ঢাকা ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

মুন্সীগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, শিক্ষক গণপিটুনির শিকার

রু‌বেল মাদবর, মুন্সীগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ১৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুন্সীগঞ্জ শহরের পিটিআই ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে—এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। অভিযোগের পরপরই স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষক রোমান মিয়াকে ধরে গণপিটুনি দেন। পরে পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। যদিও পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি, বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি পরে সেনা মোতায়েন করতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর শিক্ষক রোমান মিয়া ওই ছাত্রীকে বাথরুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাড়ি ফিরে শিশুটি তার মাকে সব ঘটনা জানালে সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক ও স্থানীয়রা ফুঁসে ওঠেন।
মুহূর্তে তারা বিদ্যালয় ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ক্ষোভ গিয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্টের ওপর; তাঁর কার্যালয় ঘিরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল।
উত্তর ইসলামপুর একজন অভিভাবক শিমু বেগম বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পরিবেশে স্কুলে পাঠাই। শিক্ষকই যদি এমন অপরাধ করে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা থাকে কীভাবে?”
পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রশাসন মাইকিং করে অভিভাবক ও স্থানীয়দের শান্ত থাকার আহ্বান জানায়।
ঘটনা সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, পিটিআইয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমরা তাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করি এবং হাসপাতালে পাঠাই। বাদীপক্ষ মামলা করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অভিযোগ যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।
অভিভাবক ও স্থানীয়রা দাবি করেন—অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুন্সীগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, শিক্ষক গণপিটুনির শিকার

আপডেট সময় :

মুন্সীগঞ্জ শহরের পিটিআই ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে—এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। অভিযোগের পরপরই স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষক রোমান মিয়াকে ধরে গণপিটুনি দেন। পরে পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। যদিও পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি, বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি পরে সেনা মোতায়েন করতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর শিক্ষক রোমান মিয়া ওই ছাত্রীকে বাথরুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাড়ি ফিরে শিশুটি তার মাকে সব ঘটনা জানালে সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক ও স্থানীয়রা ফুঁসে ওঠেন।
মুহূর্তে তারা বিদ্যালয় ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ক্ষোভ গিয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেনডেন্টের ওপর; তাঁর কার্যালয় ঘিরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা। অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল।
উত্তর ইসলামপুর একজন অভিভাবক শিমু বেগম বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পরিবেশে স্কুলে পাঠাই। শিক্ষকই যদি এমন অপরাধ করে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা থাকে কীভাবে?”
পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রশাসন মাইকিং করে অভিভাবক ও স্থানীয়দের শান্ত থাকার আহ্বান জানায়।
ঘটনা সম্পর্কে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বলেন, পিটিআইয়ের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে আমরা তাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করি এবং হাসপাতালে পাঠাই। বাদীপক্ষ মামলা করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অভিযোগ যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।
অভিভাবক ও স্থানীয়রা দাবি করেন—অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।