ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিল্পকলায় ৪ দিনব্যাপী ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ২১৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের চর্চা ও প্রসার এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৬-২৯ মে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শাস্ত্রীয় নৃত্য সত্রীয়, ওড্যিসি, গৌড়িও, ভরতনাট্যম এবং কথক নৃত্যের সমন্বয়ে নৃত্যাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় ৪ দিনব্যাপী এ আয়োজন ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব । পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীবৃন্দ।

চারদিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনের প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক আফতাব উদ্দিন হাবলু।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন “এক সময় এই বাংলায় শাস্ত্রীয় সংগীতে অনেক অনুষ্ঠান হতো কিন্তু এখন তার কমে গেছে। আমাদের দেশ শাস্ত্রীয় সংগীত, শাস্ত্রীয় নৃত্যের দেশ, শিল্প-সংস্কৃতির দেশ। এখানে শাস্ত্রীয়ের নেতৃত্বের ধারা দুর্বল হতে থাকবে তা হতে দেওয়া যায় না।

উপমহাদশের শাস্ত্রীয় সংগীতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সম্পর্কে তিনি বলেন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র সংগ্রহশালা দুইবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাঁর তানপুরা আছাড় দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। কেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর উপর এতো আক্রোশ? কেন শাস্ত্রীয় সংগীত, নৃত্য শিল্পীদের উপর আক্রোশ? কিছু উগ্রবাদী যারা আছে তারা আমাদের নানান ভাবে এই শিল্পসাহিত্য সংস্কৃতির নানা রকমের সংকট তৈরি করছে। তারা মুষ্টিমেয় গুটিকয়েক, তারা এই কাজগুলো করে চলেছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন সুপ্রিয়া। তারপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর এককসংগীত পরিবেশন করেন অসিত দে। একক নৃত্য পরিবেশন করেন দীপা খন্দকার ‘কত্থক’। আবার সমবেত নৃত্য, পরিবেশন করে বাংলাদেশ মনিপুরী নটপালা সংগঠক (বাবুচান সিংহ) ‘মনিপুরি’। এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন অনিল কুমার সাহা এবং কানিজ আহম্মেদী সিম্পি। একক নৃত্য ‘গৌড়িও’ পরিবেশন করেন র‌্যাচেল প্রিয়াংকা প্যারিস । একক নৃত্য পরিবেশন করেন মারিয়া ফারিহ্ উপমা ‘ভরতনাট্যম’।

১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবে এর পরের পরিবেশনা সঙ্গীত, পরিবেশন করেন রেজওয়াদুল হক। একক সংগীত পরিবেশন করেন ড. প্রদীপ নন্দী। একক নৃত্য ‘ওড্যিসি’ পরিবেশন করেন তজিম চাকমা । এরপর একক নৃত্য পরিবেশন করেন এস এম হাসান ইশতিয়াক ইমরান ‘কত্থক’। সব শেষে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার (আনিসুর ইসলাম, হিরু) ‘ভরতনাট্যম।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিল্পকলায় ৪ দিনব্যাপী ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব

আপডেট সময় : ০৬:২২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

 

শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যের চর্চা ও প্রসার এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৬-২৯ মে ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শাস্ত্রীয় নৃত্য সত্রীয়, ওড্যিসি, গৌড়িও, ভরতনাট্যম এবং কথক নৃত্যের সমন্বয়ে নৃত্যাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হয় ৪ দিনব্যাপী এ আয়োজন ১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসব । পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীবৃন্দ।

চারদিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনের প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক আফতাব উদ্দিন হাবলু।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন “এক সময় এই বাংলায় শাস্ত্রীয় সংগীতে অনেক অনুষ্ঠান হতো কিন্তু এখন তার কমে গেছে। আমাদের দেশ শাস্ত্রীয় সংগীত, শাস্ত্রীয় নৃত্যের দেশ, শিল্প-সংস্কৃতির দেশ। এখানে শাস্ত্রীয়ের নেতৃত্বের ধারা দুর্বল হতে থাকবে তা হতে দেওয়া যায় না।

উপমহাদশের শাস্ত্রীয় সংগীতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সম্পর্কে তিনি বলেন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র সংগ্রহশালা দুইবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাঁর তানপুরা আছাড় দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। কেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর উপর এতো আক্রোশ? কেন শাস্ত্রীয় সংগীত, নৃত্য শিল্পীদের উপর আক্রোশ? কিছু উগ্রবাদী যারা আছে তারা আমাদের নানান ভাবে এই শিল্পসাহিত্য সংস্কৃতির নানা রকমের সংকট তৈরি করছে। তারা মুষ্টিমেয় গুটিকয়েক, তারা এই কাজগুলো করে চলেছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই একক শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশন করেন সুপ্রিয়া। তারপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর এককসংগীত পরিবেশন করেন অসিত দে। একক নৃত্য পরিবেশন করেন দীপা খন্দকার ‘কত্থক’। আবার সমবেত নৃত্য, পরিবেশন করে বাংলাদেশ মনিপুরী নটপালা সংগঠক (বাবুচান সিংহ) ‘মনিপুরি’। এরপর একক সংগীত পরিবেশন করেন অনিল কুমার সাহা এবং কানিজ আহম্মেদী সিম্পি। একক নৃত্য ‘গৌড়িও’ পরিবেশন করেন র‌্যাচেল প্রিয়াংকা প্যারিস । একক নৃত্য পরিবেশন করেন মারিয়া ফারিহ্ উপমা ‘ভরতনাট্যম’।

১৬তম শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্য উৎসবে এর পরের পরিবেশনা সঙ্গীত, পরিবেশন করেন রেজওয়াদুল হক। একক সংগীত পরিবেশন করেন ড. প্রদীপ নন্দী। একক নৃত্য ‘ওড্যিসি’ পরিবেশন করেন তজিম চাকমা । এরপর একক নৃত্য পরিবেশন করেন এস এম হাসান ইশতিয়াক ইমরান ‘কত্থক’। সব শেষে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সৃষ্টি কালচারাল সেন্টার (আনিসুর ইসলাম, হিরু) ‘ভরতনাট্যম।