শরীয়তপুরে ইউরো বাংলা ফাউন্ডেশন মডেল স্কুলের শিক্ষক কে লাঞ্ছিত

- আপডেট সময় : ০২:০৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ১০০ বার পড়া হয়েছে
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরপায়াতলী গ্রামে অবস্থিত ইউরো বাংলা ফাউন্ডেশন মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় চাপ দেওয়ায় এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য তিরস্কার করায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিনকে লাঞ্চিত করা অভিযোগ উঠেছে।
গত ৯ মার্চ রবিবার পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিপদগামী কিছু উচ্ছিশৃংখল শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত মিলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ও অফিস কক্ষে আক্রমণ করে ব্যাপক ভাঙচুর এবং লুটপাটের চেষ্টা চালায়। তারা প্রধান শিক্ষককে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
এলাকা সূত্রে জানা যায় যে, জসিম উদ্দীন শিক্ষক একজন দক্ষ, সৎ,নীতিবানও নিবেদিত প্রান।শিক্ষকদের শ্রেণীকক্ষের মোবাইল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা,শ্রেনি কক্ষে অবাঞ্ছিত কথাবার্তা না বলা, সময় মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে বাধ্য করা, ঘন্টাপড়ার সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের মধ্য শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে বাধ্য করা, নিয়মিত পাঠদানের পর ও অতিরিক্ত পাঠদান করতে বলায়,শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন প্রকার উপহার নিতে নিরোৎসাহিত করা সহ বিভিন্ন কারণে পূর্বে থেকেই কয়েকজন সহকারী শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের প্রতি অসন্তোষ্ট ছিলেন।
এই সুযোগে এলাকার কিছু কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন চেষ্টা করে ও যারা জসিম উদ্দিনের কারনে অনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে তাদের সন্তানদের মগজ ধোলাই করে
তার পদত্যাগের নামে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে ন্যাক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়।
ও শিক্ষক জসীম উদ্দীন সম্মানের সাথে তার পদে পুর্নবহালের দাবি জানিয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট স্বারক লিপি জমা দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। অন্ধকারে নিমজ্জিত চরপায়াতলী গ্রামকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক মিয়া নুরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন ইউরো বাংলা ফাউন্ডেশন মডেল স্কুল।
যা ইতিমধ্য এলাকার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত পেয়েছে এছাড়াও সেখানে বর্তমানে একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার কাজ চলমান আছে এলাকায় উল্লেখ এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পূর্বে উক্ত এলাকায় অষ্টম শ্রেণী পাস মানুষ পাওয়া দুষ্প্রাপ্য ছিল।
অথচ বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কারণে শত শত ছেলে মেয়ে এসএস সি / এইচ এস সি পাশ এবং ঢাকা কলেজ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ জাতিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ, সুধীজন খুব দুঃখ প্রকাশ করেন।
মিয়া নুরুল ইসলাম বলেন ঘটনার সুস্থ তদন্ত এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দীন কে তার পদে পুর্নবহাল না করলে অত্র বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা,কর্মচারী বৃন্দ পদত্যাগ করবেন,ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট স্বারক লিপি জমা দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত আছি অপরাধের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উক্ত ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শরীয়তপুর জেলার আহবায়ক আদর রহমান।একই সাথে তিনি দোষীদের শাস্তি এবং জসিম উদ্দিনকে তার পদে পুর্নবহালের দাবী জানিয়েছেন।