রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর ব্যাপারে ইতিবাচক মিয়ানমার: থান সুই
- আপডেট সময় : ০৮:৫০:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে
রি-ট্রিটের শেষ দিন শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রি-ট্রিটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের আগের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, তারা তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত নাগরিক রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এটি কার্যে পর্যবসিত হওয়ার চিহ্ন এখনও পরিলক্ষিত হয়নি।
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজির রাখতে পারে, উল্লেখ করে বিষয়টির ওপর গভীর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এসময় মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনের শুক্রবার (১২ জুলাই) ছিল শেষ দিন।
এই রিট্রিটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এমন মনোভাব ব্যক্ত করেন।
এদিকে রি-ট্রিটের শেষ দিন শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এ দিন সকালে নয়াদিল্লির কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পঞ্চবটিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কুশলাদি ও সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে ফটোসেশনে অংশ নেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের আঞ্চলিক জোট বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই রি-ট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত পার্শ্ববৈঠকে নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়সহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেছেন।