ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাইকগাছায় বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান  Logo ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ Logo অন্তর্বর্তী সকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী ভারত Logo আমলারা বহুরূপী হয়ে সামনে আসেন বলেন: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Logo ইইউ’র ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের অনুরোধ Logo ডিআরইউর সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও ইসি সদস্যকে ক্র্যাবের সংবর্ধনা Logo রাজনৈতিক পরিচয়ে ১৫ বছরে ৯০ হাজার পুলিশ নিয়োগ: ডিএমপি কমিশনার Logo বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারত দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না: গয়েশ্বর Logo শেরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত Logo ভান্ডারিয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস পালিত

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ সাংবিধানিক নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত : নাহিদ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:০২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ৯১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি রাজনৈতিক আলোচনা, সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়; এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

বুধবার (২৩ আক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থানে জনগণের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখেই আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের যদি মনে হয়, এই সেটআপে অন্তর্বতী সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জনগণ এই সরকারে অসন্তুষ্ট, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবব এবং পুনর্মূল্যায়ন করছি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না—বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়; এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে। তবে এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলাকে। এ বিষয়েই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কোনো ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের দেশি বিদেশি যে চক্রান্ত চলছে। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়, যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। একইসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা এ কারণে মনে করছি, এটা রাজনৈতিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফলে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জনগণের যেকোনো যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদের সংহতি ও সংবেদনশীলতা রয়েছে। সবার কাছে আহ্বান থাকবে যাতে বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি না হয়। সে বিষয়ে সবাই সচেতন থাকি এবং বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজটি আমরা সবাই পেয়েছি এবং সে বিষয়ে সবাই আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই সবাইকে শান্ত থাকার এবং সচেতন থাকার আহ্বান থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ সাংবিধানিক নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত : নাহিদ

আপডেট সময় : ০৬:০২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

 

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি রাজনৈতিক আলোচনা, সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়; এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

বুধবার (২৩ আক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, একটি গণঅভ্যুত্থানে জনগণের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখেই আমরা সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের যদি মনে হয়, এই সেটআপে অন্তর্বতী সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জনগণ এই সরকারে অসন্তুষ্ট, তাহলে বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবব এবং পুনর্মূল্যায়ন করছি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না—বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়; এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে। তবে এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলাকে। এ বিষয়েই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কোনো ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের দেশি বিদেশি যে চক্রান্ত চলছে। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়, যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। একইসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা এ কারণে মনে করছি, এটা রাজনৈতিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফলে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জনগণের যেকোনো যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদের সংহতি ও সংবেদনশীলতা রয়েছে। সবার কাছে আহ্বান থাকবে যাতে বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি না হয়। সে বিষয়ে সবাই সচেতন থাকি এবং বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজটি আমরা সবাই পেয়েছি এবং সে বিষয়ে সবাই আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই সবাইকে শান্ত থাকার এবং সচেতন থাকার আহ্বান থাকবে।