ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মেট্রোরেলে হামলার নেপথ্যে যারা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪ ২২৯ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকার মিরপুরের ১০ নম্বর ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম দক্ষিণ ইউনিট। গ্রেপ্তারকৃতরা পরিকল্পিতভাবে মিরপুরে মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই হামলায় প্রায় দেড় হাজার মানুষ অংশ নেয়।

গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী হামলায় সমন্বয় করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার। হামলার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের (মিশুক)।

একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বজলুল রহমান (বিজয়) ও ছাত্রদলের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি মো. ফেরদৌসকে (রুবেল) গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেছে।

রোববার (২৮ জুলাই) মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করায়।

বিশেষ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল স্টেশন, সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অদিদপ্তরে যারা আগুন দিয়েছে, পুলিশ সদস্যদের ওপর যারা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে, আমরা তাদের যেখানেই থাকুক একে একে গ্রেফতার করবো।

এরই মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। গত ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা মিরপুরের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে, সেই ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা।

হারুন অর রশিদের দাবি করে, মেট্রো স্টেশনে হামলার মাস্টারমাইন্ড ও নেতৃত্বদাতা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হান্নান। হান্নান তার সহযোগীদের নিয়ে বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল ইসলাম নিরবের নির্দেশনায় মেট্রো স্টেশনে আগুন দেয়। এই ঘটনায় আরও দুই নেতার নাম প্রকাশ করেছে তারা। যাদের মধ্যে বিএনপি নেতা শ্রাবন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। বিএনপির নেতারা চার-পাঁচজনকে দায়িত্ব দেয়। মেট্রো স্টেশনে আগুন দিয়ে ধ্বংস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়, সাধারণ মানুষ যেন মেট্রোতে আর চলাচল করতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল স্টেশনে আগুন ও দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অনেকের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে এই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা অভিযান চালছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন গাজীপুরের সাবেক মেয়রের সহকারীকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন পথচারীকে পুলিশ ভেবে মেরে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এমন বর্বোরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ড ঘটনো হয়েছে। জড়িতরা বাংলাদেশের উন্নয়নের পক্ষের কোনও লোক নয়। তারা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে। অনেকে মনে করছে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে বেঁচে যাবে। সেটা হবে না। মামলা হয়েছে। আমরা জড়িত কাউকে ছাড় দেবো না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মেট্রোরেলে হামলার নেপথ্যে যারা

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

 

ঢাকার মিরপুরের ১০ নম্বর ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম দক্ষিণ ইউনিট। গ্রেপ্তারকৃতরা পরিকল্পিতভাবে মিরপুরে মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই হামলায় প্রায় দেড় হাজার মানুষ অংশ নেয়।

গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী হামলায় সমন্বয় করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার। হামলার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের (মিশুক)।

একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বজলুল রহমান (বিজয়) ও ছাত্রদলের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি মো. ফেরদৌসকে (রুবেল) গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেছে।

রোববার (২৮ জুলাই) মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর করায়।

বিশেষ করে আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল স্টেশন, সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অদিদপ্তরে যারা আগুন দিয়েছে, পুলিশ সদস্যদের ওপর যারা হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে, আমরা তাদের যেখানেই থাকুক একে একে গ্রেফতার করবো।

এরই মধ্যে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। গত ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা মিরপুরের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে, সেই ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা।

হারুন অর রশিদের দাবি করে, মেট্রো স্টেশনে হামলার মাস্টারমাইন্ড ও নেতৃত্বদাতা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হান্নান। হান্নান তার সহযোগীদের নিয়ে বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল ইসলাম নিরবের নির্দেশনায় মেট্রো স্টেশনে আগুন দেয়। এই ঘটনায় আরও দুই নেতার নাম প্রকাশ করেছে তারা। যাদের মধ্যে বিএনপি নেতা শ্রাবন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। বিএনপির নেতারা চার-পাঁচজনকে দায়িত্ব দেয়। মেট্রো স্টেশনে আগুন দিয়ে ধ্বংস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়, সাধারণ মানুষ যেন মেট্রোতে আর চলাচল করতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল স্টেশনে আগুন ও দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অনেকের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে এই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা অভিযান চালছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন গাজীপুরের সাবেক মেয়রের সহকারীকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন পথচারীকে পুলিশ ভেবে মেরে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এমন বর্বোরোচিত হামলা ও হত্যাকান্ড ঘটনো হয়েছে। জড়িতরা বাংলাদেশের উন্নয়নের পক্ষের কোনও লোক নয়। তারা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে। অনেকে মনে করছে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে বেঁচে যাবে। সেটা হবে না। মামলা হয়েছে। আমরা জড়িত কাউকে ছাড় দেবো না।