ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

সীমের মালিকানায় সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রাহক স্বার্থ বিরোধী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মুঠোফোনের সিমের মালিকানায় সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গ্রাহক স্বার্থ বিরোধী এবং অপারেটরদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ,বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,  গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বিটিআরসি মুঠোফোন অপারেটরদের দাবির প্রেক্ষিতে সীমের মালিকানার সময় কমিয়ে এনেছে। কিন্তু এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবার সময় গ্রাহকদের কাছ থেকে মতামত নেয়ার দরকার ছিল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোন মতামত নেয়া হয়নি। আগে অব্যবহৃত সিম পুনরায় বিক্রির বা রিসাইক্লিংয়ের সময় ছিল ৫৪০ দিন। এরমধ্যে গ্রাহকদের জন্য ৯০ দিনের একটি নোটিশ পিরিয়ড ছিল। আর এখন রিসাইক্লিংয়ের সময় হচ্ছে ১১ মাস বা ৩৩০ দিন (কম-বেশি)। আর নোটিশ পিরিয়ড থাকছে ৩০ দিন।

আমাদের দেশের প্রবাসে থাকা গ্রাহকদের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। যে সকল প্রবাসী দুই তিন বছর পর দেশে ফিরে তারা পড়ছে বিপদে। তাদের পাসপোর্ট, ব্যাংক একাউন্ট এমনকি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সহ সকল জায়গায় তার যে নাম্বারটা দেয়া হয়েছে তা এসে দেখে তা বন্ধ রয়েছে। এমন কি দেখা যায় অন্য কোন ব্যক্তি তার ঐ নাম্বার ব্যবহার করে।যার ফলে গ্রাহকের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রোমিং সেবা সহজ না হলে ভোগান্তি আরো বাড়বে।

এ ব্যাপারে কমিশন বিকল্প ব্যবস্থা করে অপারেটরদের নাম্বার দিতে পারে।আর গ্রাহকদের আগে থেকেই যদি ফোন করে বা মেসেজ করে, কিম্বা ই-মেইল করে জানান তাহলে সমস্যা হবার কথা নয়। কিন্তু গ্রাহকদের কাছে কোন বার্তা পাঠান হয় না সঠিক ভাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সীমের মালিকানায় সময় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রাহক স্বার্থ বিরোধী

আপডেট সময় : ১২:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

 

মুঠোফোনের সিমের মালিকানায় সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গ্রাহক স্বার্থ বিরোধী এবং অপারেটরদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ,বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,  গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বিটিআরসি মুঠোফোন অপারেটরদের দাবির প্রেক্ষিতে সীমের মালিকানার সময় কমিয়ে এনেছে। কিন্তু এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেবার সময় গ্রাহকদের কাছ থেকে মতামত নেয়ার দরকার ছিল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোন মতামত নেয়া হয়নি। আগে অব্যবহৃত সিম পুনরায় বিক্রির বা রিসাইক্লিংয়ের সময় ছিল ৫৪০ দিন। এরমধ্যে গ্রাহকদের জন্য ৯০ দিনের একটি নোটিশ পিরিয়ড ছিল। আর এখন রিসাইক্লিংয়ের সময় হচ্ছে ১১ মাস বা ৩৩০ দিন (কম-বেশি)। আর নোটিশ পিরিয়ড থাকছে ৩০ দিন।

আমাদের দেশের প্রবাসে থাকা গ্রাহকদের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। যে সকল প্রবাসী দুই তিন বছর পর দেশে ফিরে তারা পড়ছে বিপদে। তাদের পাসপোর্ট, ব্যাংক একাউন্ট এমনকি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সহ সকল জায়গায় তার যে নাম্বারটা দেয়া হয়েছে তা এসে দেখে তা বন্ধ রয়েছে। এমন কি দেখা যায় অন্য কোন ব্যক্তি তার ঐ নাম্বার ব্যবহার করে।যার ফলে গ্রাহকের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রোমিং সেবা সহজ না হলে ভোগান্তি আরো বাড়বে।

এ ব্যাপারে কমিশন বিকল্প ব্যবস্থা করে অপারেটরদের নাম্বার দিতে পারে।আর গ্রাহকদের আগে থেকেই যদি ফোন করে বা মেসেজ করে, কিম্বা ই-মেইল করে জানান তাহলে সমস্যা হবার কথা নয়। কিন্তু গ্রাহকদের কাছে কোন বার্তা পাঠান হয় না সঠিক ভাবে।