ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসুতে ৪০ ঘণ্টার নাটকীয়তা Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন

মাদক, সুদ এবং প্রতারক চক্রের উৎপাতে মান্দাবাসি

নওগাঁ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মান্দার সম্প্রতি কিছু ঘটনায় এলাকাবাসীর দাবী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে নাম জানা দুই জন ব্যাক্তি ১।মোঃ কামাল হোসেন,পিতা মোঃ হেলাল উদ্দিন,সাং বড়পই, মান্দা,নওগাঁ ২। মোঃ আপেল মাহমুদ (বিপ্লব),পিতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাং পারইল,মান্দা,নওগাঁ একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ভয়াবহ প্রতারণা,মাদক ও নিপীড়নের নির্মম চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মান্দায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে রমরমা সুদের ব্যবসা আর প্রতারণা,মাদক চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। যেখানে স্থানীয় মান্দার কয়েকটি এনজিওর অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে স্থানীয়ভাবে ‘সুদারু’ হিসেবে অভিহিত সহস্রাধিক ফড়িয়া এ সুদ ব্যবসা ও প্রতারণা চালাচ্ছেন। মান্দায় এ চক্রটির প্রতারণার কৌশল খুবই মারাত্মক। সেখানে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কাছ থেকে নির্ধারিত সুদে ঋণ নেন দাদন ব্যবসায়ীরা। তারপর সেই ঋণ অতিরিক্ত সুদে সরবরাহ করেন প্রান্তিক কৃষক,সহজ সরল মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছে। আর এমন ঋণ পেতে হলে আগে প্রত্যেক গ্রহীতাকে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। সেই অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ‘ব্ল্যাংক চেক’ জমা রাখতে হয় সুদ ব্যবসায়ীর কাছে। কেউ ঋণ নিয়ে নির্ধারিত সময়ে ফেরত দিতে না পারলে সেসব চেক বিক্রি করে দেওয়া হয় ক্ষমতাশালী সুদ ব্যবসায়ীদের কাছে। তারা সেই চেকগুলো কিনে জবরদস্তি করে টাকা আদায় করেন। অন্যথায় ‘চেক ডিজঅনার’ করিয়ে আদালতে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকেন।
এতে ‘সুদারুরা’ কোটিপতি হয়েছেন আর ঋণগ্রহীতার নিঃস্ব হয়েছেন, অনেকেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এমন প্রতারণার ঘটনায় ঋণগ্রহীতার ১ লাখ টাকার চেক জালিয়াতি করে ১৩ লাখ টাকা আদায়ের মামলা কিংবা মাত্র ১০ হাজার টাকার চেক জালিয়াতি করে ১০ লাখ টাকা আদায়ের জন্যও মামলা হয়েছে। প্রথমে অন্যায়ভাবে ‘ব্ল্যাংক চেক’ নেওয়া আর পরে সেই চেক জালিয়াতি করে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টে মামলার সংখ্যায় বলে দেয় সেখানকার প্রতারক চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত ও কতটা ব্যাপক। নওগাঁর মান্দায় প্রায় প্রতিদিনই এমন মামলা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় সুদ-ব্যবসার নামে এমন প্রতারণার চক্রে যুক্ত সবার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাদক, সুদ এবং প্রতারক চক্রের উৎপাতে মান্দাবাসি

আপডেট সময় :

মান্দার সম্প্রতি কিছু ঘটনায় এলাকাবাসীর দাবী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে নাম জানা দুই জন ব্যাক্তি ১।মোঃ কামাল হোসেন,পিতা মোঃ হেলাল উদ্দিন,সাং বড়পই, মান্দা,নওগাঁ ২। মোঃ আপেল মাহমুদ (বিপ্লব),পিতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাং পারইল,মান্দা,নওগাঁ একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ভয়াবহ প্রতারণা,মাদক ও নিপীড়নের নির্মম চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। মান্দায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে রমরমা সুদের ব্যবসা আর প্রতারণা,মাদক চালিয়ে যাচ্ছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। যেখানে স্থানীয় মান্দার কয়েকটি এনজিওর অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে স্থানীয়ভাবে ‘সুদারু’ হিসেবে অভিহিত সহস্রাধিক ফড়িয়া এ সুদ ব্যবসা ও প্রতারণা চালাচ্ছেন। মান্দায় এ চক্রটির প্রতারণার কৌশল খুবই মারাত্মক। সেখানে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কাছ থেকে নির্ধারিত সুদে ঋণ নেন দাদন ব্যবসায়ীরা। তারপর সেই ঋণ অতিরিক্ত সুদে সরবরাহ করেন প্রান্তিক কৃষক,সহজ সরল মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কাছে। আর এমন ঋণ পেতে হলে আগে প্রত্যেক গ্রহীতাকে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। সেই অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ‘ব্ল্যাংক চেক’ জমা রাখতে হয় সুদ ব্যবসায়ীর কাছে। কেউ ঋণ নিয়ে নির্ধারিত সময়ে ফেরত দিতে না পারলে সেসব চেক বিক্রি করে দেওয়া হয় ক্ষমতাশালী সুদ ব্যবসায়ীদের কাছে। তারা সেই চেকগুলো কিনে জবরদস্তি করে টাকা আদায় করেন। অন্যথায় ‘চেক ডিজঅনার’ করিয়ে আদালতে মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকেন।
এতে ‘সুদারুরা’ কোটিপতি হয়েছেন আর ঋণগ্রহীতার নিঃস্ব হয়েছেন, অনেকেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এমন প্রতারণার ঘটনায় ঋণগ্রহীতার ১ লাখ টাকার চেক জালিয়াতি করে ১৩ লাখ টাকা আদায়ের মামলা কিংবা মাত্র ১০ হাজার টাকার চেক জালিয়াতি করে ১০ লাখ টাকা আদায়ের জন্যও মামলা হয়েছে। প্রথমে অন্যায়ভাবে ‘ব্ল্যাংক চেক’ নেওয়া আর পরে সেই চেক জালিয়াতি করে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টে মামলার সংখ্যায় বলে দেয় সেখানকার প্রতারক চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত ও কতটা ব্যাপক। নওগাঁর মান্দায় প্রায় প্রতিদিনই এমন মামলা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় সুদ-ব্যবসার নামে এমন প্রতারণার চক্রে যুক্ত সবার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।