ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

রাজধানী থেকে ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহার করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৭:১৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারী গণপরিবহনের অধিকাংশই ২০ বছর পেরিয়ে গেছে। লক্কড়-ঝক্কড় বাস নগরীতে দূষনের অন্যতম উৎস। এসব বাস চিহ্নিত করে মহানগর থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহারে পরিবহন মালিক সমিতি ব্যবস্থা নেবে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে কোনও আপোষ করা হবে না।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহার করতে হবে। এলক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৮ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা শহরে চলাচলকারী উক্ত বয়সী বাসের তালিকা প্রেরণ করবে।

রোববার (৩১ মার্চ) বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনের কালো ধোঁয়া এবং উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণ সামগ্রী না রাখা এবং বায়োমাস বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাবের চৌধুরী বলেন, সরকারি উন্নয়ন কর্মকান্ডে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বাজেট বরাদ্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকান্ড বাস্তবায়নে ব্যয় করতে হবে। তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াশা, সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় করে রাস্তার খননকার্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে সালফারসহ ডিজেল আমদানী বন্ধ করতে হবে। উন্মুক্তভাবে যাতে বর্জ্য পোড়ানো না হয় সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ বিভাগ নির্মাণকালে নির্মাণ সামগ্রি ঢেকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। পুরাতন যানবাহন পুরোপুরি নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ করতে হবে। রাজউকের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কার্যক্রমের অনুমতি বাতিল করতে হবে।

সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবিরুল ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন এসোসিয়েশনের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজধানী থেকে ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহার করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:১৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪

 

ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারী গণপরিবহনের অধিকাংশই ২০ বছর পেরিয়ে গেছে। লক্কড়-ঝক্কড় বাস নগরীতে দূষনের অন্যতম উৎস। এসব বাস চিহ্নিত করে মহানগর থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহারে পরিবহন মালিক সমিতি ব্যবস্থা নেবে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে কোনও আপোষ করা হবে না।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বায়ুদূষণ রোধে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহার করতে হবে। এলক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৮ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা শহরে চলাচলকারী উক্ত বয়সী বাসের তালিকা প্রেরণ করবে।

রোববার (৩১ মার্চ) বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনের কালো ধোঁয়া এবং উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণ সামগ্রী না রাখা এবং বায়োমাস বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাবের চৌধুরী বলেন, সরকারি উন্নয়ন কর্মকান্ডে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বাজেট বরাদ্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকান্ড বাস্তবায়নে ব্যয় করতে হবে। তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াশা, সিটি কর্পোরেশন সমন্বয় করে রাস্তার খননকার্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে সালফারসহ ডিজেল আমদানী বন্ধ করতে হবে। উন্মুক্তভাবে যাতে বর্জ্য পোড়ানো না হয় সিটি কর্পোরেশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ বিভাগ নির্মাণকালে নির্মাণ সামগ্রি ঢেকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। পুরাতন যানবাহন পুরোপুরি নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ করতে হবে। রাজউকের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কার্যক্রমের অনুমতি বাতিল করতে হবে।

সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবিরুল ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন এসোসিয়েশনের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।