ঢাকা ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীনগরে ভূট্টায় কৃষকের স্বপ্ন Logo নওগাঁ সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনএসআই মাঠ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে Logo মধুখালীতে গোল্ডেন পরিবহনের চাপায় এক ভ্যান যাত্রী নিহত Logo সেনবাগে বৃদ্ধের বসতঘর ভংচুর, পিটিয়ে হাত ভাঙ্গল ভাতিজা Logo নরসিংদীর মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন Logo সপ্তাহ ব্যাপী অভিযানে ফেনী ব্যাটালিয়ান ৪ বিজিবির কোটি টাকার মালামাল আটক Logo ডাকবাংলায় আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের দাপট: ফের সক্রিয় অপরাধ জগতে Logo পৌনে এক কোটি টাকার কালভার্টের মূল কাজ শুরু হয়নি ৪ বছরেও,দুর্ঘটনা ও ভোগান্তিতে ৫০গ্রামের বাসিন্দা Logo ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে  মানববন্ধন, দূর্নীতিবাজদের প্রত্যাহারের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৪:২২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ১০৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
অসামাজিক কাজে লিপ্ত ও দূর্নীতি’র অভিযোগে অভিযুক্ত গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা’র বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ এবং সেই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সাংবাদিকসহ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়। মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধসহ দূর্নীতিবাজদের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনিক ভবন গেট সংলগ্ন এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের দোসর গোদাগাড়ী উপজেলার বর্তমান ইউএনও ফয়সাল আহমেদের প্রত্যক্ষ মদদে তাঁর ও পূর্বের ইউএনও’ রাইট হ্যান্ড খ্যাত উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও কাজের মেয়ে রুবিনার যোগসাজশে স্থানীয় সাংবাদিক ও জনতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। মামলার পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিলো। আ’লীগের দোসর উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার পরেও এখনো বহাল তবিয়তে থাকায় স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
কাজের মেয়ের সাথে রুপালী ভবনে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় স্থানীয় জনগণ তাদের আটক করেন।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দৈনিক জনকণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি অলিউল্লাহসহ অনেকেই। এরপর ওই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গোদাগাড়ী থানার আরেক দূর্নীতিবাজ আ’লীগের দোসর ওসি রুহুল আমিনের সহযোগিতায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে অবশ্য ওই মামলায় সকলে জামিন নেন। শুধু মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষান্ত নয় ওই উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর। পরে ওই নারীর স্বামীকে বাদ দিয়ে বিয়ে করার বিষয়ে আলোচনা হয়। বিয়ের পরে ওই নারীকে দিয়ে একেরপর এক হয়রানির উদ্দেশ্যে সাংবাদিকসহ স্থানীদের হুমকি ধামকি প্রদানও করছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করাসহ সমাজের অনিয়ম তুলে ধরায় হামলা মামলার শিকার হয়। তেমনি একটি ঘটনায় গত ১ মার্চ গোদাগাড়ী মডেল থানায় ও ৬ এপ্রিল রাজশাহীর আদালতে পৃথক ২ টি মামলা করে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও কাজের মেয়ে রুবিনা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী হাফিজুর রহমান কাজের মেয়ে রুবিনার অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় জনতার হাতে আটক হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিক অলিউল্লাহ সহ রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা নিউজ প্রকাশ করেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আটকের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করেন সাধারণ জনগণ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার প্রশাসনের পরামর্শে মামলা করেন তারা। মানববন্ধন থেকে ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার,  ইউএনও ফয়সাল আহমেদ ও চরিত্রহীন কর্মকর্তা হাফিজুরের অপসারণের দাবী জানানো হয়। অবিলম্বে  ওই সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয় মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও ইউএনওসহ উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় আ’লীগের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচিসহ উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও এ ঘটনায় স্থানীয়রাসহ সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করবেন। প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিলও করবেন তাঁরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আমার দেশ পত্রিকার গোদাগাড়ী প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, কালবেলার সাংবাদিক জামিল, সংগ্রাম পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুল খালেক, উপচার পত্রিকার সাংবাদিক সারোয়ার সবুজ, সময়ের আলো পত্রিকার সাংবাদিক আবু তাহের, মানবকণ্ঠের সাংবাদিক মানিক হোসেন, নববাণীর সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম,  জনকণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক অলিউল্লাহ সহ স্থানীয় জনসাধারণ।
