রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে ইউএনডিপির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ২২৬ বার পড়া হয়েছে
ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত এবং সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে এক বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : ছবি সংগ্রহ
ঢাকা সফরে থাকা ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত এবং সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে এক বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় বড় আকারের আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (মার্চ ১৮) রাতে ঢাকায় এক হোটেলে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত এবং সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূতের সঙ্গে বৈঠককালে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিলের হ্রাস পাওয়ার প্রবণতার প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও বড় পরিমাণ তহবিল আসে সে প্রচেষ্টা জোরদারে ইউএনডিপির প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা তহবিল ক্রমাগত হ্রাসের প্রবণতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য বৃহত্তর তহবিল গঠনে ইউএনডিপিকে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে বাংলাদেশ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে ভাষানচরে উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। ভাষানচরে এখন প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
ভাষানচরে আরও রোহিঙ্গা স্থানান্তর করতেও ইউএনডিপির সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্স ভিক্টোরিয়ার বলেন, সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
এসময় সুইডিশ ব্যবসায়ীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। কার্বন নিঃসরণে দায় নগণ্য হলেও বাংলাদেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়।
স্থানীয় জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কর্মসূচি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং তাদের জীবিকা রক্ষায় বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে।
১৯৬৯ সালে সুইডেনে প্রথম সফরের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা বলেন, তখন তার স্বামী সুইডেনে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন।
এর আগে সোমবার চারদিনের সফরে ঢাকায় আসেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া। তিনি কক্সবাজার ও ভাষানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।