চুনতিতে ডলুখালের ভাঙন
শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা

- আপডেট সময় : ২৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নে ডলুখালের ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। ইউনিয়নের পানত্রিশা এলাকায় প্রবাহিত খালটি ইতোমধ্যে একস্থানে ২০টি বসতবাড়ি খালগর্ভে হারিয়ে গেছে। সেখানে দিনে দিনে বাড়ছে ভাঙনের তীব্রতা। ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানত্রিশা হাজি পাড়ার পাশ দিয়ে প্রবাহিত ডলুখালের উভয়পাশের বেশকিছু অংশ দীর্ঘ একদশক ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙনে ২০টি বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে। বিলীনের পথে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবার। এছাড়া পাশ্ববর্তী একটি চলাচলের রাস্তাও ভাঙনের কবলে পড়ে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা ।
স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল বাহার রাজা বলেন, ভাঙনের কবলে পড়ে সড়কসহ বিশাল একটি অংশ নিচিহ্ন হয়ে গেছে। বিগতসময়ে ২০টি ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। পাশে আরও শতাধিক পরিবার খুবই আতঙ্কে দিনপার করছে।সেগুলো যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যাবে। এছাড়া খালের ওপাড় থেকে কয়েকশো শিক্ষার্থী বীর বিক্রম জয়নুল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ে আসাযাওয়া করে তাদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা বৃদ্ধ নূর আহমেদ বলেন, দীর্ঘ একদশক ধরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কারণে অনেকের খতিয়ানভুক্ত জায়গাও খালে মিশে গেছে। যেকোনো মুহুর্তে অবশিষ্ট শতাধিক বসতভিটাও বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা আরও বলেন, ডলুখালের ভাঙনে আমাদের ঘরবাড়িও ভেঙে যাচ্ছে। অনেকগুলো বাড়ি ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে। আমাদের চলাচলের রাস্তাটিও ভাঙনেযুক্ত হয়ে এখন হাটার মতো পরিবেশও নেই।
চুনতি বীর বিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত ইসলাম বলেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে দিনে দিনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে বিশাল একটি জনগোষ্ঠী পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনীস হায়দার বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।