ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ, একজনের মৃত্যু

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪ ১৪৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মোস্তাক মিয়া (২৪) নামে একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে।

মোস্তাকের সহযোগী মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মোস্তাক এখানে জুতা কিনতে এসেছিল। এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মঈন উদ্দীন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মোস্তাকের হাতে বড় ধরনের আঘাত ছিল। সেটা গুলি কি না, পরে জানানো যাবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল-এর অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের বোর্ড মসজিদের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হবিগঞ্জ শহরের বোর্ড মসজিদ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতা-কর্মীরা।

এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এ সময় পুলিশ সেখানে এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ, একজনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৮:২৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে হবিগঞ্জে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মোস্তাক মিয়া (২৪) নামে একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে।

মোস্তাকের সহযোগী মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মোস্তাক এখানে জুতা কিনতে এসেছিল। এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মঈন উদ্দীন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মোস্তাকের হাতে বড় ধরনের আঘাত ছিল। সেটা গুলি কি না, পরে জানানো যাবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল-এর অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের বোর্ড মসজিদের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হবিগঞ্জ শহরের বোর্ড মসজিদ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে পূর্ব টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতা-কর্মীরা।

এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু জাহিরের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এ সময় পুলিশ সেখানে এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায়।