ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

যশোর-১ আসনে নুরুজ্জামান লিটনকে প্রার্থী চান নেতা-কর্মীরা

শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর- ১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা নেমে এসেছে। তরুণ ত্যাগী নেতা শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান লিটনকে বাদ দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সংস্কার পন্থি নিষ্ক্রিয় নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে মনোনয়ন দেওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এর আগে গত ৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। কিন্তু যশোর- ১ (শার্শা) আসনের তালিকায় নুরুজ্জামান লিটনের নাম না থাকায় তৃণমূলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় নেতারা বলছেন, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা নুরুজ্জামান লিটন বিএনপির কঠিন সময়ের কান্ডারি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৩০ টির বেশি মামলা রয়েছে। ঢাকায় নাশকতা মামলা, গাড়ি পোড়ানোর মামলা এবং যশোরের একাধিক মামলা তার নামে রয়েছে। বহুবার কারাবরণ করেছেন, রিমান্ড ভোগ করেছেন, কিন্তু কখনো দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। টানা ১৭ বছর তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন।
ছাত্রজীবনে আন্দোলনে সক্রিয় থেকে তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেছেন। ১৯৮৮ সালে ছাত্রদলের মাধ্যমে তার রাজনীতির পথচলা শুরু। মাত্র এক বছরের মধ্যেই ১৯৮৯ সালে শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
১৯৯৫ সালে শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে পুনরায় উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৩ সালে নুরুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের শার্শা উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১০ সালে তিনি কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি খুলনা বিভাগীয় যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিশেষ করে ২০২০ সালে তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশে যুবদল পুনর্গঠনের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। করোনাকলীন সময়ে মানুষ যখন ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছিল, তখন তিনি জীবন ঝুঁকি নিয়ে খুলনা বিভাগের প্রতিটি উপজেলায় কমিটি গঠন করেন।
২০২২ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন। ওই পদে তিনি ২০২৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তিনি যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন, বর্তমানে তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন এবং শার্শা উপজেলা বিএনপিকে সক্রিয় রাখতে কাজ করেছেন।
এছাড়া ২০২৩ সালে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে নুরুজ্জামান লিটন শার্শা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামে গ্রামে লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছেন। এমনকি ৫ আগস্টের পর সারাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ান নুরুজ্জামান লিটন।
দিঘীর পাড় এলাকার প্রবীণ নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, নুরুজ্জামান লিটন দলের নিবেদিত, পরীক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের একজন তরুণ জনপ্রিয় নেতা। তাকে ছাড়া শার্শা বিএনপির অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। শার্শা ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে দল ঘোষিত মফিকুল হাসান তৃপ্তির মনোনয়ন পরিবর্তন চেয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নুরুজ্জামান লিটনকে প্রার্থী করার দাবি জানান তিনি।
শার্শার পুতাপাড়া এলাকার কৃষক সাইদুজ্জামান বলেন, আমরা দেখেছি নুরুজ্জামান লিটন ভাই কোনদিন ব্যক্তিস্বার্থের জন্য নয়, আদর্শের জন্য কাজ করেছেন। তার মতো ত্যাগী মানুষকে বাদ দেওয়া দলের জন্য ক্ষতি ছাড়া ভালো হবে না।
বেনাপোল পৌর এলাকার গৃহবধূ সুরাইয়া খাতুন বলেন, নুরুজ্জামান লিটন ভাই সত্যিই একজন জনদরদী মানুষ। তিনি সবসময় গরীব- দুঃখী-অসহায় মানুষের খোঁজ-খবর রাখেন। এদের কেউ অসুস্থ হলে তাদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তার নাম না থাকায় আমরা সত্যিই হতাশ হয়েছি।
শার্শার উলাশী এলাকার কৃষক সামছুদ্দিন মিয়া বলেন, সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় বন্যায় আমরা দেখেছি, নুরুজ্জামান লিটন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ-অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। শার্শায় নুরুজ্জামান লিটনের মতো এমন নেতার বিকল্প নেই।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মিন্টু বলেন, নুরুজ্জামান লিটন ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রাণভোমরা। সর্বদা জনগণের মাঝে থাকা তরুণ এই নেতা বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তার নেতৃত্বেই আমরা মাঠে টিকে আছি। কেন্দ্রে বসে সিদ্ধান্ত নিলে তৃণমূলের বাস্তবতা বোঝা যায় না। নুরুজ্জামান লিটনের নাম না থাকায় আমরা খুবই হতাশ। এই আসনে মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, দলের দুর্দিনে আমি ১৭ বছর শার্শা বিএনপির রাজনীতি ধরে রেখেছি। আমার নামে ৩০ টির বেশি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির যত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং নির্যাতিত হয়েছে আমি তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং তাদের অর্থিক সাহায্য করেছি।
তিনি আরও বলেন- দল যে মনোনয়ন দিয়েছেন সেটা প্রাথমিক। এখনো চূড়ান্ত মনোনয়ন হয়নি। তবে আমি বিশ্বাস করি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্যই এটা রিভিউ করবেন। শার্শায় যাকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন ঘোষণা করেছেন। উনি ১৭ বছর দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন না। সংস্কার পন্থি হওয়ায় উনি বহিস্কার ছিলেন। ২০১৮ সালে উনাকে পুনরায় দলে নেওয়া হয়। কিন্তু দল এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই। নেতা-কর্মীরা শান্ত আছেন। আমাকে যারা ভালোবাসেন, তাদের ধৈর্য ধরতে বলেছি এবং দলের সিদ্ধান্তের ওপর আমি পূর্ণ আস্থা রাখি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যশোর-১ আসনে নুরুজ্জামান লিটনকে প্রার্থী চান নেতা-কর্মীরা

