লোকারণ্য বাণিজ্যমেলা
- আপডেট সময় : ১২:৪১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৭৭ বার পড়া হয়েছে
আর মাত্র তিনদিন পর পর্দা নামবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসরের। শেষ ছুটির দিনে তাই ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে। মেলার শেষ সময়ে এসে ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। এদিকে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ায় হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। গতকাল শনিবার বিকেলে সরেজমিনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় এমনই চিত্র দেখা যায়।
পরিবার নিয়ে মেলায় আসা রাকিবুল হাসান বলেন, এতদিন সুযোগ থাকলেও মেলায় আসা হয়নি। কেননা শেষ সময়ে এলে তুলনামূলক কম দামে বিভিন্ন পণ্য কিনতে পাওয়া যায়। তাই শেষ ছুটির দিনে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি কেনাকাটা করতে মেলায় চলে এলাম। মন্টু ঘোষ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গতবারও শেষ সময়ে মেলায় আসা হয়েছিল। আজ শেষ ছুটির দিন হলেও জিনিসপত্রের দাম এখনো কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। যেখানে দাম কম পাবো সেখান থেকে কিনবো। ব্যবসায়ীরা বলেন, মেলার শুরুর দিকে ক্রেতার চাপ কম ছিল। এখন বাড়লেও গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। তবে আশা করছি, শেষের তিনদিন আরও ক্রেতা মেলায় আসবেন। মেলার সময় যদি আরও কিছুদিন বাড়ানো হতো তাহলে আমরা আরেকটু বেচাবিক্রির সুযোগ পেতাম। মেলার টিকিট ইজারাদার আবদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করেছেন এক লাখের বেশি মানুষ। গত বছরের তুলনায় এবার মেলার প্রথমদিকে কম ক্রেতা এলেও শেষের দিকে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ে। আশা করছি, শেষ তিনদিন মেলায় আশানুরূপ লোকসমাগম ঘটবে। মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর বেশি ভিড় রয়েছে। মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আশা করছি, শেষ কয়েকদিন মেলায় আরও মানুষের সমাগম ঘটবে। ২০ ফেব্রুয়ারি মেলা শেষ হবে।
মেলার সময় বাড়ানো হবে না বলেও জানান তিনি। দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন ও উৎপাদনে সহায়তার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজন করে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে মেলা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে বড়দের জন্য ৫০ টাকা, শিশুদের ২৫ টাকা।