ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo ‘দুর্গা পূজায় সৌজন্যে ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ভারতীয় নাগরিক রামদেবকে স্বাদেশে প্রত্যাবাসন Logo নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর Logo বিহারীবস্তিতে দুস্কৃতিকারীর হামলায় শালিসি ব্যক্তিত্ব পূর্ব আহত Logo শিবগঞ্জের দ্বিতীয় দফায় ভাঙ্গনের কবলে পদ্মা পাড়ের মানুষ, ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ Logo কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতালের সাথে ভোরের পাখি সংগঠনের স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি Logo জকসু ও সম্পূরক বৃত্তিসহ জবি শাখা বাগছাসের ৫ দাবি Logo ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন Logo জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট জেলা শাখার প্রচার মিছিল সম্পন্ন

শিল্পকলা একাডেমীর বদ্ধ কক্ষে তল্লাশি, ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৩৬১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পিএসের দায়িত্বে নিয়োজিত কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ ও  বিভাগে কর্মরত কালচারাল অফিসার সাদিয়া বিনতে আফজলের তালাবদ্ধ কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

অ্যাকাডেমির সচিব  সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে উক্ত তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তল্লাশি চলাকালে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধারের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তসহ মোট ১০ জন লাকীর সুবিধাভোগী ও অপকর্মের সহযোগী কালচারাল অফিসারকে ওএসডি করা হয়। এর আগে সাবেক মহাপরিচালকের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা এবং কালচারাল অফিসার এম মোস্তাক হোসেনের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২০ লাখ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সহকারী পরিচালক (পিএস) আবু ছালেহ মো. আবদুল্লাহর কক্ষ তল্লাশির সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। কিসের টাকা পাওয়া গেলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাওর উৎসবের জন্য আগাম টাকা তোলা ছিল। আরও কিছু অনুষ্ঠানের বিল দেওয়া বাকি ছিল। এগুলো সেই টাকা। ৫ আগস্টের পরে আমরা নিজেদের কক্ষে প্রবেশ করতে না পারায় এসব এভাবে রয়ে গেছে। আমি সচিব স্যারকে অবহিত করেছিলাম।

 প্রতিবছর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির তথাকথিত ‘সিন্ডিকেট’ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একই তারিখে (২৭ জুন) একাধিক ভাউচারে তুলে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। সে সময় অ্যাকাডেমির কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন, ভুয়া ভাউচারে অর্থ উত্তোলন অ্যাকাডেমিতে বহুল চর্চিত প্রক্রিয়া।

এর আগে অডিট রিপোর্টে যে ২২৮ কোটি টাকার অনিয়মের তথ্য উঠে আসে সেখানে বিধি লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৭ লাখ টাকার বেশি অগ্রিম দেওয়ায় ৫ কোটি ২ লাখ ৩ হাজার ৭১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ ছিল। বিধি উপেক্ষা করে এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যয় করায় লাখ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।

কক্ষ তল্লাশির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা ইন্সট্রাকটর (নাটক, প্রশিক্ষণ বিভাগ) এহসানুর রহমান। অভিযুক্তরা টাকার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওর উৎসব ২০২২ সালের একটি ভুয়া অনুষ্ঠান। যেটি আদতে হয়নি। তাহলে ২০২২ সালের অগ্রিম উত্তোলিত টাকা ২০২৪ সালেও কর্মকর্তাদের জিম্মায় রয়ে গেলো? আসলে ৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটে তারা টাকাটা সরানোর সুযোগ পায়নি। এরকম আগাম অর্থ উত্তোলন, অবহিত না করে অন্য কর্মকতার নামে চেক ইস্যুর মতো অনিয়মকে শিল্পকলায় নিয়মে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিল্পকলা একাডেমীর বদ্ধ কক্ষে তল্লাশি, ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার

আপডেট সময় :

 

বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পিএসের দায়িত্বে নিয়োজিত কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ ও  বিভাগে কর্মরত কালচারাল অফিসার সাদিয়া বিনতে আফজলের তালাবদ্ধ কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

অ্যাকাডেমির সচিব  সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে উক্ত তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তল্লাশি চলাকালে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধারের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেন অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তসহ মোট ১০ জন লাকীর সুবিধাভোগী ও অপকর্মের সহযোগী কালচারাল অফিসারকে ওএসডি করা হয়। এর আগে সাবেক মহাপরিচালকের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা এবং কালচারাল অফিসার এম মোস্তাক হোসেনের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২০ লাখ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সহকারী পরিচালক (পিএস) আবু ছালেহ মো. আবদুল্লাহর কক্ষ তল্লাশির সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। কিসের টাকা পাওয়া গেলো? জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাওর উৎসবের জন্য আগাম টাকা তোলা ছিল। আরও কিছু অনুষ্ঠানের বিল দেওয়া বাকি ছিল। এগুলো সেই টাকা। ৫ আগস্টের পরে আমরা নিজেদের কক্ষে প্রবেশ করতে না পারায় এসব এভাবে রয়ে গেছে। আমি সচিব স্যারকে অবহিত করেছিলাম।

 প্রতিবছর শিল্পকলা অ্যাকাডেমির তথাকথিত ‘সিন্ডিকেট’ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। একই তারিখে (২৭ জুন) একাধিক ভাউচারে তুলে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। সে সময় অ্যাকাডেমির কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন, ভুয়া ভাউচারে অর্থ উত্তোলন অ্যাকাডেমিতে বহুল চর্চিত প্রক্রিয়া।

এর আগে অডিট রিপোর্টে যে ২২৮ কোটি টাকার অনিয়মের তথ্য উঠে আসে সেখানে বিধি লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৭ লাখ টাকার বেশি অগ্রিম দেওয়ায় ৫ কোটি ২ লাখ ৩ হাজার ৭১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ ছিল। বিধি উপেক্ষা করে এক খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যয় করায় লাখ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।

কক্ষ তল্লাশির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাকাডেমির কর্মকর্তা ইন্সট্রাকটর (নাটক, প্রশিক্ষণ বিভাগ) এহসানুর রহমান। অভিযুক্তরা টাকার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাওর উৎসব ২০২২ সালের একটি ভুয়া অনুষ্ঠান। যেটি আদতে হয়নি। তাহলে ২০২২ সালের অগ্রিম উত্তোলিত টাকা ২০২৪ সালেও কর্মকর্তাদের জিম্মায় রয়ে গেলো? আসলে ৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটে তারা টাকাটা সরানোর সুযোগ পায়নি। এরকম আগাম অর্থ উত্তোলন, অবহিত না করে অন্য কর্মকতার নামে চেক ইস্যুর মতো অনিয়মকে শিল্পকলায় নিয়মে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।’