উল্লেখ্য, গোদাগাড়ী উপজেলার উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও কাজের মেয়ে রুবিনা গত ২৭ ফেব্রুয়ারী আনুমানিক বিকেল ৫:৩০ মিনিটে উপজেলার রুপালী ভবনের ২য় তলায় জনতার হাতে আটক হন। এ বিষয়ে নিউজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় তাদের ভিডিও। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ১ মার্চ একটি মিথ্যা মামলা করেন হাফিজুর। প্রথম অভিযোগে বলা হয় বর্তমান ও সাবেক ইউএনও’র পরামর্শে  অভিযোগ করেন তিনি।পরবর্তী অভিযোগে বলা হয় পরিবারের পরামর্শে। এছাড়াও হাফিজুরের বিরুদ্ধে ১৮ আগস্ট ২০২৪ সালে ১৭৫৬ নং ডকেটে ঘুষ,দূর্নীতি ও বাঘা -চারঘাটে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ দেওয়া হয় রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে  মানববন্ধন, দূর্নীতিবাজদের প্রত্যাহারের দাবি

আপডেট সময় : ০৪:২২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
অসামাজিক কাজে লিপ্ত ও দূর্নীতি’র অভিযোগে অভিযুক্ত গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা’র বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ এবং সেই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সাংবাদিকসহ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়। মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধসহ দূর্নীতিবাজদের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনিক ভবন গেট সংলগ্ন এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের দোসর গোদাগাড়ী উপজেলার বর্তমান ইউএনও ফয়সাল আহমেদের প্রত্যক্ষ মদদে তাঁর ও পূর্বের ইউএনও’ রাইট হ্যান্ড খ্যাত উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও কাজের মেয়ে রুবিনার যোগসাজশে স্থানীয় সাংবাদিক ও জনতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। মামলার পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিলো। আ’লীগের দোসর উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার পরেও এখনো বহাল তবিয়তে থাকায় স্থানীয় সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
কাজের মেয়ের সাথে রুপালী ভবনে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় স্থানীয় জনগণ তাদের আটক করেন।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দৈনিক জনকণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি অলিউল্লাহসহ অনেকেই। এরপর ওই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গোদাগাড়ী থানার আরেক দূর্নীতিবাজ আ’লীগের দোসর ওসি রুহুল আমিনের সহযোগিতায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে অবশ্য ওই মামলায় সকলে জামিন নেন। শুধু মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্ষান্ত নয় ওই উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর। পরে ওই নারীর স্বামীকে বাদ দিয়ে বিয়ে করার বিষয়ে আলোচনা হয়। বিয়ের পরে ওই নারীকে দিয়ে একেরপর এক হয়রানির উদ্দেশ্যে সাংবাদিকসহ স্থানীদের হুমকি ধামকি প্রদানও করছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করাসহ সমাজের অনিয়ম তুলে ধরায় হামলা মামলার শিকার হয়। তেমনি একটি ঘটনায় গত ১ মার্চ গোদাগাড়ী মডেল থানায় ও ৬ এপ্রিল রাজশাহীর আদালতে পৃথক ২ টি মামলা করে উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও কাজের মেয়ে রুবিনা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী হাফিজুর রহমান কাজের মেয়ে রুবিনার অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় জনতার হাতে আটক হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিক অলিউল্লাহ সহ রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা নিউজ প্রকাশ করেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আটকের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল করেন সাধারণ জনগণ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার প্রশাসনের পরামর্শে মামলা করেন তারা। মানববন্ধন থেকে ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার,  ইউএনও ফয়সাল আহমেদ ও চরিত্রহীন কর্মকর্তা হাফিজুরের অপসারণের দাবী জানানো হয়। অবিলম্বে  ওই সমস্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয় মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও ইউএনওসহ উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় আ’লীগের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচিসহ উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও এ ঘটনায় স্থানীয়রাসহ সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করবেন। প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিলও করবেন তাঁরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আমার দেশ পত্রিকার গোদাগাড়ী প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম, কালবেলার সাংবাদিক জামিল, সংগ্রাম পত্রিকার সাংবাদিক আব্দুল খালেক, উপচার পত্রিকার সাংবাদিক সারোয়ার সবুজ, সময়ের আলো পত্রিকার সাংবাদিক আবু তাহের, মানবকণ্ঠের সাংবাদিক মানিক হোসেন, নববাণীর সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম,  জনকণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক অলিউল্লাহ সহ স্থানীয় জনসাধারণ।
উল্লেখ্য, গোদাগাড়ী উপজেলার উপ- প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ও কাজের মেয়ে রুবিনা গত ২৭ ফেব্রুয়ারী আনুমানিক বিকেল ৫:৩০ মিনিটে উপজেলার রুপালী ভবনের ২য় তলায় জনতার হাতে আটক হন। এ বিষয়ে নিউজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় তাদের ভিডিও। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ১ মার্চ একটি মিথ্যা মামলা করেন হাফিজুর। প্রথম অভিযোগে বলা হয় বর্তমান ও সাবেক ইউএনও’র পরামর্শে  অভিযোগ করেন তিনি।পরবর্তী অভিযোগে বলা হয় পরিবারের পরামর্শে। এছাড়াও হাফিজুরের বিরুদ্ধে ১৮ আগস্ট ২০২৪ সালে ১৭৫৬ নং ডকেটে ঘুষ,দূর্নীতি ও বাঘা -চারঘাটে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ দেওয়া হয় রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর।