ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিএনপির সংবাদ সম্মেলন Logo রাজশাহী বিএনপির নতুন নেতৃত্বে মামুন-রিটন Logo সুন্দরগঞ্জে গরু চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা, এক নারী আটক Logo ২০২৬ সালের নির্বাচন বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ-কাজী নাজমুল হোসেন তাপস Logo শেরপুর জেলার বরবটি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে,কৃষকের মূখে হাসি Logo রামগতিতে অর্থের অভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেনা, স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া Logo মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের আসামিরা উপদেষ্টার হেফাজতে, আসামি ধরছে না পুলিশ Logo জয়পুরহাটে অসময়ে টানা তিনদিনের বৃষ্টি, আমন-সবজির ক্ষতির আশঙ্কা Logo আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠক Logo পঞ্চগড়ে স্বাস্থ্য তহবিলে জামায়াতের ১০ লাখ টাকা অনুদান

সারাদেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ সমাবেশ

যশোর ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ২৪৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সারাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যশোরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে এই প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সুমাইয়া শিকদার ইলা।

এসময় বক্তব্য রাখেন জান্নাতুল সুমি, সুরাইয়া শিকদার এশা, আশালতা, মুসলিমা আক্তার সেতু, সামিয়া বিশ্বাস,খন্দকার রুবাইয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস অনন্যা, ইমরান খান, জিএম মুন্না,বাইজিদ রহমান প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন,যুগ যুগ ধরে নারী নিপীড়ন চলছে, যার জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, সামন্তবাদ, ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ ও পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। তারা মনে করেন, বুর্জোয়া নারীবাদীরা প্রকৃত শত্রুকে চিহ্নিত না করে কেবলমাত্র পুরুষতন্ত্র ও ধর্মীয় ফ্যাসিবাদকে দায়ী করেন, যা যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে, সংস্কারবাদীরা পুরোনো ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখে কেবলমাত্র সংস্কারের মাধ্যমে নারীমুক্তির কথা বলেন, যা কার্যত নারীর মুক্তির অন্তরায়।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের‌ বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নারীদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। গত জুলাই মাসে অভ্যুত্থানে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, সাম্রাজ্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদ-নির্ভর পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শ্রমিক,কৃষক, নারী ও আদিবাসীদের মুক্তি সম্ভব হয়নি। নারীরা সমান পরিশ্রম করলেও সকল শ্রমক্ষেত্রে নারীরা সমমজুরি পান না।নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই।ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনায় অনেক সময় নারীর পোশাক বা চালচলনকেই দায়ী করা হয়, যা ধর্ষকদের জন্য প্রশ্রয় তৈরি করে।সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় তথাকথিত তৌহিদি জনতা বরং অপরাধীকে ফুলের মালা দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছে, যা ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের পাশাপাশি প্রশাসনের নতজানু মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে বক্তারা বলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সারাদেশে ধর্ষণের প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেট সময় :

 

সারাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যশোরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে এই প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সুমাইয়া শিকদার ইলা।

এসময় বক্তব্য রাখেন জান্নাতুল সুমি, সুরাইয়া শিকদার এশা, আশালতা, মুসলিমা আক্তার সেতু, সামিয়া বিশ্বাস,খন্দকার রুবাইয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস অনন্যা, ইমরান খান, জিএম মুন্না,বাইজিদ রহমান প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন,যুগ যুগ ধরে নারী নিপীড়ন চলছে, যার জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, সামন্তবাদ, ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ ও পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। তারা মনে করেন, বুর্জোয়া নারীবাদীরা প্রকৃত শত্রুকে চিহ্নিত না করে কেবলমাত্র পুরুষতন্ত্র ও ধর্মীয় ফ্যাসিবাদকে দায়ী করেন, যা যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে, সংস্কারবাদীরা পুরোনো ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রেখে কেবলমাত্র সংস্কারের মাধ্যমে নারীমুক্তির কথা বলেন, যা কার্যত নারীর মুক্তির অন্তরায়।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের‌ বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নারীদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। গত জুলাই মাসে অভ্যুত্থানে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, সাম্রাজ্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদ-নির্ভর পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় শ্রমিক,কৃষক, নারী ও আদিবাসীদের মুক্তি সম্ভব হয়নি। নারীরা সমান পরিশ্রম করলেও সকল শ্রমক্ষেত্রে নারীরা সমমজুরি পান না।নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই।ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনায় অনেক সময় নারীর পোশাক বা চালচলনকেই দায়ী করা হয়, যা ধর্ষকদের জন্য প্রশ্রয় তৈরি করে।সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় তথাকথিত তৌহিদি জনতা বরং অপরাধীকে ফুলের মালা দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছে, যা ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের পাশাপাশি প্রশাসনের নতজানু মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে বক্তারা বলেন।