ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাইকগাছায় বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান  Logo ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ Logo অন্তর্বর্তী সকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী ভারত Logo আমলারা বহুরূপী হয়ে সামনে আসেন বলেন: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Logo ইইউ’র ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের অনুরোধ Logo ডিআরইউর সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও ইসি সদস্যকে ক্র্যাবের সংবর্ধনা Logo রাজনৈতিক পরিচয়ে ১৫ বছরে ৯০ হাজার পুলিশ নিয়োগ: ডিএমপি কমিশনার Logo বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারত দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না: গয়েশ্বর Logo শেরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত Logo ভান্ডারিয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস পালিত

রামগতিতে ১১ টি মন্ডপে উদযাপিত হচ্ছে দুর্গাপূজা

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:২০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চারস্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উপজেলায় ১১টি পূজা মন্ডপে উদযাপিত হচ্ছে এ শারদীয় পুজা। বুধবার মহাষষ্ঠী পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ১৩অক্টোবর রবিবার। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে প্রতিটি পূজা মন্ডপে দুইজন পুলিশ এবং ছয়জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও নিরাপত্তা রক্ষায় ‘সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি’ এবং নিজস্ব পরিচালনায় রয়েছে বিশাল স্বেচ্ছাসেবি দল। অন্যদিকে নিরাপত্তা রক্ষায় পুরো উপজেলায় রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি মোবাইল টীম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। রয়েছে সেনাবাহিনীদের নিয়মিত টহলও। পুজা উদযাপন সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকবার মতবিনিময় করেছেন জেলা-উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার উপজেলার বেশ কয়েকটি মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলার ১১টি পূজা মন্ডপ হচ্ছে- শ্রী শ্রী রামঠাকুরাঙ্গন সর্বজনীন পূজা মন্ডপ (চরসীতা), শ্রী শ্রী বড়াকর্তার আশ্রম সর্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপ (চরসীতা), মহাজন বাড়ি শ্রী শ্রী সর্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপ (শিক্ষাগ্রাম), সর্বজনীন শ্রী শ্রী সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (চরসেকান্দর), শ্রী শ্রী গোপাল মন্দির সর্বজনীন সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (বড়খেরী), শ্রী শ্রী মহাপ্রভূর সেবাশ্রম সর্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপ (রঘুনাথপুর), শ্রী শ্রী গোপাল মন্দির সর্বজনীন সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (চরগাজী), তালুকদার বাড়ি শ্রী শ্রী সর্বজনীন সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (চরগাজী), শ্রী শ্রী সর্বজনীন সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (দক্ষিন টুমচর), সর্ববিদ্যা সর্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপ (চররমিজ)। এছাড়াও সর্বজনীন শ্রী শ্রী রুহি দাস সেবাশ্রম (চর হাসান হোসেন) মন্দির কতৃর্পক্ষ দুগার্পুজার পরিবর্তে ঘটপুজা পালন করছেন।

রামগতি উপজেলা দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি উদয়ন মজুমদার জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা প্রতিবছর এ উৎসব অত্যন্ত সুন্দর ভাবে পালন করে আসছি। সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় সাধারন মানুষ এবং প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগিতা করছে। এবারের আয়োজনে কোন ধরনের নিরাপত্তাজনিত শংকা নেই। প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক দায়িত্বে থাকা রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন জানান, ইতিমধ্যে আমরা সবকটি পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছি। শারদীয় পূজা উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আমি নিজেই নিরাপত্তার বিষয়টি সার্বক্ষনিক তদারকি করছি।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ, আনসার এবং স্বেচ্ছাসেবকের বিভিন্ন টিম কাজ করছে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর মোবাইল টিমও মাঠে থাকবে। পুজা শেষ হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষনিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামগতিতে ১১ টি মন্ডপে উদযাপিত হচ্ছে দুর্গাপূজা

আপডেট সময় : ০১:২০:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

 

চারস্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পালিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উপজেলায় ১১টি পূজা মন্ডপে উদযাপিত হচ্ছে এ শারদীয় পুজা। বুধবার মহাষষ্ঠী পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ১৩অক্টোবর রবিবার। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে প্রতিটি পূজা মন্ডপে দুইজন পুলিশ এবং ছয়জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও নিরাপত্তা রক্ষায় ‘সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি’ এবং নিজস্ব পরিচালনায় রয়েছে বিশাল স্বেচ্ছাসেবি দল। অন্যদিকে নিরাপত্তা রক্ষায় পুরো উপজেলায় রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি মোবাইল টীম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। রয়েছে সেনাবাহিনীদের নিয়মিত টহলও। পুজা উদযাপন সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকবার মতবিনিময় করেছেন জেলা-উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার উপজেলার বেশ কয়েকটি মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলার ১১টি পূজা মন্ডপ হচ্ছে- শ্রী শ্রী রামঠাকুরাঙ্গন সর্বজনীন পূজা মন্ডপ (চরসীতা), শ্রী শ্রী বড়াকর্তার আশ্রম সর্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপ (চরসীতা), মহাজন বাড়ি শ্রী শ্রী সর্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপ (শিক্ষাগ্রাম), সর্বজনীন শ্রী শ্রী সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (চরসেকান্দর), শ্রী শ্রী গোপাল মন্দির সর্বজনীন সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (বড়খেরী), শ্রী শ্রী মহাপ্রভূর সেবাশ্রম সর্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপ (রঘুনাথপুর), শ্রী শ্রী গোপাল মন্দির সর্বজনীন সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (চরগাজী), তালুকদার বাড়ি শ্রী শ্রী সর্বজনীন সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (চরগাজী), শ্রী শ্রী সর্বজনীন সারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ (দক্ষিন টুমচর), সর্ববিদ্যা সর্বজনীন দুর্গা পূজা মন্ডপ (চররমিজ)। এছাড়াও সর্বজনীন শ্রী শ্রী রুহি দাস সেবাশ্রম (চর হাসান হোসেন) মন্দির কতৃর্পক্ষ দুগার্পুজার পরিবর্তে ঘটপুজা পালন করছেন।

রামগতি উপজেলা দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি উদয়ন মজুমদার জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমরা প্রতিবছর এ উৎসব অত্যন্ত সুন্দর ভাবে পালন করে আসছি। সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় সাধারন মানুষ এবং প্রশাসন আমাদেরকে সহযোগিতা করছে। এবারের আয়োজনে কোন ধরনের নিরাপত্তাজনিত শংকা নেই। প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থার সার্বিক দায়িত্বে থাকা রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন জানান, ইতিমধ্যে আমরা সবকটি পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছি। শারদীয় পূজা উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আমি নিজেই নিরাপত্তার বিষয়টি সার্বক্ষনিক তদারকি করছি।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ, আনসার এবং স্বেচ্ছাসেবকের বিভিন্ন টিম কাজ করছে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর মোবাইল টিমও মাঠে থাকবে। পুজা শেষ হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষনিক প্রশাসনিক নজরদারি থাকবে।