শ্যামনগর উপজেলা প্রসাশনকে ম্যানেজ করে এখনও বহাল তবিয়তে বির্তকিত সেই তিন ঠিকাদার

- আপডেট সময় : ৬২ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলা ও পৌর প্রসাশনকে ম্যানেজ করে পুর্বের ন্যায় এখনও বহাল তবিয়তে ভাগ-বাঁটোয়ারার মাধ্যমে, রজস্ব,এডিবি,কাবিটা,কাবিখা, টিআরের বিভিন্ন প্রকল্পে যেন তেন কাজ করে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারী লাখ লাখ টাকা।এদিকে বির্তকিত ঠিকাদারদের আস্তানা এখনও বহাল থাকায় রাজনৈতিক মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। পুর্বের সরকারের আমলে চিহৃিত এই ঠিকাদারদের সাথে সখ্যতা রেখে যে ভাবে প্রসাশন ও জনপ্রতিনিধিরা কাজ করে ছিলো ঠিক তেমনিভাবে একক ক্ষমতার অধিকার পেয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুনের নেতৃত্বে প্রসাশনের দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তারা লুটে নিচ্ছে সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ।এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসা মেরামতের অর্ধকোটি টাকা,উপজেলা পরিষদের হলরুমের জন্য খরচ করা অর্ধকোটির অধিক পরিমান টাকা,সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশলীনা ইকোপার্কে অর্ধকোটি ও উপজেলা পরিষদের ভিতরে শিশু পার্ক সংস্কারে ১০ লাখ টাকা খরচের বিষয়টি নিয়ে চলছে সারা উপজেলা জুড়ে সচেতন মহল,রাজনৈতিক মহল ও চায়ের দোকানগুলোতে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।বদলির আদেশ পেয়েও মাস খানিক সময় পার করে কর্মস্থল ত্যাগ করতে যাচ্ছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন। তার ছত্রছায়ায় থাকা তিন ঠিকাদার শেষ লগ্নে পেয়েছেন তার পুর্ন আর্শিবাদ।তবে ওই সকল ঠিকাদার কে সামনে রেখে প্রসাশন ও হাতিয়ে নিয়েছেন ও নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।এম পি,উপজেলা চেয়্যারম্যান,পৌর সভার চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধী না থাকায় একপর্য্যায় কোন জবাব দিহীতা না থাকায় প্রায় ইচ্ছামত প্রকল্প দিয়ে ব্যাপক উন্নয়নের প্রচার প্রসার ঘটিয়ে পিছন দিক হাতিয়ে নেয়া হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।ইউএনওর বদলীর খবরের পর থেকে বেরিয়ে আসছে বহু নির্ভরশীল সাধারন মানুষের জানার বাহিরে থাকা অজানা সকল তথ্য। এদিকে বিশেষ কিছু কিছু সুবিধা পেয়ে একটি মহল তাকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে অনিয়ম দুর্নীতির পাহাড় ঢাকতে গুনগানে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তারা ইউএনও কে মানবতার মা,উন্নয়নের ধারক সহ নানা উপাধি দিয়ে সরকারী বরাদ্দের লুটপাটের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এড মাসুদুল আলম দোহা বলেন, বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে,সময় হলে আমরা দেখবো।শ্যামনগর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক খান আব্দুস সবুর বলেন,সেই আওয়ামীলীগের সময় যারা উপজেলা প্রসাশনে কে ম্যানেজ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করেছে, এখনও তারা বহাল তবিয়তে। শ্যামনগর পৌরসভার কাউন্সিলর আজিজুর রহমান আজিবর বলেন, পৌরসভাতে দীর্ঘদিন ধরে কোন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না,নানা জটিলতার কারনে,তবে সরকারী টি আর প্রকল্পের বরাদ্দ আসলেও আমরা জানতে পারছিনা,আমাদেরকে না বলে, প্রসাশানিক কর্মকর্তারা ইচ্ছেমত প্রকল্প দিচ্ছে এবং সাধারন মানুষ দের প্রকল্পের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক বানিয়ে কাজ করার কারনে আমরা জনপ্রতিনিধীরা দারুনভাবে সাধারন মানুষের কাছে হেয় হচ্ছি।
তবে বিষয়টি সম্পুর্ন ভিত্তীহীন বলে উড়িয়ে দিলেন,ইউএনও মোছাঃ রনি খাতুন। তিনি বলেছেন আমার কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা না পেয়ে অনেকেই অপপ্রচার চালাচ্ছে।এদিকে সচেতন মহল ২০২৪/২৫ ও ২৬ সালের অর্থ বছরের নেয়া সকল প্রকল্পগুলো সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।