ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

মিয়ানমারে পাচারকাল ঔষধ ও গাড়ি জব্দ, গ্রেফতার ৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রামুর গর্জনিয়ায় পুলিশ ও ডিজিএফআইয়ের যৌথ অভিযানে মিয়ানমারে পাচারকালে ৩৫৩৮৮২ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের ২৯ কার্টুন ঔষুধ, ১ টি স্কয়ার গাড়ি, এল১ টি সিএনজি গাড়ি সহ ৩ জন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিজিএফআই সূত্রে জানাযায়, সীমান্ত জনপদ কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে একদল চিহ্নিত চোরাকারবারি সিন্ডিকেট করে প্রশাসনের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমান ঔষধ, বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও সার মিয়ানমারে পাচার করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ সেপ্টেম্বর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শাহ সুজা লউকায় উঠিয়া সড়ক পথে কচ্ছপিয়া মৌলভী কাটা এলাকার নুরুল আলমের পুত্র সালামত উল্লাহর নেতৃত্বে গাড়ি ভর্তি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ মিয়ানমারে পাচার করবে। এমন গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির নবাগত ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই যৌথ ভাবে কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের গ্রামীণ ব্যাংকের আশপাশে ছদ্মবেশে অবস্থান নেন।
২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির নবাগত ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২৯ কার্টুন বিভিন্ন প্রকারের ঔষুধ, যার আনুমানিক মূল্য ৩৫৩৮৮২ ( তিন লাখ তিপ্পান্ন হাজার আটশত বিরাশি) টাকা, জব্দকৃত স্কয়ার গাড়ি একটি যার আনুমানিক মূল্য ১০০০০০০( দশ লাখ) টাকা ও জব্দকৃত সিএনজি গাড়ি একটি, যার আনুমানিক মূল্য ৩০০০০০( তিন লাখ) টাকা জব্দ করেন এবং মিয়ানমার চোরাচালানী কচ্ছপিয়া মৌলভী কাটা এলাকার নুরুল আলমের পুত্র সালামত উল্লাহ (৩৫) ঢাকা ধামরাই যাদবপুর এলাকার ইয়াছিন আলির পুত্র তারিকুল ইসলাম (৪৮) নোয়াখালী জেলার কবির হাট উপজেলার সুন্দলপুরের মৃত শহিদুল্লাহর পুত্র রিয়াজুল্লাহ (৩৬) কে আটক করেন।তবে আটককৃত কচ্ছপিয়া মৌলভী কাটা এলাকার সিএনজি ড্রাইভার শহিদুল্লাহ (২৫) ঘটনাস্থল থেকে পলাতক রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জব্দকৃত ঔষধ, গাড়ি ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা রুজুর চূড়ান্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির নবাগত ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনির এ প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনির। তিনি যোগদানের পর থেকে একের পর এক মিয়ানমারে চোরাচালান পাচার রোধে সচেতনতামূলক সভা করে আসছেন। পাশাপাশি মিয়ানমারে যাতে চোরাকারবারীরা চোরাচালান পাচার করতে না পারেন সীমান্তবর্তী পয়েন্ট গুলোতে পুলিশি অভিযান জোরদার রেখেছেন। যার কারণে যোগদানের অল্পদিনের মধ্যে চোরাকারবারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনির জানান,মিয়ানমারে চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নিতে পুলিশ রাত-দিন পাহারায় রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মিয়ানমারে পাচারকাল ঔষধ ও গাড়ি জব্দ, গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় :

রামুর গর্জনিয়ায় পুলিশ ও ডিজিএফআইয়ের যৌথ অভিযানে মিয়ানমারে পাচারকালে ৩৫৩৮৮২ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের ২৯ কার্টুন ঔষুধ, ১ টি স্কয়ার গাড়ি, এল১ টি সিএনজি গাড়ি সহ ৩ জন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিজিএফআই সূত্রে জানাযায়, সীমান্ত জনপদ কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে একদল চিহ্নিত চোরাকারবারি সিন্ডিকেট করে প্রশাসনের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমান ঔষধ, বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও সার মিয়ানমারে পাচার করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ সেপ্টেম্বর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শাহ সুজা লউকায় উঠিয়া সড়ক পথে কচ্ছপিয়া মৌলভী কাটা এলাকার নুরুল আলমের পুত্র সালামত উল্লাহর নেতৃত্বে গাড়ি ভর্তি বিভিন্ন ধরনের ঔষধ মিয়ানমারে পাচার করবে। এমন গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির নবাগত ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই যৌথ ভাবে কচ্ছপিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের গ্রামীণ ব্যাংকের আশপাশে ছদ্মবেশে অবস্থান নেন।
২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির নবাগত ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ২৯ কার্টুন বিভিন্ন প্রকারের ঔষুধ, যার আনুমানিক মূল্য ৩৫৩৮৮২ ( তিন লাখ তিপ্পান্ন হাজার আটশত বিরাশি) টাকা, জব্দকৃত স্কয়ার গাড়ি একটি যার আনুমানিক মূল্য ১০০০০০০( দশ লাখ) টাকা ও জব্দকৃত সিএনজি গাড়ি একটি, যার আনুমানিক মূল্য ৩০০০০০( তিন লাখ) টাকা জব্দ করেন এবং মিয়ানমার চোরাচালানী কচ্ছপিয়া মৌলভী কাটা এলাকার নুরুল আলমের পুত্র সালামত উল্লাহ (৩৫) ঢাকা ধামরাই যাদবপুর এলাকার ইয়াছিন আলির পুত্র তারিকুল ইসলাম (৪৮) নোয়াখালী জেলার কবির হাট উপজেলার সুন্দলপুরের মৃত শহিদুল্লাহর পুত্র রিয়াজুল্লাহ (৩৬) কে আটক করেন।তবে আটককৃত কচ্ছপিয়া মৌলভী কাটা এলাকার সিএনজি ড্রাইভার শহিদুল্লাহ (২৫) ঘটনাস্থল থেকে পলাতক রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
জব্দকৃত ঔষধ, গাড়ি ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা রুজুর চূড়ান্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির নবাগত ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনির এ প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনির। তিনি যোগদানের পর থেকে একের পর এক মিয়ানমারে চোরাচালান পাচার রোধে সচেতনতামূলক সভা করে আসছেন। পাশাপাশি মিয়ানমারে যাতে চোরাকারবারীরা চোরাচালান পাচার করতে না পারেন সীমান্তবর্তী পয়েন্ট গুলোতে পুলিশি অভিযান জোরদার রেখেছেন। যার কারণে যোগদানের অল্পদিনের মধ্যে চোরাকারবারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর শাহজাহান মনির জানান,মিয়ানমারে চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নিতে পুলিশ রাত-দিন পাহারায় রয়েছে।