ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হবিগঞ্জে জুলাই হত্যা মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবির অভিযােগ

আব্দুল নুর বাবুল, হবিগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ২৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র – জনতা আন্দোলনকে পুঁজি করে, মিথ্যা মামলা দায়েরে মেতে উঠেছে ।
একটি সিন্ডিকেট মিথ্যা মামলা দায়ের করে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করতে, মরিয়া। চক্রটি কম্পিউটার টাইপের একটি অভিযোগ বানিয়ে, লোক ও মোবাইলের মধ্যে পাঠিয়ে, মামলায় ফাঁসানো ভয় দেখিয়ে লক্ষ – লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে, ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে। জানা যায়, হবিগঞ্জ পৌরসভার গোসাইপুর (নিউ মুসলিম কোয়ার্টার) এলাকার শাহিন মিয়ার পুত্র মাহিনুর রহমান তুহিন নামের আওয়ামী লীগের দোসরকে, দিয়ে মামলার নাটক মঞ্চ তৈরি করছে প্রতারক চক্র। গোসাইপুর এলাকার স্হানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, একটি প্রতারক চক্র ৫ আগষ্টের পর, হবিগঞ্জ জেলা সদরে বসে, কি ভাবে কাকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে হয়রানি করা যায়, বিপদে ফেলে অর্থ কড়ি হাতিয়ে নেয়া যায়, এনিয়ে ব্যস্হ থাকে। সম্প্রতিক হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি অভিযোগ লেখে, সিন্ডিকেট প্রতারক চক্র লক্ষ – লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রটছে ছাড়ি দিকে। আরও জানা যায়, মিথ্যা অভিযোগে অনেক বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মী, বিএনপির সাংবাদিক ও নিরীহ লোকজনকে আসামী শ্রেনীভুক্ত করা হয়। প্রতারক সিন্ডিকেট এদের পেশাই যে কোন একজন লোককে বাদী সাজিয়ে বিভিন্ন লোকজনের উপর মিথ্যা মামলা টুকে, মামলায় তোমার নাম আসছে। আসামী হতে যাচ্ছো, নাম বাদ দেয়াতে পারবো, নাম সংযুক্ত করতে পারবো। এধরণের প্রতারনার ফাঁদ সৃষ্টি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ -লক্ষ টাকা। সাজানো মামলার বাদী তুহিন কে প্রতারক চক্ররা কিছু টাকা দিয়েছে, লোভ দেখিয়েছে আসামীদের নিকট থেকে কোটি টাকা বানিজ্য হবে, তোকে বিদেশে পাঠিয়ে দিব, অনেক টাকা দিব, বসে- বসে খাবে। এ ধরনের আশ্বাস দিয়ে প্রতারকরা,বাদী তুহিনের এক চাচাতো ভাই সূত্রে জানা যায়। অভিযোগে লেখা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে, বাদী তুহিন প্রথমে বলে আমি বিএনপি করি,এর পরে বলে আমি ছাত্র দলের কর্মী, কারো- কারো কাছে বলছে এনসিপি নেতা। এলাকার স্হানী বাসিন্দা বাবুল মিয়া, ফুল মিয়া, সেবুল মিয়াসহ অনেকেই জানান, তুহিনকে আমরা ভালো করে চিনি,শাহীন মিয়ার ছেলে, তার বাবা শাহিন মিয়া একজন দিন মজুর, ভালও মানুষ, তুহিন একজন আওয়ামী লীগের দোসর, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলে।সে শুধু এলাকা নয়, দেশের বিভিন্ন স্হানে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার মুল পেশাই হচ্ছে মাদক দ্রব্য সাপ্লাই দেয়া।
মামলার বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম সাহাবদ্দীন শাহীন এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, আমি এখনো তুহিন বাদী হয়ে অভিযোগ করেছে, এমন অভিযোগ পাইনি,কিন্তু আরও অনেকেই বলেছেন,তুহিন নামে নাকি একজন বাদী সাজিয়ে, অনেক লোকজন কে আসামী দিয়ে হয়রানি করার ভয় দেখিয়ে আসছে, টাকা পয়সা চাচ্ছে, এমনও অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু সাংবাদিক, বিএনপির লোকজন ও নিরীহ লোকজন কে হয়রানি চেষ্টা করছে। বিষয় টি সকলের নজরে আনা আপনাদের উচিত। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হবিগঞ্জে জুলাই হত্যা মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ দাবির অভিযােগ

