ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীনগরে ভূট্টায় কৃষকের স্বপ্ন Logo নওগাঁ সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনএসআই মাঠ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে Logo মধুখালীতে গোল্ডেন পরিবহনের চাপায় এক ভ্যান যাত্রী নিহত Logo সেনবাগে বৃদ্ধের বসতঘর ভংচুর, পিটিয়ে হাত ভাঙ্গল ভাতিজা Logo নরসিংদীর মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন Logo সপ্তাহ ব্যাপী অভিযানে ফেনী ব্যাটালিয়ান ৪ বিজিবির কোটি টাকার মালামাল আটক Logo ডাকবাংলায় আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের দাপট: ফের সক্রিয় অপরাধ জগতে Logo পৌনে এক কোটি টাকার কালভার্টের মূল কাজ শুরু হয়নি ৪ বছরেও,দুর্ঘটনা ও ভোগান্তিতে ৫০গ্রামের বাসিন্দা Logo ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল: উপ-প্রেস সচিব

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন মন্তব্য করে আরও পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে আজাদ মজুমদার বলেন, “কিছু লোক সরকারকে কঠোর হতে বলে আবার সামান্যতম কঠোর হলে গেল গেল রব তোলে। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া জরুরি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা নিয়ে যথারীতি এই দ্বিচারিতা আবার শুরু হয়েছে। প্রবেশাধিকার সীমিত করার এই সিদ্ধান্তটি খুবই সাময়িক।

একটা বিষয় এখানে পরিষ্কার করা দরকার, কোনো সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাতিল করা হয়নি। কেবল সচিবালয়ের  ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। তা-ও খুবই অল্প সময়ের জন্য। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী পাশ ইস্যু করা হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীঘ্রই বিদ্যমান সব প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডই পর্যালোচনা করা হবে এবং নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য সমস্ত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে আবেদন চাওয়া হবে। ”

বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল মন্তব্য করে ওই পোস্টে উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, “এটা এখন ওপেন সিক্রেট, বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো। সরকারের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তে দালাল ছাড়া কারো শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি, এটা সাংবাদিকদের কাজ আরো সহজ করবে। এখন সাময়িক অসুবিধা হলেও চূড়ান্ত বিচারে এটা সবাইকে সহযোগিতা করবে। এজন্যই সবার সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।

সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রের একটা বিপর্যয় হয়েছে এটা মানতে কারো দ্বিধা থাকার কথা নয়। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, সেনাবাহিনীর বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ দিয়ে একসাথে কোনো ঘটনার তদন্ত করা হয়নি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী বলেই এই ধরনের কমিটি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের দূরে রেখে তদন্ত কাজ চালানো হবে বলে যারা আবোল তাবোল বকছেন এরা মারাত্মক ভুলে আছেন। আমাদের বিশ্বাস, সাংবাদিকরাও বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে সহযোগতিা করবেন। ”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল: উপ-প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ০৭:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

 

বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন মন্তব্য করে আরও পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে আজাদ মজুমদার বলেন, “কিছু লোক সরকারকে কঠোর হতে বলে আবার সামান্যতম কঠোর হলে গেল গেল রব তোলে। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া জরুরি। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা নিয়ে যথারীতি এই দ্বিচারিতা আবার শুরু হয়েছে। প্রবেশাধিকার সীমিত করার এই সিদ্ধান্তটি খুবই সাময়িক।

একটা বিষয় এখানে পরিষ্কার করা দরকার, কোনো সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বাতিল করা হয়নি। কেবল সচিবালয়ের  ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। তা-ও খুবই অল্প সময়ের জন্য। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অস্থায়ী পাশ ইস্যু করা হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীঘ্রই বিদ্যমান সব প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডই পর্যালোচনা করা হবে এবং নতুন অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড ইস্যু করার জন্য সমস্ত স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের কাছে আবেদন চাওয়া হবে। ”

বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিল মন্তব্য করে ওই পোস্টে উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, “এটা এখন ওপেন সিক্রেট, বাংলাদেশ সচিবালয়কে দালালদের হাটবাজার বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো। সরকারের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তে দালাল ছাড়া কারো শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি, এটা সাংবাদিকদের কাজ আরো সহজ করবে। এখন সাময়িক অসুবিধা হলেও চূড়ান্ত বিচারে এটা সবাইকে সহযোগিতা করবে। এজন্যই সবার সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে।

সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে রাষ্ট্রের একটা বিপর্যয় হয়েছে এটা মানতে কারো দ্বিধা থাকার কথা নয়। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক, সেনাবাহিনীর বিষ্ফোরক বিশেষজ্ঞ দিয়ে একসাথে কোনো ঘটনার তদন্ত করা হয়নি।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী বলেই এই ধরনের কমিটি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের দূরে রেখে তদন্ত কাজ চালানো হবে বলে যারা আবোল তাবোল বকছেন এরা মারাত্মক ভুলে আছেন। আমাদের বিশ্বাস, সাংবাদিকরাও বিষয়টি উপলব্ধি করবেন এবং চলমান পরিস্থিতিতে সরকারকে সহযোগতিা করবেন। ”