ঢাকা ০৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কোম্পানীগঞ্জে বাইতুল আমান আর্দশ সমাজ ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের মুকুট উঠল নীল সেনাদের মাথায় Logo নোয়াখালীতে অনুমোদন ছাড়াই চলছে কোরবানীর পশুর হাট Logo মহাদেবপুরে ড্রাম ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে সাইকেল আরোহীর মৃত্যু Logo সোনাইমুড়ীতে ডাঃ মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশনের ফ্রি প্যারেন্টিং কোর্স অনুষ্ঠিত  Logo রামু রশিদ নগরে কুকুরের উৎপাতে: আতঙ্কিত এলাকাবাসী Logo ইসরাইলি পণ্য বয়কট ও দেশি পণ্য ব্যবহারের আহবানে গোলাপগঞ্জে  লিফলেট বিতরণ Logo কেশবপুরে মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উদযাপন  Logo মায়ানমারে অবৈধভাবে পাচারকালে ইউরিয়া সারসহ ১০ পাচারকারী আটক Logo ডামুড্যায় শ্রমিকদলের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালিত Logo শ্রমিকদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি : দুলু

রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চাঁদাবাজি করছে সরকারি সংস্থা

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪ ৩০৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি অভিযোগ করেছে, রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চাঁদাবাজিতে নেমেছে সরকারি সংস্থা। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ উপস্থাপন করে সমিতি।

বাংলাদেশ রোস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান বিভিন্ন সরকারী সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেন, বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর অভিযানের নামে সরকারি সংস্থা। তারা রেস্তোরাঁয় চাঁদাবাজি করছে।

বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ।

ইমরান হাসান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরে বলেন, সারাদেশে রেস্তোরাঁ রয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজারের অধিক। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি মানুষ এই সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মসংস্থান করা হয়েছে।

রেস্তোরাঁ শিল্পে আয়ের পরিমাণ ৩.৭৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এই সেক্টরের বিনিয়োগ ২ লাখ কোটি টাকা।

বর্তমানে ৮০০-এর মতো রেস্তোরাঁ বন্ধ। অভিযানে সিলগালা করা হয়েছে, প্রায় ২৩০টি। ভয়ে অনেকেই রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছেন। অভিযানের নামে রেস্তোরাঁ সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে সুযোগ নিয়ে সব সংস্থা ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে। আমি বলবো না আমরা ব্যবসায়ী সবাই সহিভাবে ব্যবসা করি। ব্যবসায়ীদের অনেকেই অতিলোভি। আমাদের ৯৫ শতাংশ মালিক-শ্রমিক অদক্ষ।

ইমরান বলেন, সিলিন্ডারের কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঢালাওভাবে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজ/ডকুমেন্টস থাকা সত্ত্বেও রাজউক তার অনাধিকার চর্চা করছে।

সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে নোটিশ দিতে হয়। সময় বেঁধে দিতে হয়, কিন্তু বিনা নোটিশে ভাঙচুর করে বন্ধ করে দিচ্ছে রেস্তোরাঁগুলো। এ জন্য রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বর্তমানে ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন।

রাজউকের এফ-১ ও এফ-২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে বলেও অভিযোগ ইমরানের। আমরা জানি কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২-৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাপের মাস্টার প্লানেও ব্যবসায়ীদেরকে ভবন মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। সুতরাং রাজউকের এফ-১ ও এফ-২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা, সঠিক নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চাঁদাবাজি করছে সরকারি সংস্থা

আপডেট সময় : ০৫:৫৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

 

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি অভিযোগ করেছে, রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে চাঁদাবাজিতে নেমেছে সরকারি সংস্থা। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ উপস্থাপন করে সমিতি।

বাংলাদেশ রোস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান বিভিন্ন সরকারী সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেন, বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর অভিযানের নামে সরকারি সংস্থা। তারা রেস্তোরাঁয় চাঁদাবাজি করছে।

বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের পর সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ।

ইমরান হাসান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য তুলে ধরে বলেন, সারাদেশে রেস্তোরাঁ রয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজারের অধিক। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি মানুষ এই সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। ৩০ লাখ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মসংস্থান করা হয়েছে।

রেস্তোরাঁ শিল্পে আয়ের পরিমাণ ৩.৭৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এই সেক্টরের বিনিয়োগ ২ লাখ কোটি টাকা।

বর্তমানে ৮০০-এর মতো রেস্তোরাঁ বন্ধ। অভিযানে সিলগালা করা হয়েছে, প্রায় ২৩০টি। ভয়ে অনেকেই রেস্তোরাঁ বন্ধ রেখেছেন। অভিযানের নামে রেস্তোরাঁ সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে সুযোগ নিয়ে সব সংস্থা ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে। আমি বলবো না আমরা ব্যবসায়ী সবাই সহিভাবে ব্যবসা করি। ব্যবসায়ীদের অনেকেই অতিলোভি। আমাদের ৯৫ শতাংশ মালিক-শ্রমিক অদক্ষ।

ইমরান বলেন, সিলিন্ডারের কারণে শ্রমিক কর্মচারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ঢালাওভাবে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজ/ডকুমেন্টস থাকা সত্ত্বেও রাজউক তার অনাধিকার চর্চা করছে।

সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ৬ মাস পূর্বে নোটিশ দিতে হয়। সময় বেঁধে দিতে হয়, কিন্তু বিনা নোটিশে ভাঙচুর করে বন্ধ করে দিচ্ছে রেস্তোরাঁগুলো। এ জন্য রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বর্তমানে ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন।

রাজউকের এফ-১ ও এফ-২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে বলেও অভিযোগ ইমরানের। আমরা জানি কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২-৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাপের মাস্টার প্লানেও ব্যবসায়ীদেরকে ভবন মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। সুতরাং রাজউকের এফ-১ ও এফ-২ এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে তা, সঠিক নয়।