ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে সড়ক ও জনপথের জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান Logo ফুলপুরে অবৈধ ভারতীয় পণ্যসহ সমন্বয়ক আটক Logo বকশীগঞ্জে স্থানীয়দের সঙ্গে ৩৫ বিজিবির অধিনায়কের মতবিনিময় সভা Logo পলাশবাড়ীতে সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী ও এলাকাবাসী Logo রাজবাড়ীতে সরকারী প্রনোদনার উচ্চ ফলনশীল শরীষা Logo ইসলামপুরে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন Logo বিএনপির তদারকি কমিটির সদস্য পদ ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন Logo ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথে ৩৫ টি বৈধ-অবৈধ রেল ক্রসিং! বিধি বহিঃভুক্ত পারাপার! Logo আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহরে দাবিতে মানববন্ধন Logo ফেনীর মহিপালে যাত্রীবাহী বাস থেকে বিপুল জব্দ আটক ও চালক গ্রেফতার

সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কক্সবাজরের টেকনাফ সীমান্ত পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের দমদমিয়ার নাফ নদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রথম থেকে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমানাঘেঁষা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি সরকার যেহেতু এখনও জান্তা, তাই দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ।

মাদকের জন্য টেকনাফ খ্যাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মাদকের জন্য বাংলাদেশে মি. বদিও জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদক রোধ করতে হবে সবার সহযোগিতা দরকার। কারণ এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফ নদে মাছ শিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। সব বাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফাঁকি দিয়ে কিছু বাংলাদেশি অসাধু দালালচক্র মরিয়া হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। এ দালাল চক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার।

না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাতিসংঘের প্রধান সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্বের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

তিনি দুপুরের দিকে হেলিকপ্টরযোগে ঢাকা থেকে টেকনাফ পৌঁছান। পরে ২ বিজিবির ব্যাটালিয়নে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

কক্সবাজরের টেকনাফ সীমান্ত পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সীমান্ত ঘুরে টেকনাফের দমদমিয়ার নাফ নদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নীতিগত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রথম থেকে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমানাঘেঁষা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় দেশটির বিপ্লবী গোষ্ঠীর পাশাপাশি সরকার যেহেতু এখনও জান্তা, তাই দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ।

মাদকের জন্য টেকনাফ খ্যাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মাদকের জন্য বাংলাদেশে মি. বদিও জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদক রোধ করতে হবে সবার সহযোগিতা দরকার। কারণ এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফ নদে মাছ শিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। সব বাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফাঁকি দিয়ে কিছু বাংলাদেশি অসাধু দালালচক্র মরিয়া হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। এ দালাল চক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার।

না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাতিসংঘের প্রধান সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্বের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। পরিস্থিতি যাই হোক অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

তিনি দুপুরের দিকে হেলিকপ্টরযোগে ঢাকা থেকে টেকনাফ পৌঁছান। পরে ২ বিজিবির ব্যাটালিয়নে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ছিদ্দিকী।