আপডেট সময় :

হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র – জনতা আন্দোলনকে পুঁজি করে, মিথ্যা মামলা দায়েরে মেতে উঠেছে ।
একটি সিন্ডিকেট মিথ্যা মামলা দায়ের করে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপির নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করতে, মরিয়া। চক্রটি কম্পিউটার টাইপের একটি অভিযোগ বানিয়ে, লোক ও মোবাইলের মধ্যে পাঠিয়ে, মামলায় ফাঁসানো ভয় দেখিয়ে লক্ষ – লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে, ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে। জানা যায়, হবিগঞ্জ পৌরসভার গোসাইপুর (নিউ মুসলিম কোয়ার্টার) এলাকার শাহিন মিয়ার পুত্র মাহিনুর রহমান তুহিন নামের আওয়ামী লীগের দোসরকে, দিয়ে মামলার নাটক মঞ্চ তৈরি করছে প্রতারক চক্র। গোসাইপুর এলাকার স্হানীয় অনেকেই জানিয়েছেন, একটি প্রতারক চক্র ৫ আগষ্টের পর, হবিগঞ্জ জেলা সদরে বসে, কি ভাবে কাকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে হয়রানি করা যায়, বিপদে ফেলে অর্থ কড়ি হাতিয়ে নেয়া যায়, এনিয়ে ব্যস্হ থাকে। সম্প্রতিক হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি অভিযোগ লেখে, সিন্ডিকেট প্রতারক চক্র লক্ষ – লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রটছে ছাড়ি দিকে। আরও জানা যায়, মিথ্যা অভিযোগে অনেক বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মী, বিএনপির সাংবাদিক ও নিরীহ লোকজনকে আসামী শ্রেনীভুক্ত করা হয়। প্রতারক সিন্ডিকেট এদের পেশাই যে কোন একজন লোককে বাদী সাজিয়ে বিভিন্ন লোকজনের উপর মিথ্যা মামলা টুকে, মামলায় তোমার নাম আসছে। আসামী হতে যাচ্ছো, নাম বাদ দেয়াতে পারবো, নাম সংযুক্ত করতে পারবো। এধরণের প্রতারনার ফাঁদ সৃষ্টি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ -লক্ষ টাকা। সাজানো মামলার বাদী তুহিন কে প্রতারক চক্ররা কিছু টাকা দিয়েছে, লোভ দেখিয়েছে আসামীদের নিকট থেকে কোটি টাকা বানিজ্য হবে, তোকে বিদেশে পাঠিয়ে দিব, অনেক টাকা দিব, বসে- বসে খাবে। এ ধরনের আশ্বাস দিয়ে প্রতারকরা,বাদী তুহিনের এক চাচাতো ভাই সূত্রে জানা যায়। অভিযোগে লেখা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে, বাদী তুহিন প্রথমে বলে আমি বিএনপি করি,এর পরে বলে আমি ছাত্র দলের কর্মী, কারো- কারো কাছে বলছে এনসিপি নেতা। এলাকার স্হানী বাসিন্দা বাবুল মিয়া, ফুল মিয়া, সেবুল মিয়াসহ অনেকেই জানান, তুহিনকে আমরা ভালো করে চিনি,শাহীন মিয়ার ছেলে, তার বাবা শাহিন মিয়া একজন দিন মজুর, ভালও মানুষ, তুহিন একজন আওয়ামী লীগের দোসর, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলে।সে শুধু এলাকা নয়, দেশের বিভিন্ন স্হানে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার মুল পেশাই হচ্ছে মাদক দ্রব্য সাপ্লাই দেয়া।
মামলার বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম সাহাবদ্দীন শাহীন এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, আমি এখনো তুহিন বাদী হয়ে অভিযোগ করেছে, এমন অভিযোগ পাইনি,কিন্তু আরও অনেকেই বলেছেন,তুহিন নামে নাকি একজন বাদী সাজিয়ে, অনেক লোকজন কে আসামী দিয়ে হয়রানি করার ভয় দেখিয়ে আসছে, টাকা পয়সা চাচ্ছে, এমনও অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু সাংবাদিক, বিএনপির লোকজন ও নিরীহ লোকজন কে হয়রানি চেষ্টা করছে। বিষয় টি সকলের নজরে আনা আপনাদের উচিত। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।