ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

মানিকগঞ্জে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে মানহানির অভিযোগ

ছাবিনা দিলরুবা, মানিকগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ৩০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আজম আলীর (৪৫) বিরুদ্ধে নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মেম্বার চৈতী আক্তার (৩১) বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা, বানোয়াটা, ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে মানহানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান.
প্রবাসীর সাবেক স্ত্রী দুই সন্তানের জননী চৈতী আক্তার পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রহস্যের জট পাকিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে আজম আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২১৬/২০২৫ নং পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আউলাদ হোসেন বলেন, আজম আলী মেম্বারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ঘটনা। নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, আজম মেম্বারের বিরুদ্ধে চৈতী আক্তার যে মামলা দিয়েছে তা মিথ্যা মামলা। যে ছবি বিভিন্ন পত্রিকাসহ অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে তাহা পরিষদে মিটিং চলা অবস্থায় এই ছবি তোলা হয়েছে।
মামলার বাদী চৈতী আক্তারের মামলার ৩ নং সাক্ষী সজল বলেন , এই ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই । মামলার ৪ নং সাক্ষী রোকেয়া বেগম বলেন, মামলার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮, ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মেম্বার চৈতী আক্তার বলেন, আমি আজম মেম্বারের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে বিচার প্রার্থী হয়েছি।তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন মানিকগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের নিকট।
নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আজম আলী বলেন , চৈতী আক্তারের সাথে আমার কোন বাজে সম্পর্ক নেই, তাঁকে আমি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের প্রশ্নই উঠেনা। আমার বিরুদ্ধে চৈতী আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, ২০০০ এর ৯(খ) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে যে মামলা দায়ের করেন তাহা সম্পূর্ণ ডাহামিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। চৈতী আক্তার আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা সামাজে আমার মানহানি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আপনারা এলাকায় এসে আমার সম্পর্কে জানেন। মামলার সাক্ষীদের নিকট মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।
ফেসবুক, অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তাহা চৈতী আক্তার ও তাঁর জনৈক ব্যক্তিদের পূর্বপরিকল্পিত সাজানো নাটক,কোন পোস্টে আজম মেম্বার ও চৌতি মেম্বার কে ভাই বোন, আবার কোন পোস্টে স্বামী স্ত্রী বলে পোস্ট দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত । আজম মেম্বার বলেন আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার এবং মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দিয়ে আমাকে যে সম্মান হানি করেছে, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, সেই সাথে যদি চৌতি মেম্বারের আইনগত ভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অপসারণ চাই। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক রিক্তা খাতুন বলেন,আমি চাই নিরপরাধ ব্যক্তি যেন কোনভাবেই হেনস্তা না হয়, আর যদি কেউ মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে কাউকে হেনস্তা সম্মানহানি করে থাকে, তদন্তে প্রমাণ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মানিকগঞ্জে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে মানহানির অভিযোগ

আপডেট সময় :

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আজম আলীর (৪৫) বিরুদ্ধে নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মেম্বার চৈতী আক্তার (৩১) বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা, বানোয়াটা, ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে মানহানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান.
প্রবাসীর সাবেক স্ত্রী দুই সন্তানের জননী চৈতী আক্তার পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রহস্যের জট পাকিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে আজম আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২১৬/২০২৫ নং পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আউলাদ হোসেন বলেন, আজম আলী মেম্বারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ঘটনা। নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, আজম মেম্বারের বিরুদ্ধে চৈতী আক্তার যে মামলা দিয়েছে তা মিথ্যা মামলা। যে ছবি বিভিন্ন পত্রিকাসহ অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে তাহা পরিষদে মিটিং চলা অবস্থায় এই ছবি তোলা হয়েছে।
মামলার বাদী চৈতী আক্তারের মামলার ৩ নং সাক্ষী সজল বলেন , এই ঘটনা সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই । মামলার ৪ নং সাক্ষী রোকেয়া বেগম বলেন, মামলার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮, ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মেম্বার চৈতী আক্তার বলেন, আমি আজম মেম্বারের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে বিচার প্রার্থী হয়েছি।তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্তের নির্দেশ দেন মানিকগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের নিকট।
নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার আজম আলী বলেন , চৈতী আক্তারের সাথে আমার কোন বাজে সম্পর্ক নেই, তাঁকে আমি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের প্রশ্নই উঠেনা। আমার বিরুদ্ধে চৈতী আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন, ২০০০ এর ৯(খ) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে যে মামলা দায়ের করেন তাহা সম্পূর্ণ ডাহামিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। চৈতী আক্তার আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা সামাজে আমার মানহানি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আপনারা এলাকায় এসে আমার সম্পর্কে জানেন। মামলার সাক্ষীদের নিকট মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।
ফেসবুক, অনলাইনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত যে ছবি ব্যবহার করা হয়েছে তাহা চৈতী আক্তার ও তাঁর জনৈক ব্যক্তিদের পূর্বপরিকল্পিত সাজানো নাটক,কোন পোস্টে আজম মেম্বার ও চৌতি মেম্বার কে ভাই বোন, আবার কোন পোস্টে স্বামী স্ত্রী বলে পোস্ট দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত । আজম মেম্বার বলেন আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার এবং মিথ্যা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ দিয়ে আমাকে যে সম্মান হানি করেছে, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, সেই সাথে যদি চৌতি মেম্বারের আইনগত ভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অপসারণ চাই। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক রিক্তা খাতুন বলেন,আমি চাই নিরপরাধ ব্যক্তি যেন কোনভাবেই হেনস্তা না হয়, আর যদি কেউ মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে কাউকে হেনস্তা সম্মানহানি করে থাকে, তদন্তে প্রমাণ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।