ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মিয়ানমার থেকে ফের বাংলাদেশি ট্রলারে গুলিবর্ষণ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌ-রুটে বাংলাদেশি ট্রলার লক্ষ্য করে ফের মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে যাত্রী নিয়ে দুটি ট্রলার টেকনাফে ফিরছিল। বেলা দুইটা নাগাদ শাহপরীর দ্বীপের বদরমোকাম এলাকায় নাফ নদীর মোহনায় গুলির ঘটনা ঘটে।

গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ট্রলার লক্ষ্য করে কয়েক দফায় গুলি ছোড়া হয়। এরপর ১২ জুন থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।

গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিকল্প নৌপথ ব্যবহার করে সেন্ট মার্টিন যাতায়াত স্বাভাবিক করা হয়। কিন্তু বুধবার এ রুটেও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটল।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ এ কথা জানান।

আবদুর রশিদ জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাট থেকে ৭৫ জন যাত্রী নিয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে রওনা করে এফবি নাইম ও এফবি রাশেদ নামের দুটি ট্রলার। ট্রলার দুটি বিকল্প নৌপথ ব্যবহার করে বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে নাফ নদীর মোহনায় প্রবেশ করছিল।

এ সময় মিয়ানমার থেকে একের পর এক গুলি বর্ষণ করা হয়। চালকরা কৌশলে চালিয়ে গেলেও টানা আধা ঘণ্টা ধরে ট্রলার দুটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে কোনো যাত্রী হতাহত না হলেও ট্রলারে গুলি লেগেছে। দুপুর আড়াইটার দিকে ট্রলার দুটি শাহপরীর দ্বীপের জেটিতে পৌঁছায়।

আবদুর রশিদ বলেন, মিয়ানমারের জলসীমা থেকে অনেক দূরে বাংলাদেশের জলসীমায় ট্রলার দুটি চলাচল করছিল। এরপরও মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করায় চালকসহ দ্বীপবাসীর মনে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

ট্রলার লক্ষ্য করে কারা গুলি করছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মিয়ানমারের ওপারের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মনে হচ্ছে তারাই গুলি করছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সেন্ট মার্টিনের পথে চলা দুটি ট্রলারে আবারও মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মিয়ানমার থেকে ফের বাংলাদেশি ট্রলারে গুলিবর্ষণ

আপডেট সময় : ১২:০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

 

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌ-রুটে বাংলাদেশি ট্রলার লক্ষ্য করে ফের মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে যাত্রী নিয়ে দুটি ট্রলার টেকনাফে ফিরছিল। বেলা দুইটা নাগাদ শাহপরীর দ্বীপের বদরমোকাম এলাকায় নাফ নদীর মোহনায় গুলির ঘটনা ঘটে।

গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ট্রলার লক্ষ্য করে কয়েক দফায় গুলি ছোড়া হয়। এরপর ১২ জুন থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।

গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিকল্প নৌপথ ব্যবহার করে সেন্ট মার্টিন যাতায়াত স্বাভাবিক করা হয়। কিন্তু বুধবার এ রুটেও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটল।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ এ কথা জানান।

আবদুর রশিদ জানান, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাট থেকে ৭৫ জন যাত্রী নিয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে রওনা করে এফবি নাইম ও এফবি রাশেদ নামের দুটি ট্রলার। ট্রলার দুটি বিকল্প নৌপথ ব্যবহার করে বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে নাফ নদীর মোহনায় প্রবেশ করছিল।

এ সময় মিয়ানমার থেকে একের পর এক গুলি বর্ষণ করা হয়। চালকরা কৌশলে চালিয়ে গেলেও টানা আধা ঘণ্টা ধরে ট্রলার দুটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে কোনো যাত্রী হতাহত না হলেও ট্রলারে গুলি লেগেছে। দুপুর আড়াইটার দিকে ট্রলার দুটি শাহপরীর দ্বীপের জেটিতে পৌঁছায়।

আবদুর রশিদ বলেন, মিয়ানমারের জলসীমা থেকে অনেক দূরে বাংলাদেশের জলসীমায় ট্রলার দুটি চলাচল করছিল। এরপরও মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণ করায় চালকসহ দ্বীপবাসীর মনে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

ট্রলার লক্ষ্য করে কারা গুলি করছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মিয়ানমারের ওপারের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মনে হচ্ছে তারাই গুলি করছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সেন্ট মার্টিনের পথে চলা দুটি ট্রলারে আবারও মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।