সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিল আদালত
- আপডেট সময় : ০৯:২২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের একটি আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস-শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম।
খুরশিদ আলম জানান, আদালতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। আদালত আইন-কানুন দেখে নথি দেখে জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন।
তার সমগ্র সম্পদ জব্দের আওতায় আসছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক আইনজীবী বলেন, মামলাটি এখন অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে। অনুসন্ধান পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগে বলা যাবে না সব সম্পত্তি এর মধ্যে রয়েছে কি না।
মোট ৮৩ টি দলিলের প্রোপার্টি, বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই তালিকায়। কক্সবাজারের একটি প্রোপার্টি রয়েছে।
এটিকে বিশেষ কোনো অগ্রগতি হিসেবে না দেখে তদন্ত কাজের একটা অংশ হিসেবে দেখতেই আগ্রহী খুরশিদ আলম ।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি পত্রিকায় প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় গত মাসে বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করে দুদকের তিন সদস্যের একটি কমিটি।
সাবেক আইজিপি দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় করা প্রথম প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল, বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ।
প্রতিবেদনে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছিল।
এর মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐ রিসোর্টে এক রাত থাকতে গেলে গুনতে হয় অন্তত ১৫ হাজার টাকা।
পুলিশের সাবেক এই প্রভাবশালী শীর্ষ কর্মকর্তা, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা অন্তত ছয়টি কম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি বলে ধারণা পাওয়া গেছে।