ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

সাতক্ষীরায় ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে বহু চিংড়িঘের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূল অঞ্চলে বহু চিংড়িঘের ভেসে গেছে। তাতে ক্ষতি হলো কত? একনই তা বলা যাচ্ছে না। তবে, ক্ষতির পরিমাণটা যে মোটা দাগেরই হবে, তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না।

ক্ষতিটা কেবল চিংড়িঘের ভেসে যাবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বাড়ি-ঘর, গাছপালা, বন এসবের ক্ষতিটাও স্বাভাবি নয়। সাতক্ষীরা মহিলা সমিতির সাদারণ সম্পাদক ও উন্নয়ন কর্মী জোস্না দত্ত জানালেন, শ্যানগরের গাবুরা এবং আশাশুনির প্রতাপনগর ও বলশা বাড়িয়ায় বাঁধ ভেঙ্গে বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে, ভেসে মৎস্যঘের। ভারী বর্ষণে সাতক্ষীরা শহরেও জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শ্যামনগর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৭৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৩টি ইউনিয়নে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ১৯২টি ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২৭৬টি ঘরবাড়ি। মারা গিয়েছেন একজন।

রোববার বেলা তিনটা থেকে সোমবার বেলা তিনটা ১২ ঘন্টায় পর্যন্ত ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় মূলক শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় এবং রোববার দুপুরের দিকে দমকা বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়।

শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী, আঠুলিয়া, মুন্সিগঞ্জ কৈখালী রমজাননগর ইউনিয়ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে, কোথাও উপচে লোকালয়ে পানি ঢোকে। শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরাগামী সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটে।

ভারী বর্ষণে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী। একজন বৃদ্ধা পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতার জন্য ইতিমধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি, শুকনো খাবার ও টাকা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাতক্ষীরায় ভারী বর্ষণে ভেসে গেছে বহু চিংড়িঘের

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূল অঞ্চলে বহু চিংড়িঘের ভেসে গেছে। তাতে ক্ষতি হলো কত? একনই তা বলা যাচ্ছে না। তবে, ক্ষতির পরিমাণটা যে মোটা দাগেরই হবে, তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না।

ক্ষতিটা কেবল চিংড়িঘের ভেসে যাবার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বাড়ি-ঘর, গাছপালা, বন এসবের ক্ষতিটাও স্বাভাবি নয়। সাতক্ষীরা মহিলা সমিতির সাদারণ সম্পাদক ও উন্নয়ন কর্মী জোস্না দত্ত জানালেন, শ্যানগরের গাবুরা এবং আশাশুনির প্রতাপনগর ও বলশা বাড়িয়ায় বাঁধ ভেঙ্গে বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে, ভেসে মৎস্যঘের। ভারী বর্ষণে সাতক্ষীরা শহরেও জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শ্যামনগর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ৭৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪৩টি ইউনিয়নে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ১৯২টি ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২৭৬টি ঘরবাড়ি। মারা গিয়েছেন একজন।

রোববার বেলা তিনটা থেকে সোমবার বেলা তিনটা ১২ ঘন্টায় পর্যন্ত ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় মূলক শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি শুরু হয় এবং রোববার দুপুরের দিকে দমকা বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সোমবার (২৭ মে) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়।

শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী, আঠুলিয়া, মুন্সিগঞ্জ কৈখালী রমজাননগর ইউনিয়ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ভেঙে, কোথাও উপচে লোকালয়ে পানি ঢোকে। শ্যামনগর থেকে সাতক্ষীরাগামী সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটে।

ভারী বর্ষণে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী। একজন বৃদ্ধা পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতার জন্য ইতিমধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি, শুকনো খাবার ও টাকা চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।