ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

স্কুল ড্রেস খুলে যেতে হয় স্কুলে, দিন দিন কমছে শিক্ষার্থী সংখ্যা

মোহাম্মদ নান্নু মৃধা, ডামুড্যা (শরীয়তপুর)
  • আপডেট সময় : ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জলাবদ্ধতার কারণে স্বাভাবিকভাবে যেতে পারছে না শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ৪৬ নং শম্ভুকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। স্কুলের মাঠ নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুলটির চারপাশে নিচু থাকায় থইথই করছে পানি। মাঠটির পুরো অংশই জলাবদ্ধতার কারণে আগাছায় ভরে গিয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে নামতে পারছে না মাঠে। জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকেরই পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। স্কুল খোলা হলেও জলাবদ্ধতার কারণে কমছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
স্থানীয় খোদেজা বেগম জানান, মাঠটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তব কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া মাঠে জমে থাকা কাদাপানির কারণে শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত গাইতে পারছে না।
৫ ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি, মুক্তা ও সাইম বলেন,আমরা স্কুলে আসার সময় প্যান্ট ভিজে যায়, কাদা ও পানির জন্য হাঁটতে পারি না। বারান্দা থেকে নিচে নামা যায় না, আমরা স্কুলে যাওয়ার সময় স্কুল ড্রেস খুলে ব্যাগে ভরে নিয়ে যাই , স্কুলে গিয়ে ড্রেস পরি এবং ভিজে ভিজে স্কুলে যাওয়ার কারণে আমাদের অনেকের জ্বর কাশি ঠান্ডা ও পায়ে গোটা হওয়ার কারণে ঠিক মত স্কুলে আসতে পারিনা।
প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার বলেন, ‘এই স্কুলে ১৬৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দীর্ঘসময় বর্ষার পানি জমে থাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম করতে পারছে না। বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কে জানিয়েছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সু কন্ঠ ভক্ত বলেন, এ বিষয়ে আমার অফিসে কোনো রকম আবেদন আসেনি। আমি নিজে থেকেই স্কুল ভিজিটে গিয়ে দেখি স্কুলের ওই অবস্থা দেখি,আমার কাছে লিখিত আবেদন এলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রম্নত সময় সমাধান করার চেষ্টা করব।
পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কোনো বরাদ্দ না থাকায় এখন মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। আপাতত সেচ পাম্প দিয়ে ওই পানি অন্য জায়গায় ফেলে দেব, পরে স্থায়ীভাবে একটা ব্যবস্থা নিবো।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্কুল ড্রেস খুলে যেতে হয় স্কুলে, দিন দিন কমছে শিক্ষার্থী সংখ্যা

আপডেট সময় :

জলাবদ্ধতার কারণে স্বাভাবিকভাবে যেতে পারছে না শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের ৪৬ নং শম্ভুকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। স্কুলের মাঠ নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্কুলটির চারপাশে নিচু থাকায় থইথই করছে পানি। মাঠটির পুরো অংশই জলাবদ্ধতার কারণে আগাছায় ভরে গিয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে নামতে পারছে না মাঠে। জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকেরই পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। স্কুল খোলা হলেও জলাবদ্ধতার কারণে কমছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
স্থানীয় খোদেজা বেগম জানান, মাঠটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তব কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া মাঠে জমে থাকা কাদাপানির কারণে শিক্ষার্থীরা শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত গাইতে পারছে না।
৫ ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আঁখি, মুক্তা ও সাইম বলেন,আমরা স্কুলে আসার সময় প্যান্ট ভিজে যায়, কাদা ও পানির জন্য হাঁটতে পারি না। বারান্দা থেকে নিচে নামা যায় না, আমরা স্কুলে যাওয়ার সময় স্কুল ড্রেস খুলে ব্যাগে ভরে নিয়ে যাই , স্কুলে গিয়ে ড্রেস পরি এবং ভিজে ভিজে স্কুলে যাওয়ার কারণে আমাদের অনেকের জ্বর কাশি ঠান্ডা ও পায়ে গোটা হওয়ার কারণে ঠিক মত স্কুলে আসতে পারিনা।
প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার বলেন, ‘এই স্কুলে ১৬৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। দীর্ঘসময় বর্ষার পানি জমে থাকায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা সহ বিভিন্ন কার্যক্রম করতে পারছে না। বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কে জানিয়েছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সু কন্ঠ ভক্ত বলেন, এ বিষয়ে আমার অফিসে কোনো রকম আবেদন আসেনি। আমি নিজে থেকেই স্কুল ভিজিটে গিয়ে দেখি স্কুলের ওই অবস্থা দেখি,আমার কাছে লিখিত আবেদন এলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রম্নত সময় সমাধান করার চেষ্টা করব।
পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় কোনো বরাদ্দ না থাকায় এখন মাটি ভরাট করা সম্ভব হয়নি। আপাতত সেচ পাম্প দিয়ে ওই পানি অন্য জায়গায় ফেলে দেব, পরে স্থায়ীভাবে একটা ব্যবস্থা নিবো।