ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রেমিট্যান্সের জোয়ার : ২৮ দিনে আসলো দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ১১১ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সদ্য বিদায়ী সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে বৈধপথে কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স পাঠানো এক প্রকার বন্ধ রেখেছিলেন প্রবাসীরা। তাতে হঠাৎ কমে যায় রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ আবার হু হু করে বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৭ কোটি (২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্র অনুযায়ী, আগস্টের প্রথম ২৮ দিনে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৭ কোটি (২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন) ডলার। যা আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, এপ্রিল মাস থেকে টানা তিন মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এলেও জুলাই মাসে তা কমে যায় এবং দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

তিনি বলেন, এখন প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। তাদের সচেতন করা হচ্ছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ বৈধপথে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা।

অন্যদিকে, গত ৩১ জুলাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম৬) অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২১ আগস্টে এসেও তা একই অবস্থায় থাকে। তবে ২৮ আগস্ট তা কিছুটা বেড়ে ২০ দশমিক ৫৯ বিলিয়নে দাঁড়ায়।

আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর রিজার্ভ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে গতকাল বুধবার জানান, দেশের রিজার্ভ এখন কমবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রেমিট্যান্সের জোয়ার : ২৮ দিনে আসলো দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি

আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

 

সদ্য বিদায়ী সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে বৈধপথে কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স পাঠানো এক প্রকার বন্ধ রেখেছিলেন প্রবাসীরা। তাতে হঠাৎ কমে যায় রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ আবার হু হু করে বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৭ কোটি (২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্র অনুযায়ী, আগস্টের প্রথম ২৮ দিনে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৭ কোটি (২ দশমিক ০৭ বিলিয়ন) ডলার। যা আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৩ কোটি ডলার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, এপ্রিল মাস থেকে টানা তিন মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এলেও জুলাই মাসে তা কমে যায় এবং দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

তিনি বলেন, এখন প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। তাদের সচেতন করা হচ্ছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ বৈধপথে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা।

অন্যদিকে, গত ৩১ জুলাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম৬) অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২১ আগস্টে এসেও তা একই অবস্থায় থাকে। তবে ২৮ আগস্ট তা কিছুটা বেড়ে ২০ দশমিক ৫৯ বিলিয়নে দাঁড়ায়।

আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর রিজার্ভ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে গতকাল বুধবার জানান, দেশের রিজার্ভ এখন কমবে না।