মানিকগঞ্জে সরকারি আইন মানছে না অবৈধ মাটিব্যাবসায়ীরা

- আপডেট সময় : ০১:০২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ ৩১২ বার পড়া হয়েছে
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের বেরুনডি এলাকায় তিন ফসলী কৃষি জমির মাটি কেটে, একদিকে তিন ফসলি কৃষি জমি ধ্বংস করছেন, অন্যদিকে জমির একপাশে ভিটেবাড়ি হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে,দেখা দিয়েছে বিশাল ফাটল, বড় ধরনের বৃষ্টি নামলেই ভিটেবাড়ি ভেঙে গভীর ডুবায় চলে যাবে। বাড়ির মালিক ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না।জানা যায় বলধারা ইউনিয়নের মননেস কোম্পানির ইট ভাটার পূর্ব দক্ষিণ পাশে সরকারি আইন অমান্য করে তিন ফসলি কৃষি জমির বাটি কাটছে সাইফুল এবং মোয়াজ্জেম। তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার বিষয় জানতে চাইলে মোয়াজ্জেম বলেন, আপনারা মানিকগঞ্জের সাংবাদিক, সিংগাইরে কেন আসেন? আপনারা নিউজ করেন।
সিংগাইর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বলেন,গতকাল তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধে আমরা রাত তিনটার সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি,পর্যায়ক্রমে সকল জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। এদিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মধ্য কৃষ্ণপুর চকে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে উৎসব পালন করছেন, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী ভূমিদস্যু ইস্রাফিল। অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী ভূমিদস্যু ইসরাফিল প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে,মধ্যকৃষ্ণপুর চক ডোবায় পরিণত করছেন এবং মাটি পরিবহন করতে গিয়ে গ্রামীণ রাস্তাঘাট ধ্বংস করে সরকারের কোটি কোটি টাকা ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিচ্ছেন।কৃষ্ণপুর ইউনিয়নবাসী বলেন জাতীয় দৈনিক গণমুক্তি পত্রিকা সহ, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশের পরেও নিরব রয়েছেন প্রশাসন। প্রশাসন যেন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী ভূমিদস্যু ইসরাফিলের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এছাড়া পুটাইল ইউনিয়নের কাফাটিয়া সুন্দর স্বপ্ন উৎপাদন মুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর অপজিটে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে ফসলি জমি ধ্বংস করছেন মনির নামের মাটি ব্যবসায়ী। অপরদিকে আটিগ্রাম ইউনিয়নের ভগবানপুর মৌজার তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে ফসলি জমির সংবাদ প্রকাশের পরে ও রাতের আঁধারে অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে, মানিকগঞ্জের বাইরে ঢাকার বিভিন্ন উপজেলায় মাটি পাচার করে নিজেকে ক্ষমতাধর মাটি ব্যবসায়ী বলে প্রমাণ করে যাচ্ছেন সোহেল মুন্সী ।
তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটার তাণ্ডবে একদিকে তিন ফসলি কৃষি জমি মানিকগঞ্জ থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে সরকারের কোটি কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দের গ্রামীণ রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে,বাদ যাচ্ছে না পিচ ঢালাই রাস্তার। পিস ঢালাই রাস্তার দিকে তাকালে দেখা যায় কাদা মাটির প্রলেপ যার ফলে বৃষ্টি নামলেই মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহন বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে বেড়ে যাবে অকাল প্রাণহানি। সাধারণ জনগণ বলছেন রাতের বেলায় তিন ফসলি কৃষি জমির ধ্বংসের ক্ষমতাধর মাটি ব্যবসায়ীরা দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা। এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তারা বলেন, আমরা এসিল্যান্ড স্যার কে জানিয়েছি, ব্যবস্থা না নিলে আমাদের কিছুই করার থাকেনা। তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটার বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রিক্তা খাতুন কে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন না।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউ এন ও) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দৈনিক গণমুক্তি কে বলেন আপনাদের তথ্যের ভিত্তিতে একের পর এক মোবাইল কোর্ট করে জরিমানা করার পর তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধ করা হচ্ছে,অভিযান চলমান আছে।