ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জের  কার্টুনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় মিলেছে

ছাবিনা দিলরুবা, মানিকগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
 মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল  ইউনিয়নের এগারশ্রী গ্রামের রাস্তার  পাশে পড়ে থাকা মরদেহ রাজধানীর উত্তরা এলাকার গৃহবধূ বিউটি গোস্বামীর, বয়স ৩৮। ঘটনার পাঁচ দিন পর রোববার (৬ এপ্রিল) পুলিশ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে। তবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখন ও অজানা, এবং এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত নারীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যদের খবর দিয়ে মরদেহটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত বিউটির বাড়ি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আদিতমারী গ্রামে। পিতা নিহার রঞ্জন গোস্বামী ও মাতা রত্না রানী চক্রবর্তীর বড় মেয়ে তিনি। ঢাকার উত্তরা এলাকায় স্বামী অলক রঞ্জন গোস্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন বিউটি। অলক একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন। তাদের সংসারে রয়েছে দুই ছেলে সন্তান।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নিহতের বাবা নিহার রঞ্জন গোস্বামী বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকেই স্বামী অলক রঞ্জন পলাতক রয়েছেন, যা তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গত ৪ এপ্রিল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের এগারোশ্রী এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি কার্টুনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত এই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিনে ঢাকার নবাবগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ থেকেও কার্টুনে মোড়ানো মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, সব অংশই একই নারীর।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গৃহবধূ বিউটির নির্মম হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী ছিল, কে বা কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত—তা খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে এবং খুব শিগগিরই দোষীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মানিকগঞ্জের  কার্টুনে মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় মিলেছে

আপডেট সময় :
 মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল  ইউনিয়নের এগারশ্রী গ্রামের রাস্তার  পাশে পড়ে থাকা মরদেহ রাজধানীর উত্তরা এলাকার গৃহবধূ বিউটি গোস্বামীর, বয়স ৩৮। ঘটনার পাঁচ দিন পর রোববার (৬ এপ্রিল) পুলিশ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে। তবে হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখন ও অজানা, এবং এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত নারীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। পরে পরিবারের সদস্যদের খবর দিয়ে মরদেহটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত বিউটির বাড়ি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের আদিতমারী গ্রামে। পিতা নিহার রঞ্জন গোস্বামী ও মাতা রত্না রানী চক্রবর্তীর বড় মেয়ে তিনি। ঢাকার উত্তরা এলাকায় স্বামী অলক রঞ্জন গোস্বামীর সঙ্গে বসবাস করতেন বিউটি। অলক একটি বায়িং হাউজে চাকরি করতেন। তাদের সংসারে রয়েছে দুই ছেলে সন্তান।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় নিহতের বাবা নিহার রঞ্জন গোস্বামী বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকেই স্বামী অলক রঞ্জন পলাতক রয়েছেন, যা তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গত ৪ এপ্রিল মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের এগারোশ্রী এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি কার্টুনের ভেতর থেকে অজ্ঞাত এই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিনে ঢাকার নবাবগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ থেকেও কার্টুনে মোড়ানো মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, সব অংশই একই নারীর।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গৃহবধূ বিউটির নির্মম হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী ছিল, কে বা কারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত—তা খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে এবং খুব শিগগিরই দোষীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।