ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে দুই শিক্ষার্থী হত্যাসহ তিন মামলায় আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ূন কবিরের ৬দিনের রিমান্ড

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান ও ওসমান গনি এবং পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ তিন মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চররুহিতা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির পাটওয়ারীকে ৬দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার(২৮ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পৃথক তিন মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, ওসমান গনি হত্যা ও পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ পৃথক তিন মামলায় হুমায়ুন কবির পাটওয়ারীকে আদালতে হাজির করে ২৪দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে আদালত শুনানী শেষে তিন মামলায় ৬দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের মামা । গত ২০ আগষ্ট ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, ৪ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে সারাদেশের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল পুরো লক্ষ্মীপুর। মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিল পুরো শহর। হঠাৎ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উত্তর তেমুহানী থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঝুমুর চত্ত্বরের দিকে যাচ্ছিলো। এসময় ছাত্র আন্দোলকারীদের মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধে চেষ্টা করে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এসময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের অপসারনকৃত চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে মুহুমুহু গুলি ছুড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নিহত হন লক্ষ্মীপুরের ভিক্টরী কলেজের ছাত্র সাদ আল আফনান।

এর জের ধরে ফুঁসে উঠে শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে বাজারের দিকে এগোতো থাকে তারা। শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় পৌছলে নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তার সহযোগিরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান ও ওসমান গনিসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ হামলার সময় অন্যদের সাথে হুমায়ূন কবির পাটওয়ারীও উপস্থিত ছিলেন বলে জানাগেছে।এসময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ৫শ বেশি শিক্ষার্থী। এঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামীলীগ,যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীদের আসামী করা হয় ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লক্ষ্মীপুরে দুই শিক্ষার্থী হত্যাসহ তিন মামলায় আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ূন কবিরের ৬দিনের রিমান্ড

আপডেট সময় : ০৫:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

 

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুই শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান ও ওসমান গনি এবং পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ তিন মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চররুহিতা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির পাটওয়ারীকে ৬দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।

সোমবার(২৮ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পৃথক তিন মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, ওসমান গনি হত্যা ও পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ পৃথক তিন মামলায় হুমায়ুন কবির পাটওয়ারীকে আদালতে হাজির করে ২৪দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে আদালত শুনানী শেষে তিন মামলায় ৬দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের মামা । গত ২০ আগষ্ট ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, ৪ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে সারাদেশের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল পুরো লক্ষ্মীপুর। মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিল পুরো শহর। হঠাৎ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উত্তর তেমুহানী থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঝুমুর চত্ত্বরের দিকে যাচ্ছিলো। এসময় ছাত্র আন্দোলকারীদের মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধে চেষ্টা করে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এসময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের অপসারনকৃত চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে মুহুমুহু গুলি ছুড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নিহত হন লক্ষ্মীপুরের ভিক্টরী কলেজের ছাত্র সাদ আল আফনান।

এর জের ধরে ফুঁসে উঠে শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে বাজারের দিকে এগোতো থাকে তারা। শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় পৌছলে নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তার সহযোগিরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান ও ওসমান গনিসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ হামলার সময় অন্যদের সাথে হুমায়ূন কবির পাটওয়ারীও উপস্থিত ছিলেন বলে জানাগেছে।এসময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ৫শ বেশি শিক্ষার্থী। এঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামীলীগ,যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীদের আসামী করা হয় ।