ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রূপপুরেই স্থাপন হচ্ছে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ২১১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত শেষ পর্যায়ে। আগামী বছরের প্রথম দিকে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালুর প্রস্তুতি চলছে। এই পর্যায়ে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রমও শুরু হতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় প্রকল্পটির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবার কথা জানা গেছে।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শৌকত আকবর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেই দ্বিতীয় প্রকল্পের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবে। এ প্রকল্পটিও রূপপুর সাইটে করা হবে।

রাশিয়ার আর্থিক, প্রযুক্তিসহ সার্বিক সহযোগিতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন-রসাটম এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। একই প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও রাশিয়া সহযোগিতায় নির্মিত হবে।

গত ২ এপ্রিল রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। রসাটমের তরফে জানানো হয়, চলতি বছরই নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্টআপ হবে। বর্তমানে আমরা নতুন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছি।

রূপপুর এনপিপি সাইটে আরও দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণের ব্যাপারে বাংলাদেশ গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়াও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মাল্টিপারপাস গবেষণা রিয়্যাক্টর নির্মাণের বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

দেশের দক্ষিণ অঞ্চল বিশেষ করে বৃহত্তর বরিশালে এ প্রকল্পের স্থান নির্বাচনের উদ্যোগের অংশ হিসাবে সমীক্ষা চালানো হয়। কিন্তু মাটির উপযোগিতা না থাকায় থেকে সরে আসে সরকার। এরপর রূপপুর সাইটেই প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২ ইউনিটের দ্বিতীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথম প্রকল্পটির কাজ শুরুর সময় রূপপুর সাইটে ভবিষ্যতে আরও দুইটি ইউনিট স্থাপনের মতো জায়গা রাখা হয়েছিলো। সেখানে দ্বিতীয় প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে।

দক্ষিণাঞ্চলে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রকল্প করা সম্ভব না হলেও পরমাণু প্রযুক্তিভিত্তিক ক্ষুদ্র পারমাণবিক (এসএমআর) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক কার্যক্রমও চলতি অর্থ বছরে শুরুর কথা জানা গিয়েছে।

রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের স্থলভাগে পরমাণু প্রযুক্তিভিত্তিক এ ক্ষুদ্র পারমাণবিক (এসএমআর) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে রসাটম। রাশিয়ার এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত হবে সর্বাধুনিক আরআইটিএম-২০০এন রিয়্যাক্টর। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বিবেচনাধীন প্রকল্পেও এই এসএমআর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মাল্টিপারপাস পারমাণবিক গবেষণা রিয়্যাক্টর নির্মাণের কাজও শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রসাটমের মহাপরিচালকের সাক্ষাতে বিষয়টি আলোচনা হয়। সাভারে এ গবেষণা রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে। শীঘ্রই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ সব বিষয়য়ে পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান শৌকত আকবর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দক্ষিণাঞ্চলে নির্মাণ সম্ভব না হলেও সেখানে ক্ষুদ্র পারমাণবিক (এসএমআর) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা আছে। এর কার্যক্রমও এ অর্থ বছরের শুরু করা হবে। গবেষণা রিয়্যাক্টর স্থাপনও এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এই সময়ে এ কর্যক্রমও শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রূপপুরেই স্থাপন হচ্ছে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

আপডেট সময় : ০৪:১৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত শেষ পর্যায়ে। আগামী বছরের প্রথম দিকে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট চালুর প্রস্তুতি চলছে। এই পর্যায়ে দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রমও শুরু হতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় প্রকল্পটির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবার কথা জানা গেছে।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান পরমাণু বিজ্ঞানী ড. শৌকত আকবর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেই দ্বিতীয় প্রকল্পের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবে। এ প্রকল্পটিও রূপপুর সাইটে করা হবে।

রাশিয়ার আর্থিক, প্রযুক্তিসহ সার্বিক সহযোগিতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন-রসাটম এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। একই প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও রাশিয়া সহযোগিতায় নির্মিত হবে।

গত ২ এপ্রিল রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। রসাটমের তরফে জানানো হয়, চলতি বছরই নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্টআপ হবে। বর্তমানে আমরা নতুন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছি।

রূপপুর এনপিপি সাইটে আরও দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণের ব্যাপারে বাংলাদেশ গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়াও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মাল্টিপারপাস গবেষণা রিয়্যাক্টর নির্মাণের বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

দেশের দক্ষিণ অঞ্চল বিশেষ করে বৃহত্তর বরিশালে এ প্রকল্পের স্থান নির্বাচনের উদ্যোগের অংশ হিসাবে সমীক্ষা চালানো হয়। কিন্তু মাটির উপযোগিতা না থাকায় থেকে সরে আসে সরকার। এরপর রূপপুর সাইটেই প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২ ইউনিটের দ্বিতীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথম প্রকল্পটির কাজ শুরুর সময় রূপপুর সাইটে ভবিষ্যতে আরও দুইটি ইউনিট স্থাপনের মতো জায়গা রাখা হয়েছিলো। সেখানে দ্বিতীয় প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে।

দক্ষিণাঞ্চলে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রকল্প করা সম্ভব না হলেও পরমাণু প্রযুক্তিভিত্তিক ক্ষুদ্র পারমাণবিক (এসএমআর) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক কার্যক্রমও চলতি অর্থ বছরে শুরুর কথা জানা গিয়েছে।

রাশিয়ার ইয়াকুতিয়া অঞ্চলের স্থলভাগে পরমাণু প্রযুক্তিভিত্তিক এ ক্ষুদ্র পারমাণবিক (এসএমআর) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে রসাটম। রাশিয়ার এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত হবে সর্বাধুনিক আরআইটিএম-২০০এন রিয়্যাক্টর। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বিবেচনাধীন প্রকল্পেও এই এসএমআর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মাল্টিপারপাস পারমাণবিক গবেষণা রিয়্যাক্টর নির্মাণের কাজও শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রসাটমের মহাপরিচালকের সাক্ষাতে বিষয়টি আলোচনা হয়। সাভারে এ গবেষণা রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হবে। শীঘ্রই এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এ সব বিষয়য়ে পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান শৌকত আকবর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দক্ষিণাঞ্চলে নির্মাণ সম্ভব না হলেও সেখানে ক্ষুদ্র পারমাণবিক (এসএমআর) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা আছে। এর কার্যক্রমও এ অর্থ বছরের শুরু করা হবে। গবেষণা রিয়্যাক্টর স্থাপনও এ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এই সময়ে এ কর্যক্রমও শুরু হবে।