সিলেট-সুনামগঞ্জের পর এবারে বন্যার আশঙ্কা কুড়িগ্রামে
- আপডেট সময় : ০৭:১০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪ ১৫১ বার পড়া হয়েছে
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ আগেই তলিয়ে গেছে। গত দুই দিনের টানা বর্ষণে পরিস্থিতি আরও নাজুক। সিলেট মহানগরীর অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত। বানের পানিতে টইটম্বুর সুনামগঞ্জ। সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদী ফুঁসে ওঠছে। মেঘালয় থেকে নেমে আসা পানি এবং স্থানীয়ভাবে ভারী বর্ষণ দু’য়ে মিলে সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবণতি ঘটেছে।
বাংলাদেশের উত্তর জনপদ কুড়িগ্রামের কিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। তাতে ভাসতে চলেছে উত্তরের এই জনপদ। এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা ফুঁসে ওঠতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রামে বন্যা হবার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃষ্টি সঙ্গে ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদী তীরবর্তী চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। শঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে তিস্তা পারের মানুষের।
এরই মধ্যে অব্যাহত বর্ষণ আর মেঘালয় থেকে নেমে আসা পানিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ বন্যা কবলিত। বানের পানিতে ভেসে গেছে দুই জেলার রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। ঈদের দিনে বিভিন্ন স্থানে তৈরি খাবার বিতরণ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। মঙ্গলবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তরফে বলা হয়েছে, কুড়িগ্রামের ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বেড়েছে। চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্ট হু হু করে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি । কুড়িগামের বেশ কমপক্ষে ১৫টি পয়েন্ট প্রচন্ড ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারীক সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, ১২ ঘণ্টায় জেলায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দুদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের তথ্য মতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তার, দুধকুমার নদের এবং ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা দেখা দেবে।