আপডেট সময় :

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর- ১ (শার্শা) আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা নেমে এসেছে। তরুণ ত্যাগী নেতা শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নুরুজ্জামান লিটনকে বাদ দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সংস্কার পন্থি নিষ্ক্রিয় নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে মনোনয়ন দেওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এর আগে গত ৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। কিন্তু যশোর- ১ (শার্শা) আসনের তালিকায় নুরুজ্জামান লিটনের নাম না থাকায় তৃণমূলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় নেতারা বলছেন, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা নুরুজ্জামান লিটন বিএনপির কঠিন সময়ের কান্ডারি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৩০ টির বেশি মামলা রয়েছে। ঢাকায় নাশকতা মামলা, গাড়ি পোড়ানোর মামলা এবং যশোরের একাধিক মামলা তার নামে রয়েছে। বহুবার কারাবরণ করেছেন, রিমান্ড ভোগ করেছেন, কিন্তু কখনো দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। টানা ১৭ বছর তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন।
ছাত্রজীবনে আন্দোলনে সক্রিয় থেকে তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেছেন। ১৯৮৮ সালে ছাত্রদলের মাধ্যমে তার রাজনীতির পথচলা শুরু। মাত্র এক বছরের মধ্যেই ১৯৮৯ সালে শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
১৯৯৫ সালে শার্শা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে পুনরায় উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৩ সালে নুরুজ্জামান লিটন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের শার্শা উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০১০ সালে তিনি কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি খুলনা বিভাগীয় যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিশেষ করে ২০২০ সালে তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশে যুবদল পুনর্গঠনের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। করোনাকলীন সময়ে মানুষ যখন ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছিল, তখন তিনি জীবন ঝুঁকি নিয়ে খুলনা বিভাগের প্রতিটি উপজেলায় কমিটি গঠন করেন।
২০২২ সালে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন আলহাজ্ব নুরুজ্জামান লিটন। ওই পদে তিনি ২০২৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তিনি যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন, বর্তমানে তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন এবং শার্শা উপজেলা বিএনপিকে সক্রিয় রাখতে কাজ করেছেন।
এছাড়া ২০২৩ সালে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে নুরুজ্জামান লিটন শার্শা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামে গ্রামে লিফলেট বিতরণ করে যাচ্ছেন। এমনকি ৫ আগস্টের পর সারাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ান নুরুজ্জামান লিটন।
দিঘীর পাড় এলাকার প্রবীণ নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, নুরুজ্জামান লিটন দলের নিবেদিত, পরীক্ষিত ও ক্লিন ইমেজের একজন তরুণ জনপ্রিয় নেতা। তাকে ছাড়া শার্শা বিএনপির অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। শার্শা ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে দল ঘোষিত মফিকুল হাসান তৃপ্তির মনোনয়ন পরিবর্তন চেয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নুরুজ্জামান লিটনকে প্রার্থী করার দাবি জানান তিনি।
শার্শার পুতাপাড়া এলাকার কৃষক সাইদুজ্জামান বলেন, আমরা দেখেছি নুরুজ্জামান লিটন ভাই কোনদিন ব্যক্তিস্বার্থের জন্য নয়, আদর্শের জন্য কাজ করেছেন। তার মতো ত্যাগী মানুষকে বাদ দেওয়া দলের জন্য ক্ষতি ছাড়া ভালো হবে না।
বেনাপোল পৌর এলাকার গৃহবধূ সুরাইয়া খাতুন বলেন, নুরুজ্জামান লিটন ভাই সত্যিই একজন জনদরদী মানুষ। তিনি সবসময় গরীব- দুঃখী-অসহায় মানুষের খোঁজ-খবর রাখেন। এদের কেউ অসুস্থ হলে তাদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তার নাম না থাকায় আমরা সত্যিই হতাশ হয়েছি।
শার্শার উলাশী এলাকার কৃষক সামছুদ্দিন মিয়া বলেন, সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় বন্যায় আমরা দেখেছি, নুরুজ্জামান লিটন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ-অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। শার্শায় নুরুজ্জামান লিটনের মতো এমন নেতার বিকল্প নেই।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মিন্টু বলেন, নুরুজ্জামান লিটন ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রাণভোমরা। সর্বদা জনগণের মাঝে থাকা তরুণ এই নেতা বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তার নেতৃত্বেই আমরা মাঠে টিকে আছি। কেন্দ্রে বসে সিদ্ধান্ত নিলে তৃণমূলের বাস্তবতা বোঝা যায় না। নুরুজ্জামান লিটনের নাম না থাকায় আমরা খুবই হতাশ। এই আসনে মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, দলের দুর্দিনে আমি ১৭ বছর শার্শা বিএনপির রাজনীতি ধরে রেখেছি। আমার নামে ৩০ টির বেশি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির যত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং নির্যাতিত হয়েছে আমি তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং তাদের অর্থিক সাহায্য করেছি।
তিনি আরও বলেন- দল যে মনোনয়ন দিয়েছেন সেটা প্রাথমিক। এখনো চূড়ান্ত মনোনয়ন হয়নি। তবে আমি বিশ্বাস করি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্যই এটা রিভিউ করবেন। শার্শায় যাকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন ঘোষণা করেছেন। উনি ১৭ বছর দলের দুর্দিনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন না। সংস্কার পন্থি হওয়ায় উনি বহিস্কার ছিলেন। ২০১৮ সালে উনাকে পুনরায় দলে নেওয়া হয়। কিন্তু দল এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নাই। নেতা-কর্মীরা শান্ত আছেন। আমাকে যারা ভালোবাসেন, তাদের ধৈর্য ধরতে বলেছি এবং দলের সিদ্ধান্তের ওপর আমি পূর্ণ আস্থা রাখি।