরস্কার, অপমান ও চ্যালেঞ্জ করে বলে— “তুমি কিছুই করতে পারবে না! মাটি কাটা বা ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে পারবে না!” এমনকি রাতের বেলা আমার সামনে এসে আরও বলে— “এত রাতে আপনার এখানে কাজ কী?” কিন্তু একজন দায়িত্বশীল অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে আমি ভয় পাইনি, বরং নির্ভয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করে ঘটনাটি জানাই মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে। পরবর্তীতে আমি লিখিতভাবে পুরো বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে নওগাঁ জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আব্দুল আউয়াল-এর নিকট দাখিল করি।
প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় এবং তদন্তের ভিত্তিতে পুকুরের মালিক সাজ্জাদ হোসেন সাগরকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি যারা অবৈধভাবে মাটি কাটছিল, ভেকু মেশিন ব্যবহার করছিল এবং রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন ও বিক্রয় করছিল, তাদেরকে আরও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সর্বমোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এই অভিযানের মাধ্যমে প্রশাসন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, অবৈধ মাটি খনন, বিক্রি বা পরিবহন কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। আমি এখান থেকে একটিই বলতে চাই— সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জ করবেন না, কারণ সত্যের পথে কাজ করলে প্রশাসনও পাশে থাকে। যারা অবৈধভাবে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, তাদের স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দিচ্ছি— পুনরায় এমন অন্যায় করলে প্রমাণসহ সংবাদ প্রকাশিত হবে এবং প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সত্যকে কখনো দমন করা যায় না; সাহসী সাংবাদিকতা শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়। আমি, কামরুল হাসান জীবন, সত্য, ন্যায় ও জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি— যেন শেষ পর্যন্ত সত্যের পথে অটল থাকতে পারি।