ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আজ শনিবার (১৫ জুন) পবিত্র হজ। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ২০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিচ্ছেন।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নারকীয় হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ায় শোকাবহ পরস্থিতিতে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে গুনাহ মাফের আকুল আবেদন করবেন তারা। উচ্চারিত হবে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।

‘আমি উপস্থিত হয়েছি হে আল্লাহ। আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার সমীপে। তোমার কোনো শরিক নেই। পুনরায় আমি উপস্থিত হয়েছি। নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও সকল নিয়ামত শুধু তোমারই জন্য। সব সাম্রাজ্যও তোমার এবং তোমার কোনো শরিক নেই।

সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে সমবেত মুসলমানরা আজ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁরা বিদায় হজের স্মৃতিবিজড়িত এই ঐতিহাসিক ময়দানের চারদিকে হলুদ বোর্ড দিয়ে চিহ্নিত এলাকার ভেতরে অবস্থান করবেন।

এখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। তারা অসহনীয় গরম উপেক্ষা করে প্রায় সার্বক্ষণিক জিকিরে মশগুল রয়েছেন। তালবিয়া পড়ছেন। মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় আল্লাহতায়ালার আনুগত্য প্রকাশ করছেন।

তিন দিক থেকে পাহাড় পরিবেষ্টিত আরাফাত ময়দানে রয়েছে রহমতের পাহাড় (জাবালে রহমত)। দোয়া কবুলের স্থান হওয়ায় অনেকেই এ পাহাড়ে উঠে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।

১৪শ বছরেরও বেশি সময় আগে এ ময়দানেই বিদায় হজের খুতবা দিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এ কারণে আরাফাত ময়দানে উপস্থিত না হলে হজের আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণাঙ্গ হয় না। তাই ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকন পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার পর যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফাতের ময়দানে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অসুস্থদের অনেকেই হুইলচেয়ারে করে এ ময়দানে আসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

 

আজ শনিবার (১৫ জুন) পবিত্র হজ। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের ২০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম হজের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিচ্ছেন।

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নারকীয় হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ায় শোকাবহ পরস্থিতিতে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতির মধ্য দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে গুনাহ মাফের আকুল আবেদন করবেন তারা। উচ্চারিত হবে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।

‘আমি উপস্থিত হয়েছি হে আল্লাহ। আমি উপস্থিত হয়েছি তোমার সমীপে। তোমার কোনো শরিক নেই। পুনরায় আমি উপস্থিত হয়েছি। নিশ্চয়ই সব প্রশংসা ও সকল নিয়ামত শুধু তোমারই জন্য। সব সাম্রাজ্যও তোমার এবং তোমার কোনো শরিক নেই।

সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিতে সমবেত মুসলমানরা আজ সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁরা বিদায় হজের স্মৃতিবিজড়িত এই ঐতিহাসিক ময়দানের চারদিকে হলুদ বোর্ড দিয়ে চিহ্নিত এলাকার ভেতরে অবস্থান করবেন।

এখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। তারা অসহনীয় গরম উপেক্ষা করে প্রায় সার্বক্ষণিক জিকিরে মশগুল রয়েছেন। তালবিয়া পড়ছেন। মহান আল্লাহর অশেষ রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় আল্লাহতায়ালার আনুগত্য প্রকাশ করছেন।

তিন দিক থেকে পাহাড় পরিবেষ্টিত আরাফাত ময়দানে রয়েছে রহমতের পাহাড় (জাবালে রহমত)। দোয়া কবুলের স্থান হওয়ায় অনেকেই এ পাহাড়ে উঠে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।

১৪শ বছরেরও বেশি সময় আগে এ ময়দানেই বিদায় হজের খুতবা দিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ (সা.)। এ কারণে আরাফাত ময়দানে উপস্থিত না হলে হজের আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণাঙ্গ হয় না। তাই ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকন পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার পর যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, তাদেরও অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাফাতের ময়দানে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অসুস্থদের অনেকেই হুইলচেয়ারে করে এ ময়দানে আসেন।