ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হত্যা মামলার আসামী স্ত্রী, বিচারের দাবিতে মায়ের আকুতি Logo বাগেরহাট ফিল্ম সোসাইটির বনি সভাপতি ও রোমেল সম্পাদক নির্বাচিত Logo আমরা শিশুটির হত্যার বিচার দ্রুত কার্যকর দেখতে চাই Logo জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের গোলটেবিল বৈঠকে Logo বসুন্ধরা টয়লেট্রিজে ৪০ শতাংশ ছাড় Logo রমজানে গ্যাস্ট্রিক ও আলসার রোগীর স্বাস্থ্যের সমস্যা ” সুস্থতার জন্য করনীয় ও বর্জনীয়  Logo মধুখালীতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন Logo শাহজাদপুরে ধর্ষণের শিকার চার বছরের শিশু সুমাইয়া মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে  Logo নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদারীপুরের শিবচরে ক্লিনিক মালিক গ্রেফতার Logo কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্তে ভারত থেকে পাচার হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটক

শাটডাউনে থাকা আন্দোলনকারীদের আলোচনার বার্তা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।

কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকার বার্তা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

তাদের ভাষ্য, সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।

বুধবার রাত পৌনে ৩টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে হত্যা ও হামলার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী ও দায়িত্বরত পুলিশদের বিচারের আওতায় আনা এবং জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটা সংস্কারের দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে সরকারই উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা করে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ থাকলেও সরকার কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার প্রথমে বিচার বিভাগকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সাথে কালক্ষেপণ ও দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সহিংসভাবে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা চলছে।

এখন পর্যন্ত সারাদেশে হাজারের উপর শিক্ষার্থী আহত এবং সাতজনের মত নিহত হয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।

সেখানে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদপ্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোর করে বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে পুলিশ হলে হলে টিয়ারশেল, গ্রেনেড ও গুলি চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সোয়াট যৌথভাবে কফিন মিছিলে হামলা চালায়।

চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকান্ড ইত্যাদির সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনোভাবেই জড়িত নয়। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নেবে না। আমরা সকলকে অনুরোধ করব, যাতে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের প্রচেষ্টা না করে। কারণ, আমাদের এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবির আন্দোলন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শাটডাউনে থাকা আন্দোলনকারীদের আলোচনার বার্তা

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

 

সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।

কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকার বার্তা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

তাদের ভাষ্য, সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে।

বুধবার রাত পৌনে ৩টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে হত্যা ও হামলার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী ও দায়িত্বরত পুলিশদের বিচারের আওতায় আনা এবং জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে কোটা সংস্কারের দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে সরকারই উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা করে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ থাকলেও সরকার কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার প্রথমে বিচার বিভাগকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সাথে কালক্ষেপণ ও দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সহিংসভাবে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা চলছে।

এখন পর্যন্ত সারাদেশে হাজারের উপর শিক্ষার্থী আহত এবং সাতজনের মত নিহত হয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।

সেখানে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদপ্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোর করে বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে পুলিশ হলে হলে টিয়ারশেল, গ্রেনেড ও গুলি চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সোয়াট যৌথভাবে কফিন মিছিলে হামলা চালায়।

চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকান্ড ইত্যাদির সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনোভাবেই জড়িত নয়। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নেবে না। আমরা সকলকে অনুরোধ করব, যাতে আমাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের প্রচেষ্টা না করে। কারণ, আমাদের এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবির আন্দোলন।