ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাণীনগরে লাল মাটির রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসীদের মানববন্ধন

নওগাঁ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩০৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নওগাঁর রাণীনগরের বিল বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন একটি ইউনিয়ন মিরাট। এই ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামগুলোর চলাচলের রাস্তায় এখন পর্যন্ত উন্নয়ন ও আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। তেমনি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তা জামালগঞ্জ বাজার থেকে নওগাঁ ও রাণীনগরগামী রাস্তা।
এই ৫কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার কিছু অংশ পাঁকা আবার কিছু অংশ ইট বিছানো আর ৩কিলোমিটার রাস্তা এখনোও লাল মাটির। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে চলাচলের একমাত্র এই গ্রামীণ মেঠো রাস্তায় বছরের পর বছর কাঁদার সঙ্গে লুটোপুটি খেতে হচ্ছে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। বিশেষ করে স্কুলগামী ও জরুরী রোগীদের পড়তে হয় চরম বেকায়দায়। এমন দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে এই ৩কিলোমিটার লাল মাটির গ্রামীণ রাস্তাটি পাঁকাকরণের দাবীতে বিলের উপর রাস্তায় ঘন্টাকাল ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সরকারের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এলাকাবাসী কৃষক, ভ্যান চালকসহ সকল শ্রেণিপেশার কয়েক হাজার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম জানায় বর্ষা মৌসুমে হাটু কাঁদা ভেঙ্গে তাদের স্কুলে যেতে হয়। বিকল্প রাস্তা হিসেবে ৩০কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। জরুরী রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্য বরণ করতে হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সময় মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। তাই দ্রুত এই পুরো রাস্তায় আধুনিকতার ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী।
উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সরকার বলেন উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা জামালগঞ্জ বাজার থেকে শৈলগাছী পর্যন্ত ৫কিলোমিটার রাস্তার ৩কিলোমিটার অংশ এখনো লাল মাটির। শুষ্ক মৌসুমে চলাচলা করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তা পানি ও কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। যুগের পর যুগ ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই রাস্তা দিয়ে নওগাঁ, রাণীনগর উপজেলা, রাজশাহী, বাগমারাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। দূরবর্তি বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক শত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই মেঠো রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে মেঠো রাস্তার চরম দুর্ভোগের কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা চলাচল করতে পারেন না।
মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন জানান এই খারাপ রাস্তার জন্য এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের ভালো স্থান থেকে বিয়ের সম্পর্ক আসে না। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি আজও অবহেলিত। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল পায় না। এক কথায় একটি খারাপ গ্রামীণ রাস্তার কারণে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন থমকে আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান এই রাস্তার নষ্ট হওয়া পাঁকা অংশের মেরামতের কাজ অল্প সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে। আর অবশিষ্ট মাটির রাস্তার উন্নয়নের কাজের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই মাটির অংশের আধুনিকায়নের কাজ শুরু করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাণীনগরে লাল মাটির রাস্তা পাকাকরণের দাবিতে শিক্ষার্থী-এলাকাবাসীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় :

নওগাঁর রাণীনগরের বিল বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন একটি ইউনিয়ন মিরাট। এই ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামগুলোর চলাচলের রাস্তায় এখন পর্যন্ত উন্নয়ন ও আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি। তেমনি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তা জামালগঞ্জ বাজার থেকে নওগাঁ ও রাণীনগরগামী রাস্তা।
এই ৫কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার কিছু অংশ পাঁকা আবার কিছু অংশ ইট বিছানো আর ৩কিলোমিটার রাস্তা এখনোও লাল মাটির। যার কারণে বর্ষা মৌসুমে চলাচলের একমাত্র এই গ্রামীণ মেঠো রাস্তায় বছরের পর বছর কাঁদার সঙ্গে লুটোপুটি খেতে হচ্ছে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। বিশেষ করে স্কুলগামী ও জরুরী রোগীদের পড়তে হয় চরম বেকায়দায়। এমন দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে এই ৩কিলোমিটার লাল মাটির গ্রামীণ রাস্তাটি পাঁকাকরণের দাবীতে বিলের উপর রাস্তায় ঘন্টাকাল ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সরকারের নেতৃত্বে মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এলাকাবাসী কৃষক, ভ্যান চালকসহ সকল শ্রেণিপেশার কয়েক হাজার মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম জানায় বর্ষা মৌসুমে হাটু কাঁদা ভেঙ্গে তাদের স্কুলে যেতে হয়। বিকল্প রাস্তা হিসেবে ৩০কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়। জরুরী রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্য বরণ করতে হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সময় মতো বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। তাই দ্রুত এই পুরো রাস্তায় আধুনিকতার ছোঁয়া চায় এলাকাবাসী।
উপজেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রাসেল সরকার বলেন উপজেলার সীমান্তবর্তি এলাকা জামালগঞ্জ বাজার থেকে শৈলগাছী পর্যন্ত ৫কিলোমিটার রাস্তার ৩কিলোমিটার অংশ এখনো লাল মাটির। শুষ্ক মৌসুমে চলাচলা করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তা পানি ও কাঁদায় একাকার হয়ে যায়। যুগের পর যুগ ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই রাস্তা দিয়ে নওগাঁ, রাণীনগর উপজেলা, রাজশাহী, বাগমারাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। দূরবর্তি বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক শত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এই মেঠো রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। বর্ষা মৌসুমে মেঠো রাস্তার চরম দুর্ভোগের কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা চলাচল করতে পারেন না।
মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন জানান এই খারাপ রাস্তার জন্য এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের ভালো স্থান থেকে বিয়ের সম্পর্ক আসে না। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি আজও অবহেলিত। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল পায় না। এক কথায় একটি খারাপ গ্রামীণ রাস্তার কারণে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন থমকে আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান এই রাস্তার নষ্ট হওয়া পাঁকা অংশের মেরামতের কাজ অল্প সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে। আর অবশিষ্ট মাটির রাস্তার উন্নয়নের কাজের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই মাটির অংশের আধুনিকায়নের কাজ শুরু করা হবে।