রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ করে রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা সিদ্ধান্ত
- আপডেট সময় : ০৭:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন’র ভাগ্যনির্ধারণ রাজনৈতিক দলের মতামতের ওপর। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদেও বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে আলোচনায় বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই বলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগের দাবি ওঠে। একই দাবিতে বাংলাদেশ জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ ওঠে।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ৫ আগস্ট পদত্যাগের পর দেশ ছাড়েন। কিন্তু এতো দিন পর এসে রাষ্ট্রপতি বলছেন, হাসিনার পদত্যাগ পত্র তার নেই। অথচ ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ করে। ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখায়। একাধিক সমন্বয়ক রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।
এমন পটরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ সংক্রান্ত আলোচনা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্র্বতী সরকার। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যেই বুধবার প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের তিন নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না বলে মতামত জানিয়েছে।
বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা হলে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানাচ্ছেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে অন্তর্র্বতী সরকার। আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতেই এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ নিয়ে সোমবার সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্য মিথ্যাচার এবং শপথ লঙ্ঘনের শামিল।