ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সাগরদাঁড়ি মধুমেলার দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে কৃষি মেলা

খায়রুল আনাম, কেশবপুর (যশোর)
  • আপডেট সময় : ০৩:২২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৯০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মধুমেলার ভেতর ‘কৃষি মেলা’ মন কেড়েছে দর্শনার্থীদের। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য দেখে উচ্ছ্বসিত মধুভক্তরা। সাগরদাঁড়ির মধু মেলা ঘুরে তথ্য চিত্র সংগ্রহ করেন জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার কেশবপুর উপজেলা প্রতিনিধি হারুনার রশীদ বুলবুল। মেলাতে যে সকল কৃষি পণ্যের স্থান পায়, বিশাল আকৃতির মেটে আলুসহ বড় বড় মিষ্টিকুমড়া, মানকচু, স্কোয়াশ, হাজারী কলার কাঁদি, লাউ, মুলা, ওলকপি, রঙিন বাঁধাকপি, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, বারোমাসি কাঁঠাল, পেঁপেসহ তিন শতাধিক কৃষিপণ্য দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে। গতকাল রোববার কৃষি মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় প্রদর্শনীর জন্য উপজেলার সুজাপুর গ্রামের কৃষক দেবু দাসের ৭৩ কেজি ওজনের মেটে আলু, টিটাবাজিতপুর গ্রামের কৃষক নূর ইসলামের প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার ৩৭ কেজি ওজনের মানকচু দর্শনার্থীর নজর কাড়ে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মধুমেলার মধ্যেই আয়োজিত কৃষি মেলায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। তিনি আরও বলেন প্রতি বছর এই কৃষি মেলা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ থাকে। তবে এই মেলা করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। এখানে জেলা পরিষদ অথবা উপজেলা প্রশাসনের কোন বাজেট থাকে না, যার কারণে এই মেলা শেষ নামাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। নিজের পকেট থেকে খেতে হয়, ডেকোরেশনে অনেক খরচ হয়, এই মেলা আকর্ষণীয় করে তুলতে যা যা দরকার হয় সবই আমাদের পকেটের টাকা অথবা কোন প্রজেক্টের টাকা দিয়ে করতে হয় তাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। তাই যদি জেলা পরিষদ অথবা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর কিছু বরাদ্দ দেওয়া হতো তাহলে এই কৃষি মেলা আরও অনেক সুন্দর করতে পারতাম। আমরা দেখেছি গত বছর এই কৃষি মেলা না থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত দর্শনার্থীদের ভিতরে অনেক আক্ষেপ ছিল। যার কারণে মেলার প্রস্তুতি মিটিংএ কৃষি মেলা আয়োজনের জন্য জোর দাবী জানানো হয়। কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সভাপতি মোঃ আশরাফুজ্জামান কাছে কৃষি মেলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন মহা কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তে জন্মবার্ষিকীতে প্রতি বছর মূল আকর্ষণ থাকে এই কৃষি মেলা। যার কারণে মেলার প্রস্তুতি সভায় আমি জোর দাবী জানিয়ে ছিলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাগরদাঁড়ি মধুমেলার দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে কৃষি মেলা

আপডেট সময় : ০৩:২২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মধুমেলার ভেতর ‘কৃষি মেলা’ মন কেড়েছে দর্শনার্থীদের। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য দেখে উচ্ছ্বসিত মধুভক্তরা। সাগরদাঁড়ির মধু মেলা ঘুরে তথ্য চিত্র সংগ্রহ করেন জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার কেশবপুর উপজেলা প্রতিনিধি হারুনার রশীদ বুলবুল। মেলাতে যে সকল কৃষি পণ্যের স্থান পায়, বিশাল আকৃতির মেটে আলুসহ বড় বড় মিষ্টিকুমড়া, মানকচু, স্কোয়াশ, হাজারী কলার কাঁদি, লাউ, মুলা, ওলকপি, রঙিন বাঁধাকপি, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, বারোমাসি কাঁঠাল, পেঁপেসহ তিন শতাধিক কৃষিপণ্য দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে। গতকাল রোববার কৃষি মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় প্রদর্শনীর জন্য উপজেলার সুজাপুর গ্রামের কৃষক দেবু দাসের ৭৩ কেজি ওজনের মেটে আলু, টিটাবাজিতপুর গ্রামের কৃষক নূর ইসলামের প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার ৩৭ কেজি ওজনের মানকচু দর্শনার্থীর নজর কাড়ে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মধুমেলার মধ্যেই আয়োজিত কৃষি মেলায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। তিনি আরও বলেন প্রতি বছর এই কৃষি মেলা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ থাকে। তবে এই মেলা করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। এখানে জেলা পরিষদ অথবা উপজেলা প্রশাসনের কোন বাজেট থাকে না, যার কারণে এই মেলা শেষ নামাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। নিজের পকেট থেকে খেতে হয়, ডেকোরেশনে অনেক খরচ হয়, এই মেলা আকর্ষণীয় করে তুলতে যা যা দরকার হয় সবই আমাদের পকেটের টাকা অথবা কোন প্রজেক্টের টাকা দিয়ে করতে হয় তাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। তাই যদি জেলা পরিষদ অথবা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর কিছু বরাদ্দ দেওয়া হতো তাহলে এই কৃষি মেলা আরও অনেক সুন্দর করতে পারতাম। আমরা দেখেছি গত বছর এই কৃষি মেলা না থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আগত দর্শনার্থীদের ভিতরে অনেক আক্ষেপ ছিল। যার কারণে মেলার প্রস্তুতি মিটিংএ কৃষি মেলা আয়োজনের জন্য জোর দাবী জানানো হয়। কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সভাপতি মোঃ আশরাফুজ্জামান কাছে কৃষি মেলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন মহা কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তে জন্মবার্ষিকীতে প্রতি বছর মূল আকর্ষণ থাকে এই কৃষি মেলা। যার কারণে মেলার প্রস্তুতি সভায় আমি জোর দাবী জানিয়ে ছিলাম।