শবে কদর ভাগ্য পরিবর্তনের রাত
- আপডেট সময় : ০১:০২:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ ৩০০ বার পড়া হয়েছে
মহাগ্রন্থ আল কুরআনুল কারীম নাজিলের রাত ‘শবে কদর’। এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার জাবালে রহমত তথা হিরা পর্বতের গুহায় আল্লাহ রব্বুল আলামীনের তরফে হজরত জিবরাঈল (আ.) এর মাধ্যমে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মাদ (স.) এঁর প্রতি কুরআনুল কারীম নাজিলের সূচনা হয়।
আল্লাহ বলছেন, রমজান মাস! যে মাসে কুরআন নাজিল হয়েছে মানবমন্ডলীর দিশারীরূপে ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
নবীজির নির্দেশনা অনুযায়ী আজকের রাতেও শবে কদর তালাশ করতে হবে। শবে কদর তালাশ করা মানে বিশেষ ফজিলত লাভের আশায় ইবাদতে আত্মমগ্ন থাকা এবং সম্পূর্ণ গুনাহমুক্ত থাকা।
শবে কদরের সম্মানে সুরাতুল কদর নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সুরাও রয়েছে। এ সুরায় বলা হয়েছে, লাইলাতুল কদরে কোরআন নাজিল হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এবং এ রাতে ফেরেশতারা আল্লাহর নির্দেশে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। এ রাতে ফজর পর্যন্ত প্রশান্তি বর্ষিত হয়।
এই মহান রাতে গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ-দোয়া ও জিকির-আজকারসহ প্রত্যেকটি নেক আমলের সীমাহীন ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। প্রিয়নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে’ (সহিহ বুখারি: ৩৫)