মাদারীপুরে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু, আহত ৩০
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে : ছবি সংগ্রহ
মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ত্রিমুখী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান। পাল্টা হামলা চালিয়ে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা।
এসব সংঘর্ষে ১০জন পুলিশ সদস্য, ২জন সংবাদকর্মীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এ ছাড়া লেকের পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শেখ হাসিনা মহাসড়কের ডিসি ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শকুনি লেকপাড়, পুলিশ সুপারের বাসভবন, জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনেও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ চলায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
হামলার পর পর পালাতে গিয়ে ঘটনাস্থলে শকুনি লেকে পড়ে তিনজন নিখোঁজ হন। এদের মধ্যে বৃস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১টা পর্যন্ত দুজনের কোনো খোঁজ মেলেনি। মাদারীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করেন।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে মাদারীপুর সরকারি কলেজ, চরমুগরিয়া কলেজ, ইউনাইটেড সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা ইউআই স্কুল মাঠে জড়ো হন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা মহাসড়কের ডিসি ব্রিজ এলাকায় জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বেলা ১১টার দিকে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। অন্যদিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরাও তাঁদের লক্ষ্য করে হামলা চালান।
এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। ডিসি ব্রিজ থেকে পুরোনো কোর্ট পর্যন্ত টানা এক ঘণ্টা চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
এ সময় পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে থাকা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ ৪০টি রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এতে পুলিশের অন্তত ১০ জন সদস্য, ২ জন সাংবাদিকসহ আহত হন অন্তত ৩০ জন